ডেস্ক রিপোর্ট :
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে শোকজ করেছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বে থাকা মানিকগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ রেজমিন সুলতানা তাকে শোকজ করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, আপনি সংসদীয় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সমাবেশের মাধ্যমে নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পূর্বে হওয়ায় তা নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
আপনি ওই কার্যক্রমের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন বরাবর অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রেরণ করা হবে না, তা ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার সময় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা আপনার মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।
স্পোটর্স ডেস্ক :
নকআউট ম্যাচে একদিকে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আরেক দিকে এ টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দুই দলের সামনে প্রায় বিস্মৃত সেমিফাইনালের হাতছানি। অ্যান্টিগার ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল রোমাঞ্চকর, শেষ পর্যন্ত হয়েছেও সেটি। তাতে ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার শত্রুতা বেশ পুরনো। দুইটি (১৯৯২ ও ২০০৩) বিশ্বকাপে তাদের কপাল পুড়েছিল বৃষ্টির কারণে।
তবে এবার আর তা হলো না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মার্করামবাহিনী।
অ্যান্টিগায় আজ গ্রুপ পর্বে ডু অর ডাই ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে তাদের সামনে (৮ উইকেট হারিয়ে) ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বৃষ্টি আইনে সেই লক্ষ্য নেমে আসে ১২৩ রানে। যা ৭ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি (৭) ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এর আগে ২০০৯ সালে ৬ ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারে তারা হারায় দুই ওপেনার রিজা হ্যানড্রিকস ও কুইন্টন ডি ককের উইকেট। দুজনকেই ফেরান ক্যারিবীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এরপর নামে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি থামলে বৃষ্টি আইনে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৭ ওভারে, লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রানে।
বৃষ্টির পরে প্রতিরোধ গড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবস। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে মার্করাম (১৮) বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। সপ্তম ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে হেনরিখ ক্লাসেনের তিন চার ও এক ছক্কায় আসে ২০ রান। তবে পরের ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার হন ১০ বলে ২২ রান করা ক্লাসেন।
প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পরের দুই ওভারেই ফের চাপে পড়ে যায় তারা। রাসেলের এক ওভারে আসে ৩ রান। পরের ওভারে রোস্টন চেজের বলে আউট হন ডেভিড মিলার (৪)। ওই ওভারে আসে মাত্র ২ রান। এরপর রাসেল ৬ রান খরচ করে ওভার শেষ করেন।
১৪তম ওভারে ফের ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চেজের করা ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ভালো খেলতে থাকা স্টাবস (২৯)। শেষ ৩ ওভারে তখন ১৯ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে মার্কো ইয়েনসেন। ১৫তম ওভারে আসে ৬ রান।
১৬তম ওভারের প্রথম বলেই কেশভ মহারাজকে বিদায় করেন চেজ। ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। তাতে শেষ ওভারে মাত্র ৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ভয় কাটিয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ইয়েনসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার কাইল মেয়ার্সের ৩৪ বলে ৩৫ রান ও চেজের ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে কিছুটা ভূমিকা রাখেন রাসেল। কিন্তু তাদের এই পুঁজি যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।
এই জয়ে গ্রুপ ‘টু’ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩ ম্যাচের সবকটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট হয়েছে তাদের। দুই ম্যচ জিতে তদের সঙ্গী হয়েছে ইংল্যান্ডও। ফলে সহ-আয়োজক হয়েও সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (চেজ ৫২, মায়ার্স ৩৫, রাসেল ১৫, জোসেফ ১১*; শামসি ৩/২৭, রাবাদা ১/১১, ইয়ানসেন ১/১৭, মহারাজ ১/২৪, মার্করাম ১/২৮)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য-১৭ ওভারে ১২৩) ১৬.১ ওভারে ১২৪/৭ (স্টাবস ২৯, ক্লাসেন ২২, ইয়ানসেন ২১*, মার্করাম ১৮; চেজ ৩/১২, রাসেল ২/১৯, জোসেফ ২/২৫)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে জয়ী (ডিএলএস)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাব্রেইজ শামসি (দক্ষিণ আফ্রিকা)
চলারপথে রিপোর্ট :
অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরিফুল ইসলামকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল গণি, সিনিয়র সাংবাদিক সুবীর বসাক, মোস্তফা কামাল, মেয়রপত্নী সুলতানা নাসরিন ঝুমা, কিশোরগঞ্জের ক্রিকেট কোচ আশরাফ উদ্দিন স্বপন, সাবেক ক্রিকেটার শহীদুল হক লাভলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রিকেটার আরিফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকার চেক ও একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনার জবাবে ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম বিশ্বমানের ক্রিকেটার হওয়ার আকাংখা প্রকাশ করে বলেন, আমি বড়দের বিশ্বকাপ জেতাতে চাই। এর জন্য যত পরিশ্রম করতে হয় আমি করবো ইনশাল্লাহ।
পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, নিজ জেলার কৃতী ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। শুধু ক্রিকেটার নয়, যে কোনো ক্ষেত্রে যিনি ভালো অবদান রাখবেন তাদেরকেও আমি অনুপ্রাণিত করবো। এ জেলার ক্রিকেট তথা খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও প্রসারে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম সম্প্রতি শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ ২০২৪ এ বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও ফারজানা পারভীন দম্পতির সন্তান তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার পিতা-মাতাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬ তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। দুই দলের ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল চরম নাটকীয়তা। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হয় ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর। এরপর ম্যাচ শুরু হলেও প্রথমার্ধে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন জেমস রদ্রিগেজরাই। লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে ১-০ গোলের জয়ে নিজেদের কোপা শিরোপা নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
এর আগে, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল আসেনি। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরুর কথা থাকলেও কলম্বিয়ান দর্শক-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মাঠে গড়ায় ফাইনাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে কলম্বিয়া। বলের দখল, লক্ষ্যে শট, কর্নার-সবদিক দিয়েই আধিপত্য বজায় রেখেছিল রদ্রিগেজরা। তবে ম্যাচের প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি আলভারেজ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ানরা। তবে লুইস ডিয়াজের মাটি কামড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই বারের পাশ দিয়ে চলে যায় রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট। এরপর ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টার হেড সহজেই মুঠোবন্দি করেন আর্জেন্টাইন কিপার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন লারমা। তবে আর্জেন্টাইন বাজপাখির হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ গোলশূন্য বিরতি নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি। বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দল দুটি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তাকে হতাশ করেন কলম্বিয়ার রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ডি মারিয়াও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন কামিলো ভার্গাস। ৮ মিনিট পরই দুঃখে ভাসে পুরো হার্ড রক স্টেডিয়াম। চোটে পড়ে ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর সাইডবেঞ্চে বসেইকান্নায় ভেঙে পড়েন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে জালে বল জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। জালের নাগাল পেয়েছিলেন মেসির বদলি নামা গঞ্জালেস। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আরও একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার ক্রসে সামনে বাড়িয়েছিলেন গঞ্জালেস। তবে ঠিকঠাক টাইমিংয়ে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি আলভারেজ। এতে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন লিওনেল মেসি। জাতীয় দলের মিশনে এই আর্জেন্টাইন এশিয়া সফরে অংশ হিসেবে চীনে গেছেন। বেইজিং যাত্রায় মেসির সাথে আছেন আনহেল দি মারিয়া, রদ্রিগো দি পল, লেয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো, এনজো ফার্নান্দেজ ও নাহুয়েল মলিনারা।
আজ ১০ জুন শনিবার সকালে বেইজিংয়ে পৌঁছান মেসিরা। তাদের বরণ করে নিয়েছে চীনের আর্জেন্টাইন ভক্তরা।
১৫ জুন বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ম্যাচ শুরু হবে। এশিয়া ট্যুরে আর্জেন্টিনা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে জাকার্তায়, ১৯ জুন স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে।
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রতিপক্ষের কান্না দেখার নির্মম সুখ ক্রীড়াঙ্গনে চূড়ান্তভাবে বৈধ। প্রতিপক্ষের উঠানে পা রেখে জিতলে তো কথাই নেই। প্যাট কামিন্স তাই বলেছিলেন, ‘ভরা গ্যালারি স্তব্ধ করার মতো আনন্দ আর নেই।’ আহমেদাবাদের ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সেটাই করেছে অস্ট্রেলিয়া।
নীল জার্সিতে ছেয়ে যাওয়া গ্যালারিকে ঢেউহীন, গতিহীন, স্তব্ধ নীল জলের ‘প্রশান্ত সাগর’ বানিয়ে ছেড়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় জয়ে লিখেছে আহমেদাবাদ ট্রাজেডি। ষষ্ঠ শিরোপা তথা সম্পন্ন করেছে ‘মিশন হেক্সা’।
সূর্য ডুবতেই শিশিরের প্রভাব বাড়বে। সেটা জেনেই টস জিতে বোলিং নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। গ্রুপ পর্বের মতো ফাইনালেও বল হাতে ভারত শিবিরে ধাক্কা দেন বোলাররা। শুরুতে শুভমন গিলকে (৪) ফেরার মিশেল স্টার্ক। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অধিনায়ক রোহিত ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরে ফিরতেই ম্যাচের লাগাম হাতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১০.২ ওভারে ৮১ রানে ভারতের ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা।
ওই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। তারা ৬৭ রানের জুটি গড়েন। কোহলি ৬৩ বলে চারটি চারের শটে ৫৪ রান করে প্লেড অন হন। স্তব্ধ হয়ে যায় মোদি স্টেডিয়াম। আর প্রাণ ফেরেনি গ্যালারিতে। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। তারাই ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয়েছে ২৪০ রান করে। কেএল রাহুল উইকেট কামড়ে থাকার চেষ্টা করেও পারেননি। তিনি ১০৭ বলে মাত্র একটি চারের শটে ৬৬ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়াও। সপ্তম ওভারে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। একে একে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার (৭), মিশেল মার্শ (১৫) ও স্টিভ স্মিথ (৪)। তাদের ফিরিয়ে ভারত ‘ঘরের মাঠে নাহি দেব ছাড়’ বার্তা দিলেও ওপেনার ট্রাভিস হেড এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ম্যাচের বাকি অংশের চিত্রনাট্য লেখেন।
ইনজুরিতে গ্রুপ পর্বের অর্ধেক ম্যাচ মিস করা এই ব্যাটার খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫টি চার ও চারটি ছক্কার শট। দুর্দান্ত ইনিংসে হেড ম্যাচ সেরা হয়েছেন। মনে করিয়েছেন ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সেই ইনিংসকে।
তবে কৃতিত্ব দিতে হবে মার্নাস লাবুশানকে। তিনি শুরুতে উইকেট হারানোর পুরনো চাপটা কাঁধে তুলে নেন। হেডকে শট খেলার সাহস দিয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে খেলেন ১১০ বলে চারটি চারের শটে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস। এর আগে ভারতকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার। স্টার্ক নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও হ্যাজলউড।