চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের ৫২তম বছরের আর এক দিন। এর পরই বাঙালি মেতে উঠবে বাঁধভাঙা উল্লাসে। কিন্তু এই উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে এক রক্তের ইতিহাস।
মৃত্যু, সম্ভ্রমহানি, নির্যাতন, কান্না, ক্ষুধা, ঘরবাড়ি হারানো, শস্যের পোড়া খেত-মুষড়ে পড়া একটা কালের স্মৃতি। ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিকালের একটি ক্ষত বুকের গহিনে আজও হানা দিয়ে যায়।
বিজয়ের ঠিক মাহেন্দ্রক্ষণের আগে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের মানুষের বেদনাবিধুর দিন।
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এ মাটির প্রিয় সেসব সন্তানের লাশের গন্ধ যেন আজও বাতাসে ভাসে। সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী, পিতৃহারা সন্তানের করুণ হৃদয়ের কান্না আর রক্তক্ষরণ কেনোদিনও থামার নয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষের ওপর পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নির্বিচারে বাঙালি হত্যা, মাইলের পর মাইল ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ভৌত অবকাঠামো ধ্বংস করা, নারীদের সম্ভ্রমহানি-সবকিছুই করেছে তারা। কিন্তু বাঙালির রণকৌশলের কাছে তারা টিকতে পারছিল না।
তাই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে।
রাতের অন্ধকারে বাসা অথবা কর্মস্থল থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে তারা হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা।
দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখা হয়।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরপরই বুদ্ধিজীবীদের নিকটাত্মীয়রা বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ খুঁজে পান। তাদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা।
কারও কারও শরীরে একাধিক গুলিও ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকের লাশ তাদের প্রিয়জনরা শনাক্তও করতে পারেননি।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমদ, খোন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, কবি মেহেরুন্নেসা, গিয়াস উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া – এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবিলদার ইকবাল, হাবিলদার শামসুল আলম, হাবিলদার ফয়েজ, সৈনিক মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত সৈনিক বদিউল আলম এর স্ত্রী রুবিনা আলম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি ‘কলাবতী শাড়ি’ ও হস্তশিল্পজাত পণ্য উপহার দিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি।
আজ ১৭ জুলাই সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি ও হস্তশিল্পজাত পণ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি কলাগাছের তন্তু থেকে প্রস্তুত ৩টি শাড়ি এবং দুটি জুয়েলারি বক্স প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু থেকে মনিপুরী ডিজাইনের এই শাড়ি প্রস্তুত করেছেন মৌলভীবাজারের তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া শাড়ি ৩টি তৈরি করেছেন অঞ্জলী দেবী ও দত্ত সিংহ।
এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায় বাসোপযোগী আশ্রয়ণের একটি বিশেষ মাচাং ঘরের মডেল, জেলা ব্র্যান্ডের ক্যালেন্ডার এবং ব্র্যান্ড বুকও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক।
aঅনলাইন ডেস্ক :
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার আপডেটেড যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ ১৩ মে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এই তথ্য জানান। আইএসপিআর জানায়, নিম্নোক্ত এলাকায় সেনা ক্যাম্পের সহায়তা প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরসমূহে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে-
বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়ার জন্য ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী এলাকার জন্য ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে।
সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক ও মানিকগঞ্জের জন্য ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০।
বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিণ খান, উত্তরখান ও উত্তরা পূর্ব এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫, ও ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও মনিপুর এলাকার যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৫০৭১০, ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫ ও ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানার জন্য যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৩৩৭০০, ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, ও ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা এলাকার যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯০৫০২৮৩, ও ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
এছাড়াও খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার জন্য ০১৭৬৯০৫৩১৪৪; রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ০১৭৬৯০৫৩১৬৮; ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল ও ভাসানটেক এলাকায় ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, ০১৭৬৯-০১৯০৭৩ ও ০১৭৬৯-০১৩২৩৬; হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানায় ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; তেজগাঁও থানা এলাকার জন্য ০১৭৬৯০১৯৪০৯, ০১৭৬৯০১৯৪১৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার সেনাক্যাম্পের সহায়তা পেতে ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, ০১৬১৯৮৩২০৬৯, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮ ও ০১৭৬৯০৫১৮৩৯ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার বসে নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, কারও রিকগনিশনের জন্য চাতক অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি হিংসায় জ্বলছে। কারণ তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। বিএনপি এখন ঈর্ষাকাতর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতার আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের রূপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশ-বিদেশে হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের কথিত আন্দোলন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবর এবং পরবর্তী সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব এইডস দিবস আজ। মরণব্যাধি এইডসকে রুখে দিতে বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় দিবসটি। প্রতিবারের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে পালিত হচ্ছে এ দিবস। দেশে গত এক বছরে ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আজ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে দেশের এইডস–সংক্রান্ত নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্ব এইডস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।
এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এ বছর এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে বয়সে তরুণদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। বিবাহিতদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইডিভ/এইডস যাবে চলে’।
এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং হিজড়াদের মধ্যেও সংক্রমণ কমছে না। তরুণ বয়সী এবং হিজড়া ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ঝুঁকির মধ্যে আছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৯৮৯ সালে এক ব্যক্তির এইচআইভি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছরই এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমে গেলেও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাই ছিল বেশি। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৭৬। সে অনুযায়ী, চলতি বছর ১৬২ জন রোগী বেড়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন এইডসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত ও সেবার পরিধি বেড়েছে। তবে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া রোধে প্রচারকাজ বাড়ানো যেতে পারে। আর পাঠ্যক্রমে এ বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক বিষয় যুক্ত করা দরকার।
বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি, মৃত্যু নিয়ে শঙ্কা
চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ।
গত বছর বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৬০ শতাংশ। আর অবিবাহিতদের মধ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ।গত বছরের মতো এবারও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এইচআইভিতে।
গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬৬। এবার এ সংখ্যা ১৯৫। মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও তা এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম। এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, এখন এইচআইভির চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। তারপরও এত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যুর কারণ হতে পারে নিয়মিত এবং যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছেন না আক্রান্ত ব্যক্তিরা। আবার যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।
এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এই মরণব্যাধি একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর করে দেয়। ফলে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রোগী। তাই রোগটি থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
দেশের প্রায় সকল জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি সংক্রমণ পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা হাসপাতালে তা নেই। উপজেলা পর্যায়ে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার বলে মনে করেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।