চলারপথে রিপোর্ট :
কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই) আয়োজিত ‘৭৫তম প্লাটিনাম জুবিলী বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্স-২০২৩’-এ যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) ভারত গেছেন।
ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজিক্যাল এর মেম্বার ডা. মতিনকে বার্ষিক এই কনফারেন্সে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই)।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের কলকাতার আইটিসি রয়্যালে শুরু হওয়া এ বার্ষিক কনফারেন্স শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। কনফারেন্সে যোগ দিতে আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০২২ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্সেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ডা. মতিন।
এবারের কনফারেন্সে ইউরোপীয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির সদস্যসহ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার কার্ডিলওজিস্ট অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
বার্ষিক কনফারেন্সে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিকবিজ্ঞানের নবতম সংযোজন, সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার, হৃদরোগের জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করাসহ হৃদরোগের সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণ। কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা চিকিৎসকগণ লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে হৃদরোগীদেরকে বিশ্বমানের সেবাদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং এতে রোগীরাও আগের তুলনায় আরও বেশি উপকৃত হন। কনফারেন্স উপলক্ষে চিকিৎসকদের আগমণ ও অবস্থান প্রতিবছর কার্ডিওলজিস্টদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম)। আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার দারুল উলুম হাফেজিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুর রহিমের ৫ সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ মোহাম্মদ আবদুল মতিন (সেলিম) নিজের দক্ষতায় রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ডোপিং কন্ট্রোল টিমে একমাত্র বাংলাদেশি ‘ডোপিং কন্ট্রোল চ্যাপেরন’ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একজন সৌভাগ্যবান হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। তিনি রাশিয়ার রুস্তভ স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও ক্লিনিক্যাল অরডিনাটুরা কোর্স সম্পন্ন করেন সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরেরই ঐতিহ্যবাহী নর্থ ওয়েস্টার্ন স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে। একই শহরের পাত্রোভ্সকায়া এলাকার সিটি হসপিটালে কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের হার্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই বছর। এরপর একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে গেছেন নিজের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্টে দেশের পতাকাকে তুলে ধরেছেন নানাভাবে। রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ফিফা ও অর্গানাইজেশন কমিটির বিভিন্ন অডিশনে অংশ নেন এবং রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ডোপিং কন্ট্রোল’ টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) বলেন, ২০২২ সনে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কনফারেন্সে বিশ্বের নামি-দামি কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করি, কনফারেন্স থেকে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের হৃদরোগীদেরকে আরও সহজভাবে মানসম্মত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় আজ ৩০ মে মঙ্গলবার ভোরে নতুন করে এ হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার এটা ১৭তম বিমান হামলা। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ এই হামলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভে নতুন করে ‘বিশাল’ আক্রমণ শুরু করেছে এবং ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের অন্যান্য বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ব্যাপক আক্রমণ হচ্ছে! কেউ নিরাপদ আশ্রয় ত্যাগ করবেন না।’ কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করছে। তবে রুশ মিসাইল বা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রাজধানীর ঐতিহাসিক পোডিল এবং পেচেরস্কি মহল্লাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।
মেয়র ক্লিটসকো বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হোলোসিভস্কি এলাকায় আহত হওয়ার পর ২৭ বছর বয়সী এক নারীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ক্লিটসকো আরো বলেছেন, রাশিয়ার হামলার পর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আগুন লেগে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভের সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, একজন আহত হয়েছেন বলে ক্লিটসকো বলেছেন।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যাতে একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ওপরের তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। শহরের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন টেলিগ্রামে বলেছে, বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা-দরজা ভেঙে গেছে। রয়টার্স অবশ্য স্বাধীনভাবে এসব প্রতিবেদন যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। সূত্র : রয়টার্স
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকা অভিমুখী রেলপথে (আপলাইন) ট্রেন চলছে। তবে, গতি কমিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা অতিক্রম করছে ট্রেন। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী রেলপথ (ডাউনলাইন) দিয়েও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দারিয়াপুর এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেললাইন আবার বেঁকে যায়। চট্টগ্রাম-সিলেটমুখী ডাউনলাইনও কয়েকটি জায়গায় বেঁকে গেছে। পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন শীতল করা হয়। এতে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়ে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের গতি কমিয়ে সব ট্রেন চলাচল করেছে। দারিয়াপুরে রেললাইনের তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দারিয়াপুর এলাকায় বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে দারিয়াপুর এলাকায় রেললাইন বেঁকে কনটেইনার বহনকারী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ২৮ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের সাতটি বগি উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আবার একই স্থানে রেললাইন বেঁকে যায়।
সূত্রে জানা গেছে, শনিবার আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তালশহর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার গতিতে, আশুগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার গতিতে ও নরসিংদী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সব ট্রেনকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য লোকোমাস্টারদের (ট্রেনচালক) নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেলওয়ের কর্মচারী (কিম্যান) ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বলেন, বেঁকে যাওয়া রেললাইন স্বাভাবিক করতে শনিবার রাতে অনেক স্লিপার লাগানো হয়েছে। এখনো চলছে কাজ। আপ ও ডাউনলাইন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু গোকর্ণ লেবেল ক্রসিং এলাকা থেকে দুর্ঘটনাকবলিত দারিয়াপুর পর্যন্ত আপলাইনের সব ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. খায়রুল কবিরকে প্রধান করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পিং প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে।
তিনি প্ল্যাটফরম থেকে আট মিটার নিচে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি গেয়ংগি প্রদেশের স্টারফিল্ড আনসেং মলে অবস্থিত প্ল্যাটফরম থেকে বাঞ্জি জাম্প করার চেষ্টা করেছিলেন।
গেয়ংগি নামবু প্রদেশের পুলিশের ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ ক্যারাবিনারের কারণে বাঞ্জি কর্ডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ এখনো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
দুর্ঘটনার সময় ওই নারী নিরাপত্তার সরঞ্জামে সজ্জিত ছিলেন। তবে একটি ক্যারাবিনার (একধরনের সুরক্ষা হুক) সুরক্ষিত ছিল না। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে ফেরেননি। পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি জাম্প প্ল্যাটফরমের একটি থেকে লাফ দিয়ে এক জাপানি পর্যটক মারা যান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়। ৫৬ বছর বয়সী ওই পর্যটক ম্যাকাও পৌরসভার ম্যাকাও টাওয়ারের ৭৬৪ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৩০ ফুট উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পের সময় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সূত্র : এনডিটিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির ডাকা মহাসড়ক অবরোধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের নিরাপত্তা এবং চালকদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য আজ ১ নভেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিশেষ টহল দিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পৌনে দুইটা পর্যন্ত এই দুই মহাসড়কে টহল দেয়া হয়।
সকালে জেলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি গাড়ি বহর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত মহাসড়কে বিশেষ টহল দেয়। এ সময় দেখা যায় মহাসড়কে ট্রাক,মাইক্রোবাস, আন্তঃজেলা লোকাল বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকসাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়াও দূরপাল্লার বাস এনা পরিবহনের কয়েকটি বাসও মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিশেষ টহল দেয়ার সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের নাশিদ হাসান, জেলা আনসার ও ভিডিপির অ্যাডজুটেন্ট, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার উদ্দিনসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টহল শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অবরোধ থাকলেও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল একটু কম হলেও সময়ের সাথে সাথে তা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, কেউ কোন ধরনের বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা।
এ ব্যাপারে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, অবরোধের শুরু থেকেই আমরা মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। তথাকথিত অবরোধ থাকলেও মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। সব কিছু স্বাভাবিক আছে। তবে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা একটু কম। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যাত্রী স্বল্পতা। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামী পহেলা নভেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২৩ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী পরামর্শ সভায় কর্মসূচির বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে অভিমত প্রকাশ করেন উপদেষ্টা এবং বিগত জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরার আজমপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ এর পিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কর্মকর্তা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মো. আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সংগ্রহ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, বশির আহমদ, হারুন অর রশিদ, সমবায় মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ রকিব প্রমুখ।
পরে নেতৃবৃন্দ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব অ্যাড. হারুন আর রশিদ এর বাসভবনে যেয়ে উনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি