অনলাইন ডেস্ক :
সারা দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এবং বিচারকদের গাড়ি ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ চিঠি পাঠান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে :
সম্প্রতি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও জেলা জজ আদালত এবং খুলনায় বোমা হামলা হয়েছে। ইতিপূর্বে কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারা দেশের বিচারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি।
প্রধান বিচারপতি সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি এবং বাসভবনে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মুন্নী খাতুন সেমিনারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামার বাড়ির অতিরিক্ত উপ পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু, গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদ মাহমুদ খান জয়, গণমাধ্যম কর্মী সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম, এস এম হুমায়ুন কবির, প্রসূন মন্ডল, এস এম নজরুল ইসলাম, আজিজুর রহমান রনি সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মুন্নী খাতুন বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করে আমাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) ধারা অনুযায়ী মঙ্গলবার এ নিয়োগ দিয়েছেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি শপথ পড়াবেন।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন। ওইদিন তার ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। সুপ্রিমকোর্টে অবকাশ চলায় গত ৩১ আগস্ট ছিল তাঁর শেষ বিচারিক কর্মদিবস।
প্রধান বিচারপতি সৌদিতে: এদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য সোমবার বিকেলে সৌদি আরব গেছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অনুপস্থিতিতে বা তার পুনরায় দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
জীবনী: আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত দুই নম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন এবং একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ওবায়দুল হাসান ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন ও সংবিধানে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র: একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামক দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার এবং শাশুড়ি কারিমা খাতুন এর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সমন্বিত জেলা কার্যালয় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভ‚তভাবে ১৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সম্পদ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করে দুদক এর সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ বর্তমানে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ক্রাইম শাখায় কর্মরত আছেন। ১৯৯১ সালে উপ-পরিদর্শক পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর ২০০৭ সালে পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান আব্দুল্লাহ। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ও চোরাকারবারিদের সাথে সখ্যতা, মিথ্যা মামলা রেকর্ড ও অনৈতিকভাবে বিপুল পরিমান সম্পদের অর্জনের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের জন্য ২০২০ সালে দুদক এর বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর পিরোজপুরে দুদকের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি পিরোজপুর কার্যালয় তদন্ত শুরু করে।
মামলার বাদী মোস্তাফিজ জানান, আব্দুল্লাহ এর নিজ নামে ঢাকায় দুইটি প্লট, স্ত্রী ফারহানার মামে দুইটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং স্ত্রী ফারহানা এর ব্যাংক হিসাব হতে অর্থ পরিশোধ করে শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে একটি আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে যেগুলোর মূল্য ১৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার অধিক। এছাড়া ফারহানার নামে থাকা দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এক কোটি টাকা ম‚ল্যমানের সঞ্চয়পত্র কেনা হয়েছে। ফারহানা আরও একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদনও করেছে। অভিযুক্ত এ ৩ ব্যক্তির নামে স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে ১৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। যার মধ্যে স্ত্রী ফারহানার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত ৩১ লক্ষ টাকা ম‚ল্যমানের একটি গাড়িও রয়েছে। এর মধ্য থেকে ১৮ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করেছে দুদক। এছাড়া ফারহানার বিভিন্ন ব্যাংক হিসেব থেকে ২৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৪ আসনের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), বগুড়া-৬ আসনের রাগেবুল আহসান রিপু (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মু. জিয়াউর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. আব্দুল ওদুদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞা (স্বতন্ত্র) শপথবাক্য পাঠ করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাদের শপথ পাঠ করান।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু, শিরীন আখতার, ফখরুল ইমাম, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) ও ফেরদৌসী ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।