স্পোর্টস ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ালেও দ্বিতীয় সেশনে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে অবস্থায় থেকে চা পান বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে দলীয় ২৯ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন জাকির। এতে ভাঙে ওপেনিং এই জুটি। ২৪ বলে ৮ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। এরপরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেনি মমিনুলও। নিজের নামের পাশে ৫ রান যোগ করতেই এজাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ন শান্ত। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডবিøউ হন তিনি।
১৪ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। ফলে দ্রæত চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পরা টাইগারদের পঞ্চম উইকেটে চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে।৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এ দুজন মিলে গড়েন ৫৭ রানের এক জুটি। তবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকিয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবল সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডিফেন্ড করেন মুশফিক। বল মাটিতে লাফিয়েছিল। অফস্টাম্পের ধারেকাছেও ছিল না বল। কিন্তু কী মনে করে যেন ডান হাত দিয়ে বল ঠেকালেন বাংলাদেশি ব্যাটার। এতে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ায় টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দলীয় ১০৪ রানে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। এতে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি ভাঙে টাইগারদের। এরপর দিপুও ফেরেন ব্যক্তিগত ৩১ রানেই। পরে নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদী মিরাজরাও দলের হাল ধরতে পারেননি আজ। ফলে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও চার উইকেট হারায় টাইগাররা।
১৪৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতি থেকে ফেরার পর শেষ সেশনের ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম হোসেন কিছুটা আশার আলো দেখালেও অপরপ্রান্তে সঙ্গীর অভাবে ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি। ফলে প্রথম দিনেই ১৭২ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার এবং ফিলিপস।
চলারপথে ডেস্ক :
মুন্সিগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফর্ম করছিলেন অপু বিশ্বাস ও নিরব। নাচ চলাকালীন অপু বিশ্বাসকে কোলে ওঠাতে গিয়ে পড়ে যান নায়ক নিরব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ট্রোলও করছেন। গত ১১ মার্চ মুন্সিগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তারা। যদিও পরিস্থিতি সামলে নাচ চালিয়ে যান অপু-নিরব।
কী কারণে পড়ে গিয়েছিলেন অপু-নিরব? এ প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন নায়ক নিরব। এ অভিনেতা বলেন, ‘‘মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি রিসোর্টে এ আয়োজন ছিল। সেখানে আমরা ‘হৃদয়ের আয়না’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘বিয়াইন সাব’সহ চারটি গানে পারফর্ম করি। এর মধ্যে শেষ গান ছিল ‘বিয়াইন সাব’। এ গানে পারফর্ম করার প্রায় শেষ মুহূর্তে হঠাৎ আমার কোল থেকে অপু পিছলে পড়ে যায়। যদিও আমরা কেউ ব্যথা পাইনি। ৫-৬ সেকেন্ড পরই স্বাভাবিকভাবে উঠে দাঁড়িয়ে আবার নেচেছি। এমনকী আবারো অপুকে কোলে নিয়েই নেচেছি।’’
কারণ উল্লেখ করে নিরব বলেন, ‘পড়ে যাওয়ার মূল কারণটা অনেকে জানেন না। সাধারণত একটি অনুষ্ঠানে যে রকম স্টেজ করা হয়, ওই স্টেজটি সে রকম ছিল না। আমরা টাইলসের ওপর নেচেছি। টাইলসে পা পিছলে যাচ্ছিল। আমরা কেউই টাইলসে নেচে অভ্যস্ত নই। যে কারণে বারবার জুতা পিছলে যাচ্ছিল। কার্পেট বা অন্য কিছু হলে এই ধরনের সমস্যা হতো না। জায়গাটা ছিল সংকীর্ণ, অপুর পোশাক ছিল পাতলা পলিয়েস্টার কাপড়ের। সেটাও কিছুটা পিচ্ছিল থাকায় কোলে নিয়ে নাচতে গিয়ে পড়ে যায়। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই।’
নিরব-অপু সর্বশেষ ‘ছায়া বৃক্ষ’ নামের সিনেমায় অভিনয় করেন। বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত এই সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মানিকগঞ্জে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় ১৫ গুণী শিল্পীকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
আজ ১২ জুলাই শুক্রবার দুপুরের দিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভা শেষে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ২০১৮, ১৯ ও ২০ সালে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলার ১৫ জন গুণী শিল্পীকে এই বিশেষ সম্মাননা, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
গুণী শিল্পীরা হলেন- লোক সংস্কৃতিতে সামগ্রিক অবদানের জন্য মো. আবুল বাশার আব্বাসী (২০১৮), কণ্ঠ সংগীতের জন্য বিউটি আক্তার (২০১৮), যাত্রা শিল্পী গোকুল ঘোষ (২০১৮), চারুকলা পরিমল চন্দ্র অধিকারী (২০১৮), নাট্যকলা হরিপদ সূত্রধর (২০১৮), কণ্ঠ সংগীত রতন কুমার সাহা (২০১৯), সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল ইসলাম শিকদার (২০১৯), চারুকলায় গোপাল চন্দ্র পাল (২০১৯), যাত্রা শিল্পী তাপস সরকার (২০১৯), যন্ত্র সংগীত মো. তসলিম উদ্দীন (২০১৯) সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক বিপ্লবী সংঘ (২০২০), চারুকলা মো. খোরশিদ আলম (২০২০), কণ্ঠ সংগীত রুমানা ইসলাম (২০২০), যন্ত্র সংগীতে গোবিন্দ চন্দ্র রায় (২০২০) ও লোক সাংস্কৃতিক মো. হাকিম উদ্দীন (২০২০)।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও পরিচালক অরুনা বিশ্বাসসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে নাগালে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৯৫ রানে আটকেও জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য ভুল করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতের নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে নিগার সুলতানারা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। সুলতানা-রাবেয়াদের বোলিং তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১০২ রান।
দলটির হয়ে তিনে নামা জেমিমাহ রদ্রিগুয়েজ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা হারমনপ্রীত কাউর আউট হন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলে।
জবাব দিতে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ওপেনার শামীমা সুলতানা ও নিগার সুলতানার ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক নিগার ১৪ রান করে আউট হন।
অন্য প্রান্তে ছিলেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। তিনি ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন দলের ৮৫ রানে। তার ব্যাট থেকে ৪৬ বলে আসে ৪২ রানের ইনিংস। তিনটি চারের শটে ওই রান করেন তিনি। বাকি পথটা ঋতু মনি ও নাহিদা আক্তার পাড়ি দেন। ঋতু ৭ রান ও নাহিদা খেলেন ১২ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে সুলতানা খাতুন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাবেয়া খান ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া নাহিদা, ফাহিমা ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরি জাজ মাল্টিমিডিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়।
পূজা চেরি লেখেন, ‘আমার ১৪ বছর বয়সে জাজ আমাকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিয়েছে। আমি জাজেরই সৃষ্টি, জাজেরই মেয়ে। আগে মনে করতাম জাজ মানে শুধুই জাজ। কিন্তু আসলে আবদুল আজিজ ভাইয়া, খোকন ভাইয়া, বাপ্পি ভাইয়া, মাহি আপু, নুসরাত ফারিয়া আপু, রোশান, সিয়াম, সৈকত নাসির ভাইয়া, রায়হান রাফি ভাইয়াসহ আরো অনেকে মিলেই জাজ। আমার অল্প বয়সের কারণে আমি একটি ভুল করেছি। আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে আপনাদের ছোট বোন ও সহকর্মী হিসেবে ক্ষমা করে দেবেন।
উল্লেখ্য, জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে নাম লেখান পূজা চেরি। এ প্রতিষ্ঠানেরই কয়েকটি চলচ্চিত্রে টানা অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। ‘নূরজাহান’, ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ ছবিগুলোর নায়িকা তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গে পূজার প্রেমের গুঞ্জন রটেছিল। এরপর ব্যক্তিগত মনোমালিন্য তৈরি হয়। জাজ থেকে বেরিয়ে আসেন পূজা।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি চাইছিল পূজা চেরি শুধু তাদের সঙ্গেই কাজ করুক। পূজার সঙ্গে তাদের তেমনই চুক্তি ছিল। ১৪ বছর বয়সে চুক্তিটি করেন পূজা।
অল্প বয়সে করা সেই চুক্তি থেকে বের হয়ে পূজা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাইলেও স্বাচ্ছন্দ্যে পারছিলেন না।
এদিকে আবদুল আজিজও বারবার পূজা চেরিকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ফেরাতে চাইছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গেছে। আবদুল আজিজের মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসায় মিটিংও হয়েছে। এরপরই পূজা ফিরতে জাজে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁজরের চোটে ব্র্যান্ডন কিং ছিটকে না গেলে এই ম্যাচে হয়তো খেলাই হতো না শাই হোপের। সেই হোপ ঘরের মাঠ বার্বাডোজে সুযোগের সদ্ব্যবহার কী দারুণভাবেই না করলেন! ওপেনিংয়ে নেমে একাই মারলেন ৮ ছক্কা। ৩ ছক্কা মেরে তাতে যোগ দিলেন নিকোলাস পুরান।
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে তারা। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেও দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। সেমির রেসে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততেই হতো তাদের। সেই কাজটিই এবার করে ফেলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে ১২৮ রানে থামিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে জয় তুলেছে ৫৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে। তাতে সেমির রেসে রান রেটেও অনেকটা এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই স্বাগতিকের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন ছক্কা-বৃষ্টিতেই উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। কেনসিংটন ওভালে আজ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৮ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে গেল।
এ জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই হারে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
হোপ ৩৯ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বার্বাডোজের আরেক সন্তান রোস্টন চেজ। এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহকে বড় হতে দেননি।
সেন্ট লুসিয়ায় গত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮০ রান করেও বাজেভাবে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন বাটলারের দল রান তাড়া করে ৮ উইকেট আর ১৫ বল বাকি রেখে। ওই হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেটেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ তাই আগের ম্যাচের ক্ষতিই যেন পুষিয়ে দিতে নেমেছিল ক্যারিবীয়রা। হোপ-পুরানের ব্যাটিং–তাণ্ডব সেটা পুষিয়ে তো দিয়েছেই; সঙ্গে সুপার এইটের গ্রুপ ২-এ নেট রানরেটেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এই গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ২ পয়েন্ট করে হলেও নেট রানরেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রান তাড়ায় আজ জনসন চার্লসকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৮ রান এনে দেন হোপ। সপ্তম ওভারের শেষ বলে চার্লস ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হলেও এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর দিয়ে ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়েছেন হোপ ও পুরান। ৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১ উইকেট ৭৫। জয়ের জন্য দরকার ৭২ বলে ৪৯। হোপ-পুরান এখান থেকে বাকি কাজ সেরেছেন মাত্র ১৭ বলেই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে স্টিফেন টেলরকে হারালেও আন্দ্রিস গুস ও নীতীশ কুমারের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪৮ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারে এ জুটি ভাঙতেই মার্কিনদের ইনিংসে মড়ক লাগে। সব ব্যাটসম্যান যেন আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১২৮ রান করতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
ছক্কা মারা ক্যারিবিয়ানদের নেশা—তা সবার জানা। এ ম্যাচ সেটাই নতুন করে মনে করিয়ে দিল। চারের (৭টি) চেয়ে তাদের ছক্কার (১১টি) সংখ্যাই বেশি।
এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা দুই ম্যাচ জিতে অনেকটাই সেমি নিশ্চিত করে ফেলেছে। কাজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন সেমির জন্য লড়তে হবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। যেখানে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেমি নিশ্চিত করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। যেখানে দু’দলই জয় পেলে তখন হিসেবে আসবে নেট রান রেট। তবে আপাতত দারুণ জয়ে নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯.৫ ওভারে ১২৮ অলআউট
(গুস ২৯, নীতীশ ২০, মিলিন্দ ১৯, শালকভিক ১৮; চেজ ৩/১৯, রাসেল ৩/৩১, জোসেফ ২/৩১, মোতি ১/১৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০.৫ ওভারে ১৩০/১
(হোপ ৮২*, পুরান ২৭*, চার্লস ১৫; হারমিত ১/১৮)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।