চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচ প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।
জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারাতে একাডেমির পক্ষ থেকে ২১জন শিক্ষার্থীর মাঝে বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের ক্যারাতে একাডেমির হলরুমে এসব বেল্ট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, অভিভাবক সদস্য মোঃ জাবেদ সহ ক্যারাতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগন।
বেল্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে ক্যারাতে একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের গ্রেড উন্নতি হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে। মোট ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২জনকে কালো বেল্ট, ৭জনকে নীল বেল্ট এবং ১৪ জনকে হলুদ বেল্ট দেয়া হয়। যারা বেল্ট পেয়েছে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেল্ট পেয়েছেন।
কালো বেল্ট পাওয়া তানিয়া আক্তার শেফা বলেন, কালো ব্যাল্ট পেয়ে আমি খুব খুশি। কারণ আমি আগে ব্লাউন্ড বেল্ট ছিলাম। পরীক্ষায় পাশ করে কালো বেল্ট অর্জন করেছি।
নীল বেল্ট পাওয়া পুষ্পা আক্তার বলেন, আজকে আমি নীল বেল্ট পেয়েছি। আমাকে নীল বেল্ট প্রদান করায় জেলা ক্যারাতে একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। আমার ইচ্ছা আমিও একদিন কালো বেল্ট অর্জন করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল, আবদুল হাকিম মোল্লা, আবদুর রশিদ ভূইয়া, ওমর ফারুক, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ কামরুল হাসান ও আবু ছায়েদ।
সভায় শহরের সীমাহীন যানজট, লাগানহীন রিক্সা ভাড়া, রাতের বেলা পুনিয়াউট রেলগেইটে বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই, মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম, শহরে দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল ও শব্দ দূষনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং তা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আইন-শৃংখলা বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আইন-শৃংখলার উন্নয়নে আমাদেরকে আরো কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্রীজ এখন সিএনজি ও ইজিবাইকের স্ট্যান্ডে পরিনত হয়েছে। কয়েকবার ব্রীজ থেকে এসব গাড়ি অপসারণ করা হলেও তারা আবারো ফিরে আসে। তিনি শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বির্নিমানে কাজ করছি। আপনারাও যার যার অবস্থান থেকে কাজ করবেন।
সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মজলিশপুর ইউনিয়নের প্রাইমারি ২০২২ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের ও খেলাধূলায় কৃতিত্ব অর্জনকারীকে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব- নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা।
মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও মৈন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গাফারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার (তদন্ত) অফিসার অফিসার সুমন ভৌতিক, মজলিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বাকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, মৈন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মোঃ হায়দার, মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,আজকের শিক্ষার্থীর আগামী দিনের দেশের কর্ণধার, তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে,তারাই এদেশের নেতৃত্ব দিবে,তাই শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী নয় মানবিক ও আলোকিত শিক্ষার্থী হিসাবে গড়ে উঠতে হবে। বক্তারা সন্তানের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্যদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া ও প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, এসএসসি জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, খেলাধুলায় কৃতিত্ব অর্জনকারী ২ শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৯ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:- সেলিম (৬১), মো. ইসরাইল মিয়া (৫০), মো. হাসান উদ্দিন (৫৩) ও মো. মোরসালিন আহম্মদ চৌধুরী (২৮)।
সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া এলাকার মৃত ছাহেদ আলীর ছেলে। তিনি রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া মো. ইসরাইল মিয়া পৌর শহরের বিরাসার এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। ইসরাইল মিয়া বিরাসার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মো. হাসান উদ্দিন নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আটককৃত মোরসালিন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার স্বপন চৌধুরী ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানের অভিযান পরিচালনা করে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, ইসরাইল এবং ছাত্রলীগ নেতা মোরসালিনকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেছেন, প্রতিবন্ধী বলতে কিছু নেই, আমরা প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তি বলতে পারি। তাদেরকে অবহেলা করলে হবে না। আমরা তাদেরকে ভাল আচরণ করে সমাজের মুল শ্রোতে আনতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য রয়েছে আলাদা চিন্তা এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার একটি মহা পরিকল্পনা।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় টেংকেরপাড় আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী সুবর্ণ নাগরিক সন্তাদের নিয়ে একটি ক্রীড়াযজ্ঞ তৈরী করেছে এবং তাদের এ ক্রীড়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করছে।
কণ্ঠ শিল্পী আনিসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সমাজ সেবা উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়ত্রী দেবনাথ। এসময় আসমনাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধী, মুক বধির ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসবে অংশ গ্রহন করেন।
উভেন্টের মধ্যে ছিলো ফুটবল, দড়ি লাফ, ৫০ মিটার দৌড়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ২০ মিটার হাটা এবং পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।