চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোটের অপশাসন ও দুর্নীতি ইত্যাদি অপসারণ করে, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জনিত বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করে বিগত একযুগের ও অধিককাল সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দন্ডায়মান। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মতো দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আবার তৎপর হয়েছে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।
তাই আজকের এই দিনে আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদেরকে মান অভিমান ও ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘঠিয়ে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র, তাকজিল খলীফা কাজলের সভাপতিত্বে এবং মনির হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে সফিকুল ইসলাম সোহাগ, এড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, আতোয়ার রহমান নাজিম, এম এ মতিন চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম, শাকিলা সুলতানা ভুলন, সাহাবুদ্দিন বেগ সাবুল ও শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে আইন মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টুর্ণামেন্ট কমিটির আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চুয়াডাঙ্গার ব্যবস্থাপনায় ৪২ তম ন্যাশনাল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৩-২৪ টিয়ার ওয়ান (উপরের সারির ৩২ জেলা) এর উদ্বোধনী খেলা গত ৩ মার্চ ২০২৪ চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৭ উইকেটে ঝালকাঠি কে পরাজিত করে। ১ম ব্যাট করে ঝালকাঠি ৪৩.৫ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড় বাঁমহাতি স্পিনার শামীম মিয়া ৯.৪ ওভার বল করে ১ মেডেন সহ ২৮ রানে ৬টি উইকেট পায়। লাঞ্চের পরে ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২২.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ডানহাতি ব্যাটার নাইম ইসলাম অপরাজিত ৫৬ ও উইকেট কিপার ব্যাটার প্রসেঞ্জিত দাস জুনিয়র অপরাজিত ৫০ রান করে।
২য় খেলা আজ ৬ মার্চ ২০২৪ একই মাঠে অনুষ্ঠিত হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র ১ উইকেটে মুন্সিগঞ্জকে হারিয়ে টানা ২য় জয় নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক মো: সুমন টসে জয়লাভ করে ১ম বল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুন্সিগঞ্জ ৩৮.৩ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়। বাঁম হাতি স্পিনার জালাল ৪টি উইকেট শামীম ও আলিফ ২ করে উইকেট পায় লাঞ্চের পরে ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩৭.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। নিশাদ ২৩, উদয় ও জালাল ১৯ রান করে। নাইম ১৮ শামীম ১৭ ও প্রসেঞ্জিত ১৬ রান করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন মো: সুমন (অধিনায়ক), প্রসেঞ্জিত দাস জুনিয়র (সহ: অধিনায়ক ও উইকেট কিপার), জালাল, ফারদীন, শামীম, হেমায়েত, নিশাদ, বিজয়, রাহিম, উদয়, নাইম, পারভেজ, অমি ও আলিফ কোচ মো: রুহুল কুদ্দুছ শামীম (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড), ম্যানেজার আবুল কাসেম (সহ-সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে অব্যাহত তীব্র তাপদাহে প্রাণী ও পরিবেশ ক্রমশ: উত্যপ্ত হয়ে উঠছে। যেখানে একটু ছায়ার জন্য হন্যে হয়ে ছুটছে মানুষ, সেখানে শুধু মাত্র পেটের দায়ে এক শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ তীব্র রোদে পুড়ে শ্রম বিক্রি করছে।
জানা যায়, জেলার নাসিরনগর, সরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমের পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বিপুল পরিমান শ্রমিকের প্রয়োজন। মাথা পিছু দাম দর যাই থাকুক না কেন পাকা ধান ঘরে আনতে হবে তাই শ্রমিক প্রয়োজন। এদিকে বাধ্য হয়ে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িয়ে নিয়ে আসছেন শ্রমিকরা বিনিময়ে পাচ্ছেন কিছু টাকা। কিন্তু এই গরমে তাদেরও রয়েছে প্রাণনাশের ঝুঁকি।
অপরদিকে জেলা শহরের আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ভবন নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। এ সমস্ত নির্মাণ শিল্পে কাজ করছেন বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ। চলমান তাপদাহের প্রচন্ড গরম তাদের কাছে যেন কিছুই না। অথচ জীবিকার প্রয়োজনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তারাও কাজ করছেন এই গরমে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
নির্বাচনে বাধা দিতে এলে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সবাইকে বলছি— এই নির্বাচনে আসতে। তবে যারাই বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করব।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বনানী কবরস্থানে শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা করব।
বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছি না। বিএনপি কখনো দ্রুত, কখনো ধীরগতির আন্দোলন, মানববন্ধন, পদযাত্রা, গণঅভ্যুত্থান করছে। এ জন্য অপরাজনীতি থেকে এ দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আমরা সময়সীমা দিয়ে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণকে শান্তির ডাক জানিয়ে দিতে চাই।
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ‘৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এই তিনটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, যড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার বদলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে। একই সঙ্গে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব, তাদের পরাজিত করব, পরাভূত করব।