ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর রবিবার। এদিন অফিস চলাকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ইচ্ছুকরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
গত ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমবে। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি ও তদারকির পরও থেমে নেই কালোবাজারি। এই কালোবাজারির কারণে সাধারণ ক্রেতারা সহজে টিকিট পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আদতে টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বরত, তারাই জড়িত এই কালোবাজারির সিন্ডিকেটে।
এই চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিটপ্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।
বাড়তি এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় সরাসরি সিন্ডিকেটে জড়িত সদস্যরা। আর বাকি ৫০ শতাংশ চলে যায় কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের হাতে। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় শুধু দুটি সিন্ডিকেটের হাতেই প্রতিদিন চলে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ টিকিট।
দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব। আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), মান্নান (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), ফারুক (৬২), শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), জুয়েল (২৩), আব্দুর রহিম (৩২), উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও জোবায়ের (২৫)।
এদের মধ্যে সেলিম ও উত্তম চন্দ্র দাস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দুই হোতা, যাদের নিজেদের নামে ‘সেলিম সিন্ডিকেট’ ও ‘উত্তম সিন্ডিকেট’ পরিচিত।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।
সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করতেন। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে তারা টিকিট বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরি করতেন এবং অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন।
এছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় যতো ঘনিয়ে আসতো তাদের মজুদকৃত কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো। সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতেন তারা।
ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তাররা প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতেন। সাধারণত প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করতেন। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ গ্রেপ্তাররা নিতেন এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো।
গ্রেফতার উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
যেভাবে টিকিট যেতো সিন্ডিকেটের হাতে
র্যাব জানায়, গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতেন। যেহেতু প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে চারটি টিকিট দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো।
এছাড়া, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীর টিকিট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতেন। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতেন।
অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতেন চক্রের সদস্যরা। আবার অনেক সময় কৌশলে লাইনে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট ক্রয় করিয়ে তিনটি টিকিট নিজেরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতেন।
এছাড়া, ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম বা আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতেন।
পাশাপাশি চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। এমনকি স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও সংগ্রহ করতো। সেসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সঙ্গে তারা ভাগ করে নিতো।
এভাবে গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। যার ফলে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৭টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত হন।
গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি সেলিমের অন্যতম প্রধান সহযোগী। মূলত তার দায়িত্ব ছিল কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা।
গ্রেফতার উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তার সহযোগী গ্রেফতার আলী ও ফারুকসহ রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে রেলস্টেশন এলাকায় সব সময় অবস্থান করে টিকিট কালোবাজারি চক্র গড়ে তোলেন।
গ্রেফতার বাকিরা দেশের বিভিন্ন রুট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, যার ফলে তারা সেসব রুটের যাত্রীদের ম্যানেজ করে টিকিট বিক্রি করতেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা এই কালোবাজারির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু নামও পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউন্টারম্যান, সহজ ডটকমের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এমনকি স্টেশনে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এমন কয়েকজনেরও এই সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তিন মাটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন। এ সময় একটি ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়। গত মঙ্গল ও বুধবার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চকুরিয়া ও আজগানা ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে তিনি এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, পলাশতলী গ্রামে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। খবর পেয়ে বুধবার ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিন অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই গ্রামের আজিজ সিকদারের ছেলে জাহিদুল ইসলামকে ১ লাখ ও বেলতৈল গ্রামের হাকিম সিকদারের ছেলে আনোয়ার সিকদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এর আগে মঙ্গলবার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চকুরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে গুনটিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়ার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি। ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিন জানান, অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে তার এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কুয়েতপ্রবাসীর বাসায় ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে একদল ‘ডাকাত’। এ সময় ফ্রিজে থাকা গরুর মাংসও নিয়ে গেছে তারা। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী কুয়েতপ্রবাসী ফারুক হোসেন ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দীপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
তবে এ ঘটনায় কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ৪ ভাই। আমিসহ ৩ জন কুয়েতপ্রবাসী। আমাদের ৪ ভাইয়ের পরিবারই ঢাকায় থাকে।
রামগঞ্জের বাড়িতে আমার বাবা আলী আহম্মদ ও মা হোসনেয়ারা বেগম থাকেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার সময় ডাকাতদল একতলা ভবনের ছাদে ওঠে। একপর্যায়ে সিঁড়ির রুমের টিনের চালা খুলে তাদের কেউ একজন ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সিঁড়ির রুমের দরজা খুলে তারা বাসায় ঢুকে তার বাবা-মাকে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে অচেতন করে রাখে।
পরে আলমারিতে থাকা এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় বাসায় থাকা কম্বলসহ বিভিন্ন মালামাল ও ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে ডাকাতদল।’
করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বলেছি। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এটি ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা।।
বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসে আমন্ত্রণ জানায়। আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন বিএনপির দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্স।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।এসময় বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে বলেন, আমাদের সব নেতা কারাগারে। সম্মেলনে কীভাবে যাব? এর জবাবে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম বলেন, এটা সরকারের ব্যাপার। আমরা দলের পক্ষ থেকে এসেছি। আমরা আশা করব আপনাদের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিবচরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাবিলপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওই এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ইয়াছিন হাওলাদার (২৩) এবং দাদন মিয়ার ছেলে জোবায়ের মিয়া (২১)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শিবচরের কাবিলপুর এলাকার মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ব্রিজের উপর থেকে দুই যুবককে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি এন্ড্রয়েট ফোন সেট জব্দ করে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, ‘এ ব্যাপারে শিবচর থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’