অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিএনপি ও তার সঙ্গীরা ছাড়া প্রায় ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, জমা দেওয়া ও বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সারা দেশের ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ছাড়া তেমন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। নামমাত্র কয়েকটি দল অংশ নেওয়ায় নৌকার প্রার্থীরা ‘টেনশনহীন’ ভাবেই সময় পার করছেন।
৩২ আসনের প্রতিযোগিতামূলক স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। সেখানে নামমাত্র ভোটে বিজয় নিশ্চিত হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে দলীয় কোনো বিষয় নেই, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। কমিশন আচরণবিধি অনুযায়ী চলছে। প্রার্থীরা আদালত পর্যন্ত যেতে পারে। সেখানে আলটিমেটলি যে সিদ্ধান্তে আসবে সেটার ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। এ ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত করার কোনো প্রক্রিয়াতে আমরা নেই।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও দলের প্রভাবশালী নেতার আসনে দলীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেননি। তার মধ্যে ৩২টি আসন রয়েছে। এসব আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।
সেগুলো হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪. কুমিল্লা-৯ ও কুমিল্লা-১০, নোয়াখালী-৫, চট্টগ্রাম-৭, ৯ ও ১৩, কক্সবাজার-২, পঞ্চগড়-২, মাগুরা-১, বাগেরহাট-১, পটুয়াখালী-১, শরীয়তপুর-৩, সিলেট-৪ ও ৬, কিশোরগঞ্জ-৪, মানিকগঞ্জ-৩, ঢাকা-১, ঢাকা-৯, ঢাকা ১৫, নারায়ণগঞ্জ-৫, মাদারীপুর-১ ও ২, টাঙ্গাইল-১, টাঙ্গাইল ৮, ময়মনসিংহ-৯, ভোলা-২, বরিশাল-১, ঝালকাঠি-২, বগুড়া-৫ সিরাজগঞ্জ-২ এবং পাবনা-৫ আসন।
এসব আসনের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ক ম রুহুল হক, সাবের হোসেন চৌধুরী, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আসন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থীরা আদালতে গেছেন। আদালতের রায় কী হয় সেটা তো আমরা বলতে পারি না। আগামী ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিবিহীন ভোটে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগ, তাদের জোট ও সমমনা দলের প্রার্থীরা। এবার বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে ‘ডামি’ প্রার্থী রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ না করতে দলীয় প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলীয় প্রধানের এমন নির্দেশনার পরও প্রভাবশালী নেতারা নামমাত্র ‘ডামি’ প্রার্থী দিয়েছেন। যাকে কেউ চিনেও না। যার নাম কেউ কখনো শুনেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির সভাপতি। সেখানে নির্বাচনকে উৎসব ও প্রতিযোগিতামূলক করতে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যান্য দলের কেউ প্রার্থী হলে সহযোগিতা ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসারও নির্দেশ দেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা-১৫ আসনের এক নেতা বলেন, এই আসনে বর্তমান এমপি কী যোগ্য? আর কেউ নেই। অবশ্যই আছে। অনেকেই নৌকার সঙ্গে লড়তে চান। কিন্তু কাউকেই করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে বিজয় রাখতেই এই কৌশল নিয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা। আর নেত্রী তো ‘ডামি’ প্রার্থীর কথা বলেছেন, ঢাকার অধিকাংশ আসনে অচেনা মুখকেই ‘ডামি’ প্রার্থী করা হয়েছে। নেত্রী যে উদ্দেশ্যে বলেছেন, নেতারা তার উল্টো করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ জন প্রবীণতম নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২৩ জুন রবিবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জমকালো ও বর্ণাঢ্য এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সম্মাননাপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, মুসলিম মিয়া, আবুল কালাম ভূঞা, অ্যাড. হামিদুর রহমান, গোলাম ইসহাক, হেবজুল বারী, নিয়াজ মুহাম্মদ খান, আলী আকবর, আবদুল মতিন দারু, কাজী হারিছুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন, আবদুল হাই মাস্টার, কার্তিক চন্দ্র দাস, ফুল মিয়া ভূঞা, মিসেস মিনারা আলম, মিসেস মমতাজ বাশার, মিসেস রেহেনা বেগম রানী, অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার, ডা. রাফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. আজিজুর রহমান, অসীম কুমার পাল, নজির শাহ, মফিজ উদ্দিন, মো. আবদুর রহিম খান, হাজি মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সত্তরোর্ধ নেতাদের ফুলের তোড়া, মেডেল, ক্রেস্ট ও শাল উপহার প্রদান করা হয়।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হাজি মুজিবুর রহমান বলেন, ৭৫ এর পর আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। আজ আজীবন সম্মাননা পেয়ে মনে হচ্ছে তখনকার বাড়ি পোড়ানো আজ সম্মান আর মর্যাদা এনে দিয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ডা. রাফি উদ্দিন বলেন, জীবনভর আওয়ামী লীগ করে বয়সের শেষ সময়ে এসে যে সম্মান জেলা আওয়ামী লীগ দেখালো তা আমৃত্যু প্রেরণা যোগাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ ২৫ জন নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তারা বুঝতে পারবে দলের প্রতি সবসময় অনুগত থাকলে, অবিচল আস্থা রেখে দলের কাজ করলে একসময় না একসময় সম্মান আসে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ো অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই-সংগ্রাম আর এগিয়ে চলার ইতিহাস। আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় স্ফীংসের মতো আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অগ্রসর চিন্তার আরেক নাম। তাই যতোদিন বৈষম্যহীন সমাজ, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততোদিন আওয়ামী লীগের সংগ্রামশীলতা চলবে। তিনি আরো বলেন, প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই তেমনি আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আজীবন সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে সকাল ৬ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর মহিলা কলেজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এম এ মান্নান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জয়কে দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশ উল্লেখ করে তার সৃষ্টিলগ্নে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৭টি বছর আমাদের কোন বাক স্বাধীনতা ছিল না, সাংবাদিকরাও সত্য লিখতে পারেননি,তাদের হাত পা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আজ আমরা স্বাধীন, এই স্বাধীন দেশে মুক্ত বাতাসে আপনাদের সামনে এসেছি, নবীনগরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বিদুৎ,গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নসহ দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও উপজেলার ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল সভাপতিত্ব করেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, নবীনগর বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি ও সাবেক পৌর প্রশাসক মো: মলাই মিয়া, ওবায়দুল হক লিটন, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, আশরাফুল ইসলাম রাজু, জহিরুল হক জুরু মিয়া, মো: শুক্কর খান, আশরাফ হোসেন দুলাল প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এখনও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তারা নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনারও সুযোগ রয়েছে। অবশ্য, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে নির্বাচনে ভোটার কিংবা প্রার্থীদের কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।’
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। টানা তিন ঘণ্টা পর বৈঠকটি শেষ হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে একটি সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য এই বৈঠক। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনে কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক জরুরি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় বিষয় নোট নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনও আসনকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করে যাবে। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে যা যা করা প্রয়োজন, কমিশন তা করবে। সেই উদ্দেশে আমরা চার নির্বাচন কমিশনার সারাদেশে সরেজমিন যাচ্ছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে নাশকতা ও সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে শহরের ঘাটুরা এলাকায় বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৯-এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি। গত ২৬ জুন ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যের কমিটিতে তিনি প্রথমবারের মতো সহ-সভাপতির পদ পান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ২৪০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগ করা হয়। ওই মামলার ২৩ নম্বর আসামি চিকিৎসক আবু সাঈদ।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে ঘাটুরায় বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালান র্যাবের সদস্যরা। অভিযানে তাঁদের সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসক নেতা আবু সাঈদকে আটক করে সদর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে র্যাব। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাশকতা ও সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি আবু সাঈদ। ওই মামলায় র্যাব তাকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।