চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আশার পক্ষ থেকে ৪০০শত কম্বল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এই কম্বল হস্তান্তর করা হয়।
আশার পক্ষ থেকে আশার সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কম্বলগুলো হস্তান্তর করেন।
এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার/ পিডিয়াট্রিশিয়াদের নিয়ে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তকরণের হার বাড়ানো এবং টিপিটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নেটওয়ার্কিং ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিজ্ঞ ২১জন ডাক্তারসহ ২৫ জন ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহণ করেন।
আজ ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সিভিল সার্জন কার্যালয় সভাকক্ষে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহাযোগিতায় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় এর আয়োজনে ওরিয়েন্টেশন সভায় সভাপতিত্বে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
ওরিয়েন্টেশনের সভায় উপস্থাপনায় ছিলেন সিভিল সার্জন সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার মোঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।
অতিথি ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনল চন্দ্র প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জেলা ব্যবস্হাপক, মিঠু রঞ্জনসরকার, প্রোগ্রাম অফিসার এনামুল হক চৌধুরী, পিপিএম এসিস্ট্যান্ট মো: হাফিজুর রহমান, এফও মো: আব্দুর রহীম।
সভায় যক্ষ্মা কী, প্রকারভেদ, কীভাবে ছড়ায়, যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, রোগ শনাক্তকরণ ও করণীয়, তামাকের সঙ্গে যক্ষ্মার সম্পর্ক, যক্ষ্মারোগ সম্পর্কে সামাজিক ধারণা এবং যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা, আইপিটি চিকিৎসা, এমডিআর টিবি ওটিপিটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া ব্র্যাকের কার্যক্রম ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা কোথায় পাওয়া যায়, নিয়মিত পুরো মেয়াদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা কেন জরুরি, ডটস কী ও এর গুরুত্ব এবং ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজকে যারা জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রতিযোগিতা করছে আগামীতে তাদেরকে বিভাগীয় বা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতায় দেখতে চাই। তিনি বলেন আমরা তোমাদের নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা করি তোমরা যেন ভাল মানুষ হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জল করবে। এ ক্ষুদে খেলোয়াড়রা খেলাধূলায় অংশ গ্রহন করে ক্রীড়াঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধি করার আহবান জানান। তিনি বলেন, খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস যে আয়োজন করে তা প্রশংসার দাবিদার।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব আওতায় ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২৫ অনুর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম একথা বলেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার। ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, পাকশিমুল হাজী শিশু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমী। এসময় প্রতিটি বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংবর্ধিত হলেন হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদ। পিস ফল অল এর সভাপতি হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদ পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার ডেইলি পেনব্রিজ কার্যালয়ে এ উপলক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিস ফল অল এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এমদাদুল হক।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম এ হানিফ, অধ্যাপক সাইফুর রহমান মামুন, অধ্যাপক আব্দুল গণি, মো. হেলাল উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান মোল্লা, আল আমিন শান্ত, তানিসা ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিবহন সেক্টরের একজন কিংবদন্তী। তিনি তাঁর পুরো জীবন পরিবহন সেক্টরের জন্য ব্যয় করেছেন। তারা বলেন, আমরা আশা করি তাঁর নেতৃত্বে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি আরও গতিশীল হবে। জেলার পরিবহন সেক্টরের সকল সমস্যার সমাধান হবে। ব্যবসার উন্নয়নের সাথে যাত্রীসেবার মান বাড়াতেও তারা সচেষ্ট হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০ টি আলোকশিখা প্রজ্বলনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি উৎসবের শুভসূচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোকশিখা প্রজ্বলন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সূচনাপর্বেও শিরোনাম ছিলো ভারতীয় শিল্পীদের আবৃত্তি পরিবেশনা। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এসময় আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভারতের মেদিনীপুর থেকে সৌরেন চট্টোপাধ্যায়, সমন্বয় চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে বিপ্লব চক্রবর্তী,মলি দেবনাথ,অন্তরা দাস ও ত্রিপুরা থেকে বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী, দীপক সাহা।
অনুষ্ঠানের সূচনা আবৃত্তি করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজি মাহতাব সুমন।
আবৃত্তিশিল্পীদের নানা ধরণের কবিতার উচ্চারণে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো.মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারি পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অবস) মো.সোনাহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ১৪ দল সমন্বয়ক হাজি হেলাল উদ্দিন, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতিভূষণ দেবনাথ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সাহিত্য একাডেমী সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফসিউর রহমান হাসান ও সাংস্কৃতিক সংগঠক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি আমার জন্য শ্লাঘার। আমি খুবই আনন্দিত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও সংস্কৃতির পথে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এ সংগঠনের ভূমিকা আমাদের প্রাণিত করেছে। যারাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে-সুন্দর সংস্কৃতির পক্ষে লড়াই করছে আমি তাদের পাশে আছি,থাকবো। আমার প্রতিটি সংকটে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আমার পাশে ছিলো। সংগঠনটির দুই দশক পূর্তিতে আমি সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
কলকাতা থেকে আবৃত্তিশিল্পী বিপ্লব চক্রবর্তী ও মেদিনীপুরের আবৃত্তিশিল্পী সৌরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবৃত্তি অনুষ্ঠানে শতশত মানুষের উপস্থিতি দেখে আমরা খুবই উচ্ছসিত। আবৃত্তি এখানে গণমানুষের শিল্পে পরিনত হয়েছে। সুরের এই মাটি আবৃত্তিশিল্পের লালনেও আমাদের পথ দেখাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের অপসারণের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি দুই-তিনগুন বেশি নিয়ে অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। ১৪ বছর যাবত উপাধ্যক্ষ নিয়ে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শান্তা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টানদের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। কিন্তু সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিলনা।