চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে জেলার ৬টি আসন থেকেই জাকের পার্টি, ২টি আসন থেকে জাতীয় পার্টি এবং ১টি আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার প্রার্থীরা নিজে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ২জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী কাজী মাসুদ আহমেদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জাকের পার্টি মনোনীত মোঃ সেলিম কবির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও কসবা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তারেক আহমেদ আদেল ও জাকের পার্টির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জমশেদ মিয়া ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী আখতার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল আজিজ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বর্তমানে ৬টি আসনে ৩৫জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির ২জন প্রার্থী রয়েছেন।
৬টি আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত মোহাম্মদ বকুল হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন, তৃনমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার, জাতীয় পার্টি থেকে দুইবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।
এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ মনোনয়ন দাখিল করেন। আওয়ামীলীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতায় এই আসনটি মোঃ আবদুল হামিদকে দেয়া হয় কিন্তু জাতীয় পার্টির প্যাডে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোঃ নূরে আজম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত জামাল সরকার, স্বতন্ত্র একেএম মামিনুল হক সাঈদ, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মোঃ মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ও তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মুফতি হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আমজাদ হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত কবির মিয়া ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত সফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়ার নাম রয়েছে। আমরা দলীয় প্যাডকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, জোটের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত আসন বন্টনের তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে আমার নাম রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়। আমি আশা করি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করবেনা।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এই আসনে দুইজন প্রার্থী থাকায় এমনটি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাব্বির আহমেদ উসমানি, মোহাইমিনুল আজবীন, ইকরামুল মারজান চৌধুরী ও মোহাম্মদ হানিফসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যে গত ৩ দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ৪৯ জন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে। এই আসনের জন্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক গত একবছর ধরে আলোচনায় এই আসন। একাদশ সংসদের মেয়াদকালে ৩ বার নির্বাচন হয়েছে এখানে। এরমধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এবং ৫ই নভেম্বর দুটি উপনির্বাচন হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সংসদ থেকে তার পদত্যাগে শূন্য হয় এই আসন। সেখানে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর পর আবার ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপনির্বাচন।
ছয়টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হলেন :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে দলের মনোনয়নের জন্যে ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এমএ করিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম আলমগীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা নাজির মিয়া ও তার স্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছাম্মৎ রোমা আক্তার, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইখতেশামুল কামাল, প্রভাষক ইমরান হাই জাবেদ, কৃষক লীগ নেতা আদেশ চন্দ্র দেব, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ নেতা এডভোকেট রাকেশ চন্দ্র সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের জন্যে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন সদ্য উপনির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাইনুদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল হান্নান রতন, কামরুজ্জামান আনসারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী, সরাইল আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী ছফিউল্লাহ মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সরাইল যুবলীগ নেতা এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, জাপান যুবলীগ নেতা আবু শামীম পিয়ার পলাশ, সরাইল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. জালাল মিয়া।
এ ছাড়া এই আসনে তৃণমূল বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার। এর আগে পিতার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে তুষার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের জন্যে মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সুইডেন প্রবাসী জহিরুল হক চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আলহাজ্ব মো. শাহআলম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এ কেএম বদিউল আলম জামাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগ নেতা তসলিমুর রেজা, কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা হাজী মো. লুৎফুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপক নূরুন্নাহার বেগম, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. আলামিনুল হক। এই আসনে জাসদের মনোনয়নপ্রার্থী এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন অব. এ বি তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম আবুল ও এডভোকেট দিদার হোসেন রেজভী, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ আহমেদ বাবু, এডভোকেট হাবিবুর রহমান বাদল ও মো. গোলাম মোস্তফা কামাল, ঢাকা বাড্ডা আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান ধীরন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডাক্তার এ কে মাহবুবুল হক দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
খবর বিজ্ঞপ্তির:
বিএনপির নৈরাজমূলক কর্মসূচির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ লোকমান হোসেন। জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাহাদত হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সম্পাদক উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, কার্যকরী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক বাবুল, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মশিউর রহমান লিটন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী আজম।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মোঃ মুসলিম মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলাল, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিজয়নগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, শহর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুস সাত্তার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জনগণের পাশে থাকা, জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। তারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমরা তাদের রক্তদানকে বৃথা যেতে দেব না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ ধূলিসাৎ করতে চাইলে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। আমাদের প্রতিরোধের ভাষা হবে জনগণের উপকার করা, জনগণের পাশে থাকা। প্রতিরোধের ভাষা হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কথা বলা। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, এটাই আজকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ। আমি সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। আশা করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান সমান মর্যাদা পাবে। দুঃখজনক হলেও সত্য পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর আমরা দেখেছি যেই স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা মোটেও ইচ্ছুক ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর রক্ত বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন যখন বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো চেষ্টা করা হয় নাই এবং বরঞ্চ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করার সকল চেষ্টা চলছে, তখনো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই আওয়ামী লীগ কর্মীরাই তাদের সব শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে। আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এটা আমাদের জন্য বিরাট আনন্দের দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী।
এ সময় কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খাঁর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ছাইদুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য রুমানুল ফেরদৌস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে একটি ইটবাহি ট্রাক উল্টে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রাধিকা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ইটবাহি একটি ট্রাক রাধিকা এলাকায় রাস্তার মাঝখানে উল্টে যায়। এতে মহাসড়কে আধাঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রেকার দিয়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। উল্টে ট্রাকটি রেকার দিয়ে মাঝ রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে আধাঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।