চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান বলেছেন, যে আওয়ামীলীগ এতদিন বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মেরেছে। যাদের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীদের চাকরী হয়নি, কাজ পায়নি। তারা এখন আমাদের আপন হতে চাইবে। আমাদের (বিএনপি) ঘাড়ে চরে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসবে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বহু কষ্টের পরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তা যেন নস্যাত না হয়। আজ ২১ সেপ্টেম্বরশনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েক হাজার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা কর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে। তারা চাকরী পায় নাই। আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। আমরা কথা বলতে পারতাম না। ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদেরকে কথা বলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। গত ১৫ বছর বিএনপির বহু নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মৃত্যু বরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মুশফিকুর রহমান আরো বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে তা আপনারা দেখেছেন। উনাকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সরকার। বিদেশে যেতে দেয়নি। আল্লাহর রহমতে জনগণের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে আছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে আছে। দেশে আসতে পারছেনা। আল্লাহর রহমতে এই অত্যচারী সরকার চলে গেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আজকে স্বাধীনতা এসেছে। এখন আমাদেরকে ঐকবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। কাজের প্লাট ফরম হলো বিএনপি। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।
এসময় তিনি বহুদিন পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসতে পেরে আনন্দিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আখাউড়া-কসবা ছাড়া আমার আর কোথায়ও যাওয়ার জায়গা নাই। অন্য কোথায়ও যাওয়ার ইচ্ছা নাই।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল খন্দকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্ঠা সৈয়দ শাহ আমানুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন প্রমুখ।
সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১৫০ টি পরিবারের মাঝে ১টি তোষক ও ২টি করে বালিশ উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১১ টায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় জেলাপরিষদ থেকে সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে জেলার সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সাথে সমন্বয় করে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে উন্নয়ন বরাদ্দ বন্টন করা হবে।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদের ২য় মাসিক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন। জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া ও কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ও পৌর মেয়র শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা মেয়র তফাজ্জল হোসেন, নির্বাচিত সদস্য আব্দুল আজিজ, মোঃ নাছির উদ্দিন, সংরক্ষিত সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী ও সনি আক্তার প্রমুখ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অগ্রগতি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮ টি, মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫১৯২.৬১কোটি এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯.১৯ কোটি টাকা। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত করা হয়েছে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ৫৮.১৬% এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়িত প্রকল্পে ৫৫.৬১%।
সামগ্রিকভাবে ( জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ অগ্রগতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (৭৪.৫৪%) এবং সর্বনিম্ন অগ্রগতি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (১১.৫৯%)। মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৩৭% যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৪.২৭%। এসময়ে আরএডিপি অনুযায়ী জাতীয় অগ্রগতি ৪২.৩০ %।
আরএডিপিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা (৯৯.৮৫%) ব্যয় করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০০% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। অন্যদিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ ২৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা যেখানে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় ১৪ কোটি টাকা (৫.৬%) এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩২% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুসসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে শহরের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রা, মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা ও সমাবেশ। ঐদিন বিকাল ৪ টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে আজ ১২ মে রবিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন পিপি, শেখ মো. মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএইচ মাহবুব আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক বাবুল, মো. মনির হোসেন, স্বপন রায়, জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, শহর আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ খোকন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন স্বপন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কিনেছেন ১৫৪৯ জন নারী। সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত তিন দিনে মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
এসময় প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেল কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনের সময় কত সংখ্যক প্রার্থী ছিল সেটা কি মনে আছে? চৌদ্দশ’র বেশি ছিল। তখন সিট ছিল ৪৩টা, এখন ৪৮টা। ৫টা বেশি আছে।
তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক যে চর্চা, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে যতটুকু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ভেতরেই হয়। আমরা নিয়ম কানুন মেনে সবকিছু করে থাকি। ভুল ত্রুটি হয় না তা নয়, কারণ পারফেক্ট পৃথিবীতে কেউ নয়। এছাড়া আমরাই এদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলি না, নিজেদের ঘরে চর্চা করি। আর বিএনপি সেটা করে না। তাদের কনফারেন্সও হয় না কত বছর।
গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য আওয়ামী লীগের ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। শেষদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। বিপরীতে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গতকাল দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। এ থেকে মোট আয় হয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়।
প্রথম দিন বিক্রি হয়েছিল ৮১০টি ফরম। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।