অনলাইন ডেস্ক :
মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি স্টেশন এবং বিজয় সরণি স্টেশন আগামী ১৩ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আগামী ৩ মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের সবগুলো স্টেশন চালু করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৩ ডিসেম্বর বিজয় সরণি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চালু হবে। বাকি দুই স্টেশনও কর্মপরিকল্পনার ভেতরেই চালু করা হবে।
শিডিউলে পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত সময়সূচি আগের মতোই থাকবে। তবে সফটওয়ারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। অর্থাৎ, সবগুলো স্টেশন চালু হলে সময়সূচিতে পরিবর্তন আসবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ১৩ ডিসেম্বর দু’টি স্টেশন চালুর পর মেট্রোরেলের মোট ১৭টি স্টেশন চালু হয়ে যাবে। তখন চালু হওয়ার বাকি থাকবে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ স্টেশন। তবে আমরা রাতদিন কাজ করছি। আমাদের টার্গেট জানুয়ারির মধ্যে বাকি দুই স্টেশন চালু করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় চালু করা হচ্ছে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশের হাসপাতালেই যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই তিনি এখন অনেকটা সুস্থ দাবি করে মন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়ার কিছু অসুখ সারার মতো না। সেগুলো চিকিৎসা করে কমিয়ে রাখতে হবে।
আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে গত শুক্রবার গভীর রাতে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গতকাল ২৩ জুন রবিবার তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার লাগানো হয়েছে। এখনো ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার দাবি উঠলেও আইনি বাধার কথা বলে তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।
সচিবালয়ে সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীর যে চিকিৎসা প্রয়োজন তিনি যে হাসপাতালে আছেন, সেই হাসপাতাল থেকে সেটি পাচ্ছেন বলেই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। তবে তার যেসব অসুখ আছে তারমধ্যে কিছু সারার মতো না, সেগুলোকে ট্রিটমেন্ট করে কমিয়ে রাখতে হবে।’
‘খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না’ বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হলেও তা উড়িয়ে দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘যখন দেশের চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে তার কিছু চিকিৎসা করতে হবে, তখন সরকার কিন্তু এর অনুমতি দিতে কার্পণ্য করেনি। সে সময়ও আমি সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়েছি। আমার জন্য খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন না, যারা এই কথা বলছেন তারা নিজেকেই হাস্যরসে পরিণত করছেন।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভারসাম্য ঠিক নেই বলেই তারা এসব বলছেন। সংবাদ সম্মেলন করে যদি তারা আমার প্রতি রাগ, উষ্মা প্রকাশ করতে চান সেটা তাদের ব্যাপার। বাংলাদেশে সবকিছুর স্বাধীনতা আছে। তারা সেটা করতে পারে, কিন্তু আমি আশা করব তারা সত্য কথা বলবেন এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।’
সরকারের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আন্তরিক বলেই বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানকার চিকিৎসকরা বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার অনুমতি দিতে একটুও কার্পণ্য করেনি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পঞ্চগড়ে ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ে ১৪ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা কর্মসূচির শুরু উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সরকারি অডিটরিয়াম চত্ত্বরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও জেলা বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিয়াজ উদ্দিন। পরে মেলায় অংশ নেওয়া নার্সারি স্টলগুলো পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
পরে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন, বিভাগীয় সহকারী বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার, পঞ্চগড় বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মধূসদন বর্মন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার শেষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের হাতে ফলজ বনজ ও ওষুধি গাছের চারা তুলে দেন অতিথিরা।
এবারের মেলায় ৩০টি স্টলে ১৪ দিনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার চারা বিক্রির আশা করছেন বন বিভাগ।
এর আগে বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বরিশালবাসীকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে নৌকায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারলে বরিশালে ছয় লেনের রাস্তাসহ অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। যখন জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আসলে দেশ এগিয়ে যায়। কাজেই এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।
এ সময় নতুন ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার আহ্বান, যারা প্রথমবার ভোট দিতে আসবেন, নিশ্চয় চাইবেন না যে, আপনার ভোট ব্যর্থ হোক। কাজেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
আওয়ামী লীগ যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করে, তখন বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেললাইন কেটে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ মরার ফাঁদ পাতে। মা আর সন্তানকে একসাথে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এই দৃশ্য বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। গাড়িতে আগুন দেয়। ২০০১ সালের অগ্নিন্ত্রাস শুরু করেছিল। এরপর ২০১৩, ২০১৪ সালের পর এখন আবার শুরু করেছে।
“আমি ধিক্কার জানাই, ওই বিএনপি-জামায়াতকে। বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, ওদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে। তাদের এদেশের মানুষ চায় না। তাদের দোসর কে? যারা একাত্তরের গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়েছে। যাদের বিচার করেছি, সাজা দিয়েছি; সেই যুদ্ধাপরাধীরা হচ্ছে তাদের দোসর।”
তিনি বলেন, একদল হচ্ছে খুনি, সন্ত্রাসী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানিলন্ডারিং এবং যত প্রকার অপকর্ম…এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী সেই দল। তার সাথে জুটছে যুদ্ধাপরাধী দল। এরা নির্বাচন চায় না। বানচাল করতে চায়।
নৌকায় ভোট দিলে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরিক হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আহ্বান, আপনারা ৭ তারিখে সকলে সকাল সকাল সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। মার্কাটা কি? নৌকা মার্কা। এই নৌকা হচ্ছে নুহ (রা.) নবীর নৌকা। মহাপ্লাবন থেকে মানুষকে রক্ষা করেছিল।
“এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিয়ে আজকে দারিদ্র বিমোচন হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।”
আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিখাতে দেশকে এগিয়ে নিতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে দরে শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ জনশক্তি আমরা গড়ে তুলতে চাই। যাতে বিশ্বের সঙ্গে শিক্ষা-দীক্ষায় সব দিক থেকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম চলতে পারে।
“ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের ছেলে মেয়ে সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিখবে। দক্ষ জনশক্তি হবে। আমাদের সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্ট সরকার হবে, আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট অর্থনীতি হবে, সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হবে।”
দেশের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বরিশালে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আজকে অবহেলিত বরিশাল আজ কোথায় আছে। বরিশাল কি উন্নত হয়েছে?’ এ সময় উপস্থিত জনতা দু’হাত তুলে বরিশালের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বরিশাল বিভাগে নৌবাহিনীর ঘাটি করেছি, সেনানিবাস করেছি, এলাকার উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি, সেখানে সোলার প্যানলসহ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। ভোলার গ্যাস সিএনজি করে ঢাকায় নিচ্ছি। ভবিষ্যতে বরিশালেও নিয়ে আসব যাতে আরও শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে।’
“তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কুয়াকাটায় চলে আসবে, সেখানে স্থাপন করা হবে যাতে দক্ষিণাঞ্চলের ইন্টারনেট নির্বিঘ্ন হয়। বরিশাল ছিল অন্ধকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, এখন প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কথা দিয়েছিলাম কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। কথা রেখেছি। আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম, এখন দিন বদলে গেছে।”
ভাঙা থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা এবং পায়রা পোর্ট পর্যন্ত ছয় লেনের রাস্তা তৈরি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই বরিশালে আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।
এ সময় বরিশাল একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, মেরিন একাডেমি করে দিয়েছি, প্রতিটি নদীর ওপর সেতু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বরিশাল ছিল শষ্য ভাণ্ডার। আবারও সেই সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য খাদ্য সংরক্ষণাগার করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে দক্ষিণাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেটা মাথায় রেখে ডেল্টা প্লান ২১০০ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা আমি করে দিয়েছি। কাজেই এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কারা পারবে? একমাত্র আওয়ামী লীগ পারবে।
এ সময় তিনি বলেন, দারিদ্রের হার ৪১ থেকে ১৮.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫.১ ভাগ ছিল, তা ৫.৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশের হতদরিদ্র থাকবে না। আমরা গৃহহীণদের ঘর করে দিচ্ছি। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে, জমি পাবে। কেউ গৃহহীন থাকবে না।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির অভয়ারণ্য করেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার যুগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ থেকে থেকে ২০০১ সালে দেশ যত এগিয়েছিল, তারপর তার থেমে গেল। চক্রান্ত করে ২০০১ এ আমাদের হারানো হয়। এরপর যে অথ্যাচার শুরু হলো। এই বরিশাল থেকে ২৫ হাজার জনগণ আমার কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছিল। কেউ ঘরে থাকতে পারত না। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হাড়গুড়ো করে মারা, ঘরবাড়ি দখল করা, মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা, ফাহিমা-মহিমা কতো মানুষ আত্মহত্যা করেছে। এইভাবে তাদের অত্যাচার চলেছিল।’
“২০০১ থেকে ২০০৬ ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার যুগ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও ওই বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তাদের ভাগ্য গড়েছিল।”
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময়ে সমস্ত দেশের গ্রেনেড হামলা বোমা হামলা। এমনকি আমার ওপর পর্যন্ত গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাঁচিয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আমাদের মানবঢাল করে সেদিন রক্ষা করেছিল। এই বাংলাদেশকে তারা একটা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দুর্নীতির অভ্য়ারণ্য করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী তার জনসভার শেষ দিকে বরিশাল বিভাগের নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বরিশালবাসীর কাছে ভোট চান।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার দেশ ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ১৪ জুলাই রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. হাছান জানান, এই ৩ হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরো কর্মী নেয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ২০৩২ সাল পর্যন্ত যেন আমাদের পণ্যের জন্য ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্কহ্রাস সুবিধাসহ এখন যে অন্যান্য সুবিধা পাই, সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১১-১২ জুলাই অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।