অনলাইন ডেস্ক :
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, আমারই ফল্ট (ভুল) ছিল। কারো ষড়যন্ত্রের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দেন।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বাচ্চা বাইরে পড়াশুনা করে সেই জন্য দেশের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করে ইসিতে এসেছি।
কতো টাকা বকেয়া ছিল-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব কম টাকা, বলার মতো না। যে অভিযোগটা এসেছে এটা আসলেই আমার ফল্ট ছিল। কারোর ষড়যন্ত্র দেখছি না। এটি আমি খেয়াল করি নাই। তবে আশা করছি আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাবো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির চলামান আন্দোলনের সমালোচনা করে কাদের বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এ অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে। তাতে লাভ হয়নি। এবারও হবে না৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতগুলো আসন পাবে এবং বিরোধী দল কে হবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন শেষ হলে এ বিষয়টা তখনি পরিষ্কার হবে। স্পষ্ট হবে। এ মুহূর্তে এ নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নাই। আমরা ইনশা আল্লাহ নির্বাচনে বিজয়ী হবো।
তিনি বলেন, কত আসন, সেটা এখন বলতে চাই না। মির্জা ফখরুলের মতো গণক হতে চাই না। ইলেকশনের রেজাল্টই বিরোধী দল কে হবে সেটা বলে দেবে।
নির্বাচন বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইলেকশনটা হতে দেন, গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা বিদেশিরা বলবে।
কাদের বলেন, বিএনপি তাহলে ইলেকশনটা মোর কম্পিটিটিভ হতো। এখনও কম্পিটিটিভ হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ভিসা নীতি আসবে না? আমরা এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি নিজেই একটা ডামি দল। বাংলাদেশ ডামি দল হচ্ছে বিএনপি।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে গত ৩০ বছর কোনো দেশের সরকার তাদের সাংবিধানিক অধিকার অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে ছেড়ে দেননি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অধীনে সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কমিশন সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে ।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কোনো অপশক্তি যেন কোনো হামলা, সহিংসতা করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পাহারায় থাকতে হবে। ভোটারদের প্রতি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ও অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহীত করতে আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
আজ ১২ মে সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।’ এর আগে গত শনিবার আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি গেজেট বা কাগজপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে আজ ২৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপ-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু।
জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য আবু শামীম মোঃ আরিফের (ভিপি শামীম) সভাপতিত্বে ও জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপ-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মোঃ সাইফুল হক, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কাউছার মিয়া, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইবনুল হাসান সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ এইচ. এম. আবুল বাশার, চাঁদপুর জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক এমরান আহমেদ রনি, নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, কসবা উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক শাহন মিয়া, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম আমির, আখাউড়া উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহাদুর ইসলাম তিতাস, বিজয়নগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম সজিব, সরাইল উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মশিউর মাস্টার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকদের জন্য কৃষি বীমা, বিনা মূল্যে চিকিৎসা, সার, বীজসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। আমাদের দেশের কৃষকরা সবসময় অবহেলিত। তাদের উৎপাদিত পণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাল-সবুজের পতাকা মিছিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শহরের লোকনাথ দিঘীর পাড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি এড. আবু কাউসার, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তানজিন আহমেদ,শেখ মো. মহসিন, হাজি মো. মহসিন, সেলিম রেজা হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, কাচন মিয়া, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে পিছিয়ে গেলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন-এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আর রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে আমরা দেখেছি কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও আমরা দেখেছি ভোটারবিহীন নির্বাচন। সেকারণেই আমরা দেখেছি উন্নয়নের নাম করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। কোনোরকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘নির্বাচন অথবা বিচার ব্যবস্থা-প্রত্যেকটি ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে, আমরা তত দ্রুত দেশকে উন্নত করতে পারব। বিএনপি একমাত্র দেশকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এ সময় দেশ পুনর্গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: সেলিম ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সায়েদুল হক সাইদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য শেখ মোঃ শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা বিএনপি নেতা মোঃ কবির আহম্মেদ ভুইয়া প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর জেলা বিএনপির এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। দুপুর ১২টার আগেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।