ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক পাওয়া মাত্রই প্রাথীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মানতে হবে ইসির নির্দেশনা। সেখানে সেখানে পোস্টার, সভা-সমাবেশ করা, যখন-তখন মাইক ব্যবহারসহ নানা ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে প্রার্থী ও ভোটারদের।
এসব নিয়ম মানাতে নির্বাচন কমিশন জারি করেছে বিধিনিষেধ।
প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ ও এর সংশোধনী (২০১৩) মেনে চলার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে পাঠানো ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না।
কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না; মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, বিল্ডিং, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটিতে বা যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না; তবে দেশের যেকোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল রশিতে ঝুলিয়ে টাঙানো যাবে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না; মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা দুপুর ২টা হতে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্য বা কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচনী ক্যাম্পে কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনো উপঢৌকন প্রদান করাও যাবে না।
বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বা অনুদান দেওয়া যাবে না; সরকারি ডাকবাংলো, রেস্টহাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচনও করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না; কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচলের স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না।
বিধিমালায় পোস্টার ঝুলিয়ে লাগানোর কথা বলা হলেও নির্বাচনের সময় দেয়াল লিখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু দেয়াল নয়, কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়কদ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায়ও প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অঙ্কন করা যাবে না।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার ও ব্যানার সাদাকালো হতে হবে; পোস্টারের সাইজ অনধিক ৬০ বাই ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার অনধিক ৩ বাই ১ মিটার হতে হবে। পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থীর নিজের প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক প্রকাশ করা যাবে না বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রার্থীকে আইনে নির্ধারিত ব্যয়সীমার মধ্যে থেকে প্রচারে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে। এবার ভোটারপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১০ টাকা। তবে কোনো আসনে ভোটার সংখ্যা যাই- হোক না কেন সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। এই ব্যয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বহন করতে হবে। সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয় ভাউচারসহ সংরক্ষণ করে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আমাদের বার্তা একটিই। প্রত্যেক প্রার্থী যেন নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা করেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে নির্বাচন মনিটারিংয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারীদের।’ এ ক্ষেত্রে প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে বলে তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকায় আইনমন্ত্রীর গুলশানের আবাসিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বৈঠকের বিষয়ে মফিজুর রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে যা চলছে, সে সম্পর্কে আদ্যপান্ত জানানোর পর আইনমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন।জেলা আইনজীবী সমিতির এই নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে যে আমরা জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ দাবি করছি, তাও তাদের বলেছি। এ ছাড়া বিচারক ফারুক আহমেদও যে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে তিনটি জরুরি মামলা গ্রহণ না করে, আইনজীবীদের সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ এবং ঢালাওভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। সেটাও অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী জেলা জজসহ দুই বিচারক ও দুর্নীতিবাজ নাজিরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল গত ১ ডিসেম্বর। ওই দিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় গত ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস চলাকালে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৪ জানুয়ারি জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আদালতের সব এজলাসের দরজা ও প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা সাধারণ সভা করে তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। পরে এটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা সাত কার্যদিবস আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরি মিলছিল না মুক্তা সুলতানার। সেই হতাশায় নিজের অর্জিত সব সনদ পুড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
সেই মুক্তাকে চাকরি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্ণমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ পদে তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৩ মে ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহানুভূতির কারণে আমার চাকরি হয়েছে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন, তা এখনও তার কাছে বিস্ময়ের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্ৰস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিট) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সূত্র : বাসস
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রোববার রাত ৯টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) লন্ডনে পৌঁছায়। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
রোববার সকাল ১০টার পর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট। সে সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বনেতারা ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জমায়েত হবেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বাস পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে ত্বরান্বিত পদক্ষেপ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং সবার জন্য স্থায়িত্বের দিকে’।
এ সফরে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।
এরমধ্যে সোমবার নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা– খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে অপহৃত এক রোহিঙ্গা যুবক উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ।
উদ্ধার ভিকটিম-উখিয়ার থাইংখালি ক্যাম্প-১৯ এ /৭ ব্লকের হোসেন আহমদের ছেলে কেফাত উল্লাহ(২৪)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উখিয়ার ক্যাম্প-এক্সটেনশন বি-৪ এইচ/১ ব্লকের ফয়েজউল্লাহ এর ছেলে এনামউল্লাহ (২১),টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়া মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে কলিম উল্লাহ(৩৫) ও দক্ষিণ লম্বরি সাইফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম(১৯)।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের নাফনদী থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ জানান, গত শনিবার উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি মানব পাচারকারী চক্র রোহিঙ্গা কেফাতউল্লাহ (২৪) এবং হামিদ হোসেন (২৫) কে বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অপহৃত ব্যক্তিদের নৌকা যোগে মিয়ানমারে পাঠানোর সময় হামিদ হোসেন (২৫) পালিয়ে চলে আসে। কেফাত উল্লাহ(২৪) কে মিয়ানমারে নিয়ে আটে রেখে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিম, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অপরাধ গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা পূর্বক প্রাথমিক তদন্তে এই মানবপাচার চক্রটির অপরাধের কর্মকৌশল সম্পর্ক জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অপরাধী মানবপাচার চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানায়।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার জন্য সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ ৭ আগস্ট বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা প্রয়োজনে কয়েকটি সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হানাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজবে আতঙ্কিত হয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন। সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ
১। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০১৭৬৯-৩২২৪৯১, ০১৭৬৯-৩৩২৬০৯
২। চাঁদপুর ০১৮১৫-৪৪০৫৪৩, ০১৫৬৮-৭৩৪৯৭৬
৩। ফেনী ০১৭৬৯-৩৩৫৪৬১, ০১৭৬৯-৩৩৫৪৩৪
৪। লক্ষীপুর ০১৭২১-৮২১০৯৬, ০১৭০৮৭৬২১১০
৫। কুমিল্লা ০১৩৩৪-৬১৬১৫৯, ০১৩৩৪-৬১৬১৬০
৬। নোয়াখালী ০১৬৪৪-৪৬৬০৫১, ০১৭২৫-০৩৮৬৭৭
৭। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ০১৭৬৯১০৭২৩১, ০১৭৬৯১০৭২৩২
৮। চট্টগ্রাম (লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ব্যতিত) ০১৭৬৯২৪২০১২, ০১৭৬৯২৪২০১৪
ঢাকা বিভাগ
১। মাদারীপুর ০১৭৬৯০৭২১০২, ০১৭৬৯০৭২১০৩
২। কিশোরগঞ্জ ০১৭৬৯১৯২৩৮২, ০১৭৬৯২০২৩৬৬
৩। টাঙ্গাইল ০১৭৬৯২১২৬৫১, ০১৭৬৯২১০৮৭০
৪। গোপালগঞ্জ ০১৭৬৯-৫৫২৪৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৪৮
৫। রাজবাড়ী ০১৭৬৯-৫৫২৫১৪, ০১৭৬৯-৫৫২৫২৮
৬। গাজীপুর ০১৭৮৫৩৪৯৮৪২, ০১৭৬৯০৯২১০৬
৭। মুন্সিগঞ্জ ০১৭৬৯০৮২৭৯৮, ০১৭৬৯০৮২৭৮৪
৮। মানিকগঞ্জ ০১৭৬৯০৯২৫৪০, ০১৭৬৯০৯২৫৪২
৯। নারায়ণগঞ্জ ০১৭৩২০৫১৮৫৮
১০। নরসিংদী ০১৭৬৯০৮২৭৬৬, ০১৭৬৯০৮২৭৭৮
১১। শরিয়তপুর ০১৭৬৯০৯৭৬৬০, ০১৭৬৯০৯৭৬৫৫
১২। ফরিদপুর ০১৭৬৯০৯২১০২, ০১৭৪২৯৬৬১৬২
ঢাকা মহানগর
১। লালবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, তেজগাঁও, এ্যালিফেন্ট রোড এবং কাঁটাবন ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
২। গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাহানপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং বনশ্রী ০১৭৬৯০১৩১০২, ০১৭৬৯০৫৩১৫৪
৩। মিরপুর-১ হতে মিরপুর-১৪, খিলক্ষেত, উত্তরা এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ০১৭৬৯০২৪২১০, ০১৭৬৯০২৪২১১
৪। ঢাকার মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান এবং পুরান ঢাকা ০১৭৬৯০৯২৪২৮, ০১৭৬৯০৯৫৪১৯
বরিশাল বিভাগ
১। বরিশাল ০১৭৬৯০৭২৫৫৬, ০১৭৬৯০৭২৪৫৬
২। পটুয়াখালী ০১৭৬৯০৭৩১২০, ০১৭৬৯০৭৩১২২
৩। ঝালকাঠি ০১৭৬৯০৭২১০৮, ০১৭৬৯০৭২১২২
৪। পিরোজপুর ০১৭৬৯০৭৮২৯৮, ০১৭৬৯০৭৮৩০৮
ময়মনসিংহ বিভাগ
১। শেরপুর ০১৭৬৯২০২৫১৬, ০১৭৬৯২০২৫২৪
২। নেত্রকোণা ০১৭৬৯২০২৪৭৮, ০১৭৬৯২০২৪৪৮
৩। জামালপুর ০১৭৬৯১৯২৫৪৫, ০১৭৬৯১৯২৫৫০
৪। ময়মনসিংহ ০১৭৬৯২০৮১৫১, ০১৭৬৯২০৮১৬৫
খুলনা বিভাগ
১। বাগেরহাট ০১৭৬৯০৭২৫১৪, ০১৭৬৯০৭২৫৩৬
২। কুষ্টিয়া ০১৭৬৯-৫৫২৩৬২, ০১৭৬৯-৫৫২৩৬৬
৩। চুয়াডাঙ্গা ০১৭৬৯-৫৫২৩৮০, ০১৭৬৯-৫৫২৩৮২
৪। মেহেরপুর ০১৭৬৯-৫৫২৩৯৮, ০২৪৭৯৯২১১৫৩
৫। নড়াইল ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৭
৬। মাগুরা ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৫, ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৬
৭। ঝিনাইদহ ০১৭৬৯-৫৫২১৫৮, ০১৭৬৯-৫৫২১৭২
৮। যশোর ০১৭৬৯-৫৫২৬১০, ০১৭৬৯-০০৯২৪৫
৯। খুলনা ০১৭৬৯-৫৫২৬১৬, ০১৭৬৯-৫৫২৬১৮
১০। সাতক্ষীরা ০১৭৬৯-৫৫২৫৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৫৪৮
রাজশাহী বিভাগ
১। রাজশাহী ০১৭৬৯১১২৩৮৬, ০১৭৬৯১১২৩৮৮
২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ০১৭৬৯১১২০৭০, ০১৭৬৯১১২৩৭২
৩। পাবনা ০১৭৬৯১২২৪৭৮, ০১৭৬৯১১২৪৮০
৪। সিরাজগঞ্জ ০১৭৬৯১২২৪৬২, ০১৭৬৯১২২২৬৪
৫। নাটোর ০১৭৬৯১১২৪৪৬, ০১৭৬৯১১২৪৪৮
৬। নওগাঁ ০১৭৬৯১২২১১৫, ০১৭৬৯১২২১০৮
৭। জয়পুরহাট ০১৭৬৯১১২৬৩৪
৮। বগুড়া ০১৭৬৯১১২৫৯৪, ০১৭৬৯১১২১৭০
রংপুর বিভাগ
১। রংপুর ০১৭৬৯৬৬২৫৫৪, ০১৭৬৯৬৬২৫১৬
২। দিনাজপুর ০২৫৮৯৯২১৪০০, ০২৫৮৯৬৮২৪১৪
৩। নীলফামারী ০১৭৬৯৬৮২৫০২, ০১৭৬৯৬৮২৫১২
৪। লালমনিরহাট ০১৭৬৯৬৮২৩৬৬, ০১৭৬৯৬৮২৩৬২
৫। কুড়িগ্রাম ০১৭৬৯৬৬২৫৩৪, ০১৭৬৯৬৬২৫৩৬
৬। ঠাকুরগাঁও ০১৭৬৯৬৬৬০৬২, ০১৭৬৯৬৭২৬১৬
৭। পঞ্চগড় ০১৯৭৩০০০৬৬২, ০১৭৬৯৬৬২৬৬১
৮। গাইবান্ধা ০১৬১০৬৫২৫২৫, ০১৭৫৪৫৮৫৪৮৬
সিলেট বিভাগ
১। সিলেট ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, ০১৯৮৭৮৩৩৩০১
২। হবিগঞ্জ ০১৭৬৯১৭২৫৯৬, ০১৭৬৯১৭২৬১৬
৩। সুনামগঞ্জ ০১৭৬৯১৭২৪২০, ০১৭৬৯১৭২৪৩০
৪। মৌলভীবাজার ০১৭৬৯১৭৫৬৮০, ০১৭৬৯১৭২৪০০