চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিদের্শক্রমে তাদের সম্মতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাঁচ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করা হয়েছে।
এর মধ্যে ইউএনওদেরকে অন্য জেলায় ও ওসিদের নিজ জেলার অভ্যন্তরে অন্য থানায় বদলি করা হয়। গত দুইদিনে এসব বদলি বিষয়ে পৃথক আদেশ হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙামাটির রাজস্থালী, সরাইলের সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট, আখাউড়ার অগ্যংজাই মারমাকে চট্টগ্রামের রাউজান, নাসিরনগরের ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায়, বাঞ্ছারামপুরের একি মিত্রকে চাঁদপুরের মতলবে বদলি করা হয়।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ বিজয়নগরে, নোয়াখালী চাটখিলের মোহাম্মদ ইমরানুল হক নাসিরনগরে, কুমিল্লার মেঘনার রাবেয়া আক্তারকে আখাউড়ায়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মেজবাহ উল আলমকে সরাইলে ও বান্দরবানের থানচির মুহা. আবুল মনসুরকে বাঞ্ছারামপুরে পদায়ন করা হয়।
এদিকে, চারটি থানার ওসি রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলামকে বিজয়নগর থানায়, বিজয়নগর থানার রাজু আহমেদকে কসবা থানায়, কসবার থানার ওসি মো. মহিউদ্দিনকে বাঞ্ছারামপুর থানায়, বাঞ্ছারামপুর থানার নূরে আলমকে আখাউড়া থানায় বদলি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জয়দুল হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক ২০২৪ প্রদান করেছে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। একই অনুষ্ঠানে চারজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ আবৃত্তিশিল্পীকে দেওয়া হয়েছে ‘বৃষ্টি-দোলা স্মৃতি পদক’।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে একুশের প্রথম প্রহর উদযাপন, গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক এবং বৃষ্টি-দোলা স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদকের মধ্য দিয়ে আমরা এমন গুণিজনদের সম্মান জানাই, যারা দীর্ঘদিন সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চার বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। আর বৃষ্টি-দোলা স্মৃতি পদক দেওয়া হয় মূলত তরুণ প্রতিশ্রুতিশীলদের, যারা আমাদের সামনে সম্ভাবনার দ্বার। এই পদক প্রদানের মধ্য দিয়ে আমরা গুণিজনদের সম্মান জানিয়ে নিজেরাও সম্মানিত হই।’
এরপর পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে পদক তুলে দেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর।
সম্মানীর চেক তুলে দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন-আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক তুলে দেওয়ার পরপরই বৃষ্টি-দোলা তরুণ আবৃত্তিশিল্পী পদক ২০২২-২০২৩ প্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন অতিথিরা। পদক গ্রহণ করেন-পূজয়িতা দত্ত, পঙ্কজ পাণ্ডে, অনামিকা গাইন ও পারমিতা রায়।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘তৃণমূলে আমাদের শিশুদের নিয়ে কাজ করাটা এখন জরুরি। আমাদের প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা অগ্রসর হই।’
পদক প্রদানের পর বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে। তাদের মধ্যে রয়েছে-মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি, স্রোত আবৃত্তি সংসদসহ বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবীর সমিতিরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভা ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হবে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তানবীর ভূঞা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সভায় বলা হয়েছিল উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুনরায় বিশেষ সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মঙ্গলবার পুনরায় সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সকল আইজীবীর মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে মাংস বিক্রেতারা।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার মাংস বিক্রেতারা শহরের সকল মাংসের দোকান বন্ধ রখেছে। মাংসের দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সকাল থেকে শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় বাজারে এসে ক্রেতারা কাঙ্খিত মাংস না পেয়ে বিপাকে পরেছেন। মাংসের দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে খোঁজ নিয়ে ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০টা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করে ৭৫০টাকা দরে। কম দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বিধায়, ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে জেলা শহরের মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রাখেন।
মাংস ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন ও শামীম জানান, আমরা জনগণের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর। এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকশান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া বলেন, আমরা লোকসানে ব্যবসা করতে পারব না। সরকার গরুর মাংসের যে দাম নির্ধারন করে দিয়েছেন, সে দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে। লোকসান দিয়েতো আর ব্যবসা সম্ভব না। তাই সকাল থেকে আমরা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারী এবং ব্যাপারি থেকে গরু কিনে থাকে, তারা চামড়া সহ গরু কিনে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে।
এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
শহরে ফারুকী বাজার আসা ক্রেতা মোঃ রবিউল্লাহ ও মনির মিয়া জানান, তারা বাড়ি থেকে গরুর মাংস কিনোর জন্য বাজারে এসেছেন। এসে দেখেন, সকল মাংসের দোকান বন্ধ। গরুর মাংস কিনতে না পেরে ফার্মের মুরগি নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। রোজা- রমজান মাসে এমনটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। আশা করি ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধান করে দোকান গুলো আবারো চালু করবেন।
এদিকে শহরের ফারুকী বাজারে বাজার দরের লিফলেট বিতরণকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মচারী মোঃ পলাশ মন্ডল জানান, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশনাক্রমে বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এর বেশি আমার জানা নেই।
আগামীকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে মাংস ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করবেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাবেক আমীর ও ইসলামী আন্দোলনের নিবেদিত কর্মী সৈয়দ গোলাম সারওয়ার ইন্তেকাল করেছেন। আজ ১৬ জুন সোমবার ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। সৈয়দ গোলাম সারওয়ার নরসিংদী জেলার ঘোড়াদিয়া এলাকার মরহুম সৈয়দ শামছুল হক মাস্টারের সন্তান ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাসকারী গোলাম সারওয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে বিএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আমীর হিসেবে সংগঠনকে নেতৃত্ব দেন। তিনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ও সাহসী নেতা। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশে তিনি নিরলসভাবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন, বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সহ্য করেছেন। তাঁর অবদান জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার বর্তমান আমীর মাওলানা মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “মরহুম ছিলেন একজন আদর্শবান, সৎ ও দূরদর্শী নেতা। তাঁর ইন্তেকালে আমরা একজন নির্ভরযোগ্য সংগঠক হারালাম। তাঁর ইন্তেকালে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর স্ত্রী, তিন কন্যা ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী গভীর শোকাহত। আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে মরহুমের সকল পাপ মার্জনা ও জান্নাতুল ফিরদাউস লাভের জন্য দোয়া করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীদের সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’-এর বিশেষ সভা ১৬ মার্চ শনিবার তোপখানা রোডে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’-এর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সভায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে উপস্থিত কার্যনির্বাহী সদস্যের সঙ্গে নিয়ে মোনাজাত ও ইফতার সম্পন্ন করা হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান খাদেম, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূইয়া, সাবেক সচিব গোলাম রাব্বানী, সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেনসহ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।