চলারপথে রিপোর্ট :
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক-সহ-সভাপতি সৈয়দ আকরাম হোসেন, সাবেক-সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ আশিকুল ইসলাম, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা যুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদের দেশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। এখনো হয়নি রাজাকারদের তালিকা। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। সাংবাদিকরা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী সেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো, সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। দেশে দিন দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরীর করার আহবান জানান।
আলোচনার সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সংস্কৃতি ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি রতন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি, দেশ িেটিভর জেলা প্রতিনিধি মেহেদি নূর পরশ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার রিফাত, আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি আল-মামুন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিকর ক্যামিকেল ও চামড়ার লবন ব্যবহার করে বেকারিতে পণ্য তৈরি করার অভিযোগে সুরুচি নামে একটি বেকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর শান্তিনগর এলাকার বাকাইলে এই অভিযান পরিচালনায় জরিমানা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, সুরুচি নামক বেকারীতে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং নিষিদ্ধ রং এবং টেক্সটাইল সল্ট (চামড়ার লবন) দিয়ে বেকারি পণ্য প্রস্তুত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং সতর্ক করা হয়। বেকারী পরিচালক তার অপরাধ স্বীকার করে নেন এবং ভবিষ্যতে এমন কার্য হতে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেন। জনস্বার্থে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির ৩ মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা গতকাল শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বিকেল তিনটায় স্থানীয় গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুল মিলনায়তনে আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধন করেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রিফাত আমিন।
কর্মশালার সমন্বয়কারী সোহেল আহাদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, নাসিরনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক সিফাত নাসরিন নিতু, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, ইব্রাহিম খান সাদাত, রিপন দেবনাথ, নুসরাত জাহান বুশরা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন বলেন, সাহিত্য একাডেমি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করে আসছে। তবে ১৯৯২ সাল থেকে তিন মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রমিত বাংলা শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা এখনো সাংগঠনিক গন্ডিতে সীমাবদ্ধ। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে সাংগঠনিক চর্চার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা ছড়িয়ে দিতে হব।
প্রশিক্ষক রিফাত আমিন বলেন, বর্তমানে আবৃত্তির সাথে অসংখ্য তরুণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটি আমাদের জন্যে খুব আশার বিষয়। কারণ সাংগঠনিকভাবে সৃজনশলীলতার চর্চা মানুষের চিন্তার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং সুন্দর ও সৃজনশীল চিন্তায় সহায়ক হয়। উদ্বোধনী ক্লাসের পরে শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ শামিমা সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের কোন নাগরিক পিছিয়ে থাকবে না। যে চাকরিতে পেনশনের সুযোগ নেই, সে চাকরির প্রত্যেককে পেনশনের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম।
তিনি আরো বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানের শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদা দাতা স্কিমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতেপ্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন।
তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।
প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও সংগঠক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব এড. মাহবুবুল আলম খোকন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর মনোনীত হওয়ায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের উদ্যোগে ক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন সারাজীবন মানুষের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠনের দক্ষ সংগঠক মাহবুবুল আলম খোকন মানুষের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন রেখে সমাজ উন্নয়নে মানুষের সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, দক্ষ ব্যক্তিকে বিজ্ঞ পিপি মনোনীত করা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন তিনি বিজ্ঞ পিপি মনোনীত হওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন।
সংবর্ধনার জবাবে বিজ্ঞ পিপি এড. আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম খোকন বলেন, মানুষের সেবা ও দেশের কল্যাণকে জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়ে আমি আমার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি এবং আগামীতেও করবো। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার চাওয়া একটাই জীবনের শেষ শ্বাস পর্যন্ত আমি মানুষের সেবায় যেন নিবেদিত থাকতে পারি। তিনি সকল মহলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম, আবদুল বাছেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ এড. মোঃ হাবিব উল্লাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, সাবেক সভাপতি এড. ওসমাণ গণি, সাবেক সভাপতি এড. সারোয়ার ই আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মিন্টু ভৌমিক,এড. আবদুল করিম, এড. সৈয়দ তানভীর, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উচ্চ পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম . এ মালেক চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাবেক ভিপি হাসান সোরোয়ার প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিবকুল ইসলাম, মধ্যপাড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সহ সভাপতি তাপশ পাল প্রণব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সদস্য আল আমীন শাহীন।
অনুষ্ঠানে এড. মাহবুবুল আলম খোকনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, উত্তরীয়, এবং সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এড. মাহবুবুল আলম খোকনকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২- প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ঘর পাচ্ছে ৫০টি পরিবার।
আজ ৯ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে “ বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই শ্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৫০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলো নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ২শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলায় ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের কাজ শত ভাগ শেষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগেই ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ৫০টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।