অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিএনপি ও তার সঙ্গীরা ছাড়া প্রায় ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, জমা দেওয়া ও বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সারা দেশের ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ছাড়া তেমন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। নামমাত্র কয়েকটি দল অংশ নেওয়ায় নৌকার প্রার্থীরা ‘টেনশনহীন’ ভাবেই সময় পার করছেন।
৩২ আসনের প্রতিযোগিতামূলক স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। সেখানে নামমাত্র ভোটে বিজয় নিশ্চিত হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে দলীয় কোনো বিষয় নেই, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। কমিশন আচরণবিধি অনুযায়ী চলছে। প্রার্থীরা আদালত পর্যন্ত যেতে পারে। সেখানে আলটিমেটলি যে সিদ্ধান্তে আসবে সেটার ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। এ ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত করার কোনো প্রক্রিয়াতে আমরা নেই।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও দলের প্রভাবশালী নেতার আসনে দলীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেননি। তার মধ্যে ৩২টি আসন রয়েছে। এসব আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।
সেগুলো হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪. কুমিল্লা-৯ ও কুমিল্লা-১০, নোয়াখালী-৫, চট্টগ্রাম-৭, ৯ ও ১৩, কক্সবাজার-২, পঞ্চগড়-২, মাগুরা-১, বাগেরহাট-১, পটুয়াখালী-১, শরীয়তপুর-৩, সিলেট-৪ ও ৬, কিশোরগঞ্জ-৪, মানিকগঞ্জ-৩, ঢাকা-১, ঢাকা-৯, ঢাকা ১৫, নারায়ণগঞ্জ-৫, মাদারীপুর-১ ও ২, টাঙ্গাইল-১, টাঙ্গাইল ৮, ময়মনসিংহ-৯, ভোলা-২, বরিশাল-১, ঝালকাঠি-২, বগুড়া-৫ সিরাজগঞ্জ-২ এবং পাবনা-৫ আসন।
এসব আসনের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ক ম রুহুল হক, সাবের হোসেন চৌধুরী, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আসন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থীরা আদালতে গেছেন। আদালতের রায় কী হয় সেটা তো আমরা বলতে পারি না। আগামী ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিবিহীন ভোটে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগ, তাদের জোট ও সমমনা দলের প্রার্থীরা। এবার বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে ‘ডামি’ প্রার্থী রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ না করতে দলীয় প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলীয় প্রধানের এমন নির্দেশনার পরও প্রভাবশালী নেতারা নামমাত্র ‘ডামি’ প্রার্থী দিয়েছেন। যাকে কেউ চিনেও না। যার নাম কেউ কখনো শুনেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির সভাপতি। সেখানে নির্বাচনকে উৎসব ও প্রতিযোগিতামূলক করতে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যান্য দলের কেউ প্রার্থী হলে সহযোগিতা ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসারও নির্দেশ দেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা-১৫ আসনের এক নেতা বলেন, এই আসনে বর্তমান এমপি কী যোগ্য? আর কেউ নেই। অবশ্যই আছে। অনেকেই নৌকার সঙ্গে লড়তে চান। কিন্তু কাউকেই করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে বিজয় রাখতেই এই কৌশল নিয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা। আর নেত্রী তো ‘ডামি’ প্রার্থীর কথা বলেছেন, ঢাকার অধিকাংশ আসনে অচেনা মুখকেই ‘ডামি’ প্রার্থী করা হয়েছে। নেত্রী যে উদ্দেশ্যে বলেছেন, নেতারা তার উল্টো করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। সেই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব, একটা সুষ্ঠু ভোট দিতে হবে।’ গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই সভা হয়। সভায় কয়েক শ নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।
সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেশের মালিক আপনারা-জনগণ, আপনারা যাকে ভোট দেবেন, তারাই দেশ চালাবে। আপনাদের ভোট ছাড়া যারা দেশ চালাবে, তারা অবৈধ।’
রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা শেষমেশ দেশ থেকে পলাইতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের লড়াই কিন্তু শেষ হয় নাই। এখন সুষ্ঠু ভোটের লড়াই চলছে। আমরা এখনো নির্বাচনের তারিখ নিতে পারি নাই।’ সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অনেকে বলে আপনি তো ঢাকা থেকে নির্বাচন করতে পারেন। আপনি গ্রামে সরাইল-আশুগঞ্জে থেকে কেন নির্বাচন করতে চান। আমি বলি নাড়ির টানে এখানে আসি। আমি আপনাদের সন্তান। আমি এখান থেকে নির্বাচন করতে চাই। আল্লাহ যদি আমাকে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য করে। তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েদের আর ঢাকায় যেতে হবে না। এখানেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেব। এখানকার শিক্ষার উন্নয়ন করব। বাচ্চাদের পড়াশোনার মান, স্কুল-কলেজের পড়াশোনার মান উন্নত করব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণকে পাশে নিয়ে আমরা নির্বাচন করব। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবে। ছাপানোর কালচারে আমরা বিশ্বাসী না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয় সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের আউলিয়া বাজার ঈদগাঁ মাঠে পাহাড়পুর ইউনিয়নে বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত, রাষ্ট্রসংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনমত গঠনের জন্য পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যাই করেন না কেন জনগণকে সম্পৃক্ত রাখবেন। ভুলেও চিন্তা করবেন না আওয়ামী লীগের মতন আর কোনো ছাপানো নির্বাচন আবার হবে। আমরা তা হতেই দেব না। কারণ এই ধরনের কালচার আমরা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। এই ধরনের কালচার আমরা বিশ্বাস করি না। এসময় তিনি আরো বলেন, নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেন যাতে আগামী নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকেই ভোট দেয়।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেছেন। এমনও দৃষ্টান্ত আছে যে, তারা স্মাগলিং করতে গিয়ে নিজেদের লোক পর্যন্ত তারা নিজেরাই মেরে ফেলেছেন।
জনসভায় পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নাফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জমির হোসেন দস্তগীর, সদস্য সচিব সচিব অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, মো. ইয়াহিয়া খান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নবঅনুমোদনকৃত কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়েছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মঈনউদ্দিন মঈন, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এ্যারোমা দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনসারী, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, কাজী হারিসুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম, এমবি কানিজ, মোস্তাক আহমেদ ভূঞা, মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য বাবুল মিয়া, অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাইদুজ্জামান আরিফ, আলামিনুল হক আলামিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এজন্য কমিশনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, সিইসি।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। সেই পরিবেশই থাকবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের আরও বলেন, কোথাও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন ব্যবস্থা নেয়, সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, নির্বাচন সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, সবার প্রয়াসে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু সব সময়ই স্বচ্ছতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আপনাদের চেষ্টায়, আমাদের চেষ্টায়, প্রার্থীদের চেষ্টায় এবং ভোটারদের চেষ্টায় এ নির্বাচন সফল হবেই। আজকের মতবিনিময় সভায় আলোচনা শেষে আমরা সবাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারাও যথেষ্ট আন্তরিক। তবে কিছু সমস্যার কথা এসেছে। আমরা শুনেছি। স্থানীয় প্রশাসন কথা বলেছে। সমস্যাগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, সে গাইডলাইনও আমরা দিয়েছি। আশা করি, তারা আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তা তারা আন্তরিকভাবে পালনের চেষ্টা করবেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজশাহী সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলামসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় প্রার্থীদের অনেকে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। সিইসি এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সার্কিট হাউজে মতবিনিময় শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ১৬ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসলেন (সাবেক ছাত্রনেতা, যুবদল নেতা), বর্তমান যুক্তরাজ্য কৃষকদলের সদস্য সচিব শাহ্ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঢাকা থেকে সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরলে ঘাটুরায় উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মী ও এলাকাবাসী।
এসময় থাকে বরণ করে নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আতিকুল ইসলাম জালাল, শামিম, আলিফ, ইমন, সাংবাদিক আবু সুফিসহ বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে কিছুদিন পর হামলা-মামলার কারণে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে থেকে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর বিরোধিতা করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনের ভূমিকা পালন করেন। শাহ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, স্বৈরচারী খুনি হাসিনার সরকারের সময় বিরোধী মতের যারা ছিলেন কেউ দেশে আসতে পারেনি। বিমানবন্দরের পাসপোর্ট ব্লক করে রেখেছিল। বিগত ১৬ বছর দেশে স্বৈরাশাসক থাকায় তিনি দেশে আসতে পারেননি, ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ায় দেশ আবার নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। তাই তিনি নির্ভয়ে দেশে আসতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা প্রবাসী ও কলম যুদ্ধা অবস্থান করছি সবাই গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মানবাধিকার বিষয়ক এক সেমিনার যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম মালিক এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে এনে সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি তুলে ধরি। আমরা আশা করি নতুন করে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের প্রতিনিধি হতে দেশ গড়ার দায়িত্ব তুলে দিবেন। আমাদের দলের তারুণ্যের অহংকার বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাবার আশাব্যক্ত করেন। ব্রাহ্মণবাডিয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ার কৃতি সন্তান, (সাবেক ছাত্রনেতা, যুবদল নেতা), বর্তমান যুক্তরাজ্য কৃষকদলের সদস্য সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত ও অত্যন্ত কাছের মানুষ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম মালিক, প্রিয়ভাজন স্বৈরাচার খুনী হাসিনার আতংক শাহ্ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, স্বৈরাচার খুনী হাসিনার মামলা-হামলায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর তার নিজ বাড়িতে আসেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন, লন্ডন শহরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। যুক্তরাজ্যের সদ্য বিদায়ী ক্ষমতাসিন দলের (ইলিং সাউথহল) ডিপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন, লন্ডন চেম্বার অব কমার্সের সদস্য। তাছাড়াও তিনি লন্ডনের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।