চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকালে আখাউড়ায় সীমান্তের শূণ্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আখাউড়া আইসিপি এবং ভারতের ত্রিপুরার ৪২ ব্যাটালিয়নের আগরতলা আইসিপি বিএসএফর যৌথ আয়োজন সিরিমনি অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ, ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়েনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়ননের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগীসহ বিজিবি ও বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা একে অপরকে সম্মান জানান। উভয় দেশের চৌকস গার্ডদল সশস্ত্র সালাম জানায় নিজ নিজ দেশের পতাকাকে। বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড দল চমকমপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন। প্যারেড শেষে বিউগলের সুর বাজায়। এক সাথে দুই দেশের জাতীয় পতাকা নমিত করা হয়। এসময় সীমান্তের দুই অংশে শত শত দর্শনার্থী করতালির মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্যারেড উপভোগ করেন এবং করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।
পরে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএসএফ’র হাতে ফুল ও মিষ্টি বিনিময় করেন।
এসময় বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বিজয় দিবসে বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এসম্পর্ককে আমরা আরও মজবুত করবো।
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের দিন। এ ধরনের অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী।
আজ ২১ আগস্ট বুধবার সকালে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি করে সরতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পানিতে পড়ে ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সীমান্তবর্তী হাওড়া বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। সকাল থেকেই বীরচন্দ্রপুর গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পারভেজ মিয়ার ঘরে বানের পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি করে সরতে গিয়ে তার স্ত্রী হোঁচট খেয়ে পানিতে পড়ে ডুবে যায়। বাড়ির লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লুৎফুর রহমান রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারী মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত পানি খাওয়াতে তার মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগষ্টের নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যকান্ডের বিচার হয়েছে। এই হত্যাকান্ড করে এখনও যে খুনীরা বেঁচে আছে তাদেরকে ধৃত করে বাংলাদেশের মাটিতে এনে আদালতের রায় কার্য করবো।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়ার বাইরে নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর ছায়া এত বিশাল তা বাংলাদেশকে ঢেকে রেখেছে। আমরা কেউ-ই সেই ছায়ার বাইরে নয়। সকলে মিলে আল্লাহর কাছে আমাদের নেতা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চাইব। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া চাইব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শোক দিবস পালন করবো। ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে তাকে সহযোগিতা করব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
অন্যের কাছে হাত পেতে চলেন মো. আলাউদ্দিন। সাত সকালে কম্বল পেয়ে বেজায় খুশি। বললেন, ‘এই শীতে এটা বড় উপকার হলো।’ বিজিবির কাছ থেকে কম্বল পেয়ে আলাউদ্দিন এ কথা বলে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে বেশ খুশি ভুলনা বালা বললেন, ‘আমি গরীব মানুষ। ডাকতার দেহাইয়া অসুদঅ মাগনা পাইছি। আমার খুব উপকার হলো।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬০ ব্যাটালিয়নের কম্বল বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে কথা হয় ওই সুবিধাভোগীদের সঙ্গে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগরে বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন উপজেলার গঙ্গাসাগর ও খারকুটে ৫০০ শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা।
গঙ্গাসাগরে অসহায়দের মাঝে কম্বল তুলে দেন বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ। খারকুটে কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। মনিয়ন্দে চিকিৎসা দেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম রিফাত।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘আমরা সব সময়ই সাধারন মানুষ নিয়ে কাজ করি। আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।’
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ বলেন, ‘নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জকের এই বিশেষ দিনে আমরা কিছু কর্মসূচি নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে কম্বল বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার (স্থল ও নৌ বন্দর) মোঃ আশিকুল হক ভূঁইয়া। গতকাল বুধবার বিকালে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন নির্মানাধীন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গুলো ঘুরে দেখেন ।
পরে ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আশা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অতি দ্রুত নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দু পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের ১৫০ গজের ভিতরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের উন্নয়ন কাজ করতে কোন বাধা নেই তাতে দু -দেশ একমত পোষন করেছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আশা করছি এই ভবনটি সম্পূর্ণ হলে যাত্রীদের যে দুর্ভোগ সেইটি আর থাকবে না। এক ভাবনের ভিতরে সব সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তখন আমাদের লোকবল ও বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে আগমনী ও বহির্গমন ডেস্ক এর সংখ্যা ও বাড়বে । যাত্রী সেবার মান আরো উন্নত হবে।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্স অফিসার (ডিআইও) মোহাম্মদ শাহেদ উদ্দিন, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হৃদয় মিয়া (১৫) নামে মোটরসাইকেল চালক এক কিশোর নিহত হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আখাউড়া উপজেলার ছতুরাশরীফ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় মিয়া স্থানীয় কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকির বলেন, ‘সোমবার সকাল ১০টায় হৃদয় মিয়া তার দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আখাউড়া ছতুরাশরীফ নামক এলাকায় মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে একটি লরিকে অতিক্রম করতে গিয়ে পেছনের চাকায় ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।’ তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার সময় ভাগ্যক্রমে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা দুই বন্ধু বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই হৃদয় মিয়ার মৃত্যু হয়। চালকসহ লরিটি আটক করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।