চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক, চুরি, ছিনতাই এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ বাজারে গ্রামবাসী উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্দ গ্রামের মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা তাজু মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মারুফ মিয়া।
এ সময় বক্তারা বলেন, গ্রামের ভেতর বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এতে যুব সমাজ চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ভাঙে যাচ্ছে অনেক সংসার। নেশার টাকা জোগাড় করতে পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে তারা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছে না। বিভিন্ন সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও পরক্ষণে তারা দ্বিগুণ উৎসাহে একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে মাদক নির্মূলে জোর দাবি জানাচ্ছি।
পরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফোরলেন সড়কের বর্তমান অবস্থা, শহরে অটোরিকসা ও ইজিবাইকের লাইসেন্স, মাদক ও বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
সভায় ফোরলেন সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে শহরের পুনিয়াউট থেকে পৈরতলা পর্যন্ত অংশে যানবাহন ধীরগতিতে চলার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে জানানোর পর জেলা প্রশাসক জানান, ভারতীয় ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের ৩ প্রকৌশলী প্রথম পর্যায়ে আগামী ২১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসছেন। তারা পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখার পরই কাজ শুরু হতে পারে। আশা করা যাচ্ছে এ মাসের শেষে কাজ শুরু হতে পারে। ১৭ অক্টোবর ওই ৩ প্রকৌশলী ঢাকায় পৌছবেন। ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সচিব মিস সালোনী ৩ প্রকৌশলীর আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক। ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে সর্বোচ্চ লেবেলের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসনকে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো কাজে যাতে বিন্দুমাত্র হেম্পার না হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো: রুহুল আমিন, এনএসআই’র উপ-পরিচালক নূরে আলম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: বিল্লাল হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, সমাজসেবার উপ-পরিচালক আবদুল কাইয়ুম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা।
সভায় বাজার মনিটরিং,মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান এবং শহরের চলাচলকারী অটোরিকসা ও ইজিবাইকের বিষয়ে আলোচনা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, সরকারি অফিসের একজন পিয়ন যখন অবসরে যান তখন তাকে ফুলের তোড়া ও হাতে একটি চেক দিয়ে বিদায় করা হয়। তিনি হাসিখুশিভাবে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু একজন সাংবাদিকের অবসরের সময় ফুলের তোড়াও অনেক সময় দেওয়া হয় না। চোখের জলে বাড়ি ফিরতে হয়। আমরা চাই ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য পেনশন চালু করা হোক।
আজ ৬ মার্চ বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দশম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। অথচ তারাই অবহেলিত। তারা যে বেতন পান সেটা একদিনের বাজার খরচের সমান। এ পেশায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘সঠিক বেতন-ভাতা দেওয়া, আবাসন নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবেশ করা হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ইতিহাস বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আমরাও দাবির বিষয়ে সফলতা পাবো।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সাড়ে ৩শ’ অসহায় প্রবীণকে ঈদি হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি ও ঈদসামগ্রী দিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘বাউনবাইরার কতা’।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রবীণদের হাতে ইতি তুলে দেয়া হয়। এছাড়া সংগঠনের সদস্যদের দেওয়া যাকাতের অর্থে ২০টি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি, রিকশা, ছাগল, মুদি দোকান ও আইসক্রিম গাড়ি এবং ঘর প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বাউনবাইরার কতা’র এডমিন ডা. মাহবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন,নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
পরে আলোচনা শেষে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় উপকারভোগীদের হাতে রিকশা, ভ্যান ও সেলাই মেশিন এবং প্রবীণদের হাতে ঈদি তুলে দেন অতিথিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি।
সকালে শহরের লোকনাথ উদ্যান থেকে জেলা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রেসক্লাবের সামনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার পতনে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পাশে ছিলো। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন হয়। বক্তারা শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে বিচারের দাবি জানান। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়াতেও একই ধরণের কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপির একটি মিছিল মটর স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে নেতৃবৃন্দ পৌর মুক্তমঞ্চে এসে অবস্থান নেয়।
সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসংবর্ধনায় সংবর্ধিত জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, সাদেকপুর ইউনিয়নের আটটি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষের এই ভালবাসার কাছে আমি চিরঋনী হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতুলীর এই অবহেলিত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অবকাঠামো এবং যোগাযোগসহ শিক্ষার উন্নয়নে আমি আপনাদের সন্তানের মতো পাশে থেকে সহযোগীতা করে যাবো।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ অর্জন উপলক্ষে সাদেকপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে গতকাল দামচাইল বাজারে সাবেক সফল চেয়ারম্যান এডভোকেট হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ মোঃ শাহ আলম, কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুর রহমান শরীফ সহ জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎস্যজীবীলীগ, তাঁতিলীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় আবুল কাশেম মাষ্টার, মতিউর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, শাহআলম, আবুল কালাম আজাদ, এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শতশত নারী ও পুরুষ এলাকার কৃতি সন্তান হিসাবে জনাব আল-মামুন সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পাশর্^বর্তী বড়াইল ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।