চলারপথে রিপোর্ট :
স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে রত্না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাতে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
রত্না বেগম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মরম আলীর মেয়ে ও বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, মাত্র তিন মাস আগে রত্না বেগমকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে রত্নাকে যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে এমন অভিযোগ নিহতের পরিবারের। দু-দিন আগে ৪০ হাজার টাকার জন্য রত্নাকে ফোনে গালাগালি করেন রমজান মিয়া। পরে রমজানের সঙ্গে অভিমান করে রত্না নিজ ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর ইসরাইল কর্তৃক বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও ইসরাইলী পণ্য বর্জনের দাবিতে এবং ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সরাইল উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে উচালিয়ায়াপাড়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উচালিয়াপাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও সৈয়দটুলা সুফিয়া করিম মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সহস্রাধিক আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ও তৌহিদি মুসলিম জনতা অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা এলজিইডির অধীনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ৩ এর মহিলা কর্মীদের মাঝে জরুরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এলজিউডির প্রধান প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রামের অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী কে কর্মসংস্থান এর আওতায় আনা এবং তাদের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো আবদুল মান্নান এর কর্মতৎপরতায় আজকে সরাইল উপজেলার ৯০ জন নারী উপকার ভোগীর মাঝে পিপিই, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহ ফাষ্ট এইড বক্স, মাটি কাটার ঝুড়ি, কোদাল, দা, দুরমুজ, কাজের সময়ে পানি খাওয়ার কলস বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন বর্তমানে যে প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে হবে। তাহলেই রাস্তা টেকসই হবে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দশ জন করে অতিদরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্রতা দূর করছেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো: আবদুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী, মো: এসকান্দর আলী উপজেলা সার্ভেয়ার সহ এলজিইডি সরাইল উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে চুরির অপবাদে জাহিদুল ইসলাম পরশ-(২১) নামে এক যুুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরশ মারা যায়। নিহত পরশ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আবেদ মিয়ার ছেলে।
আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত দুইদিন আগে পাশের বাড়ির আলমগীর মিয়ার বাড়িতে টিউবওয়েলের একটি পাম্প চুরি হয়। সেই চুরির অপবাদেবৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহজনকভাবে পরশকে প্রতিবেশী শফিক, মঈনুদ্দিন, বাবুসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে।
আহতবস্থায় পরিবারের লোকজন পরশকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরশ মারা যায়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের ব্যনারে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে প্রবেশের প্রধান সড়কে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন হয়।
সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সরাইল এর হিসাবরক্ষক মোঃ আবুল হাসেম ভূঁইয়া এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, জমিয়তুল মোদাররেছিন বাংলাদেশ এর সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি ও সরাইল রাহমাতুল্লিল আলামিন দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আবু আক্কাছ হায়দার, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন, সামসুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন আর রশিদ ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ফরাস উদ্দিন।
মানববন্ধন শেষে মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া এর নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মাসুদুর রহমানসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, এলাকার সুধীজন, অভিভাবক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় চার কেজি গাঁজাসহ মো. বিশাল ভূঁইয়া (২৩) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল থানাধীন বিশ্বরোড মোড়ের পশ্চিম পাশে সাফকো সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বিশাল ভূঁইয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আবুদাবাত গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশিস কুমার স্যানাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিশাল ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চার কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।