চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাছে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ০৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ০৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ০৫জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ০৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহনুল করিম পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম পেয়েছেন (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর) পেয়েছেন (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান পেয়েছেন (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার পেয়েছেন (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন (সোনালী আঁশ প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতীক)।
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রড নিয়ে একটি জাহাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসেছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি বন্দরে নোঙর করে। ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে বন্দর থেকে রডগুলো খালাস করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড নিয়ে এমভি বোলকার নামে একটি জাহাজ গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। রডগুলো আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় পাঠানো হবে। এগুলোর সিঅ্যান্ডএফ করবে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আক্তার হোসেন বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আজ রবিবার বিকেলে খালাস করতে পারলে আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে রডগুলো আগরতলায় পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, জাহাজের মালামাল লোড-আনলোড বাবদ প্রতি টনের জন্য ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা ও কার্যবেক্ষণ চার্জ হিসেবে প্রতি টন পণ্যের জন্য ১০ টাকা এবং জাহাজের বার্থিং চার্জ হিসেবে প্রতিদিন ৩১৫ টাকা পাবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার গ্রীষ্মকালীন টমেটো বিক্রি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ১ হেক্টর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১ হেক্টর, আখাউড়া উপজেলায় ৩ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৮ হেক্টর ও নাসিরনগর উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে।
তবে জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগরে ৫২ হেক্টর জমিতে (৭.৫ বিঘায় ১ হেক্টর) এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে বারি-৮ ও মঙ্গলরাজা জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। চলতি বছর শুধু নাসিরনগর উপজেলাতেই প্রায় ২০ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওর বেষ্টিত নাসিরনগর উপজেলায় চলতি বছর প্রায় ২২ হেক্টর (৪০০ বিঘা) জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটোর বাগানগুলো বেশীর ভাগই করা হয়েছে বাড়ির আঙিনা ও উঁচু জায়গায়। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বাগান থেকেই আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কৃষক হাসিম মিয়া জানান, সারা বছরই তার এই জমি পতিত থাকতো। গত প্রায় তিন মাস আগে কৃষি অফিসের লোকজন তার বাড়িতে এসে বলেন, তিনি যদি তার পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে তাহলে তিনি লাভবান হবেন। তাদের পরামর্শে তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেছেন। তাতে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিনি টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।
উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জায়গা বর্গা নিয়ে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গ্রীষ্মকালীর টমেটোর চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি তিন লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। একই ইউনিয়নের কৃষক রফিক মিয়া বলেছেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি বাড়ির আঙ্গিনার ২৫ শতাংশ পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছেন। টমেটোর ফলন ও ভালো হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।
বিভিন্ন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে খরচ কম, লাভ বেশী। তাই তারা টমেটোর চাষ করেছেন। আগামীতে উপজেলায় টমেটোর চাষ আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি বছর ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। আমারা জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের উদ্যোক্তা তৈরি করছি। টমেটোর ফলনও এ বছর ভালো হয়েছে। আশা করি এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে। ফলন বাড়াতে আমরা চাষীদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনশুমারি ও গৃহগণনা এর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি জেলায় সাক্ষরতার হার গত ১০ বছরে ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭২ শতাংশ হয়েছে। কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। সেটা ১.৬৮ থেকে নেমে ১.৩৫ এ এসেছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি, ২০২২ সালে হওয়া শুমারি অনুযায়ি জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে ৪৭ ভাগ হারে পুরুষ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬২ জন ও নারী ৫৩ ভাগ হারে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ জন। হিজড়ার সংখ্যা ১৫৬ জন। ২০১২ সালের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ি সাক্ষরতার হার ছিলো ৪৫.২৯, যা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.১২। সাক্ষরতার দিকে থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭১.৭৪, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৪৪।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন প্রবাসে থাকেন। সবচেয়ে বেশি নবীনগর উপজেলার ৫৭ হাজার ৯৮ জন প্রবাসে থাকেন। শুমারি চলাকালীন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ৪১.৭০ জন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছিলেন না, কাজে নিয়োজিত ছিলেন না কিংবা বৃত্তিমূলক কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি। এর মধ্যে ৫৭.৩২ ভাগ নারী ও ২০.১৯ ভাগ পুরুষ।
পাঁচ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৮.১৬ ভাগ ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষায় আছেন ৮৮.২১ ভাগ। কারিগরি শিক্ষায় ০.৩৪ ভাগ। অন্যান্য শিক্ষায় আছেন ২.৪৮ ভাগ। জেলায় মুসলমান ৯৩.২৯ ভাগ। হিন্দুর সংখ্যা ৬.৬৮ ভাগ।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচনি মনোনয়ন পর্ব শেষ হলে বুঝা যাবে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ নির্বাচনে যাবে কিনা। কিংবা আমাদের বিরুদ্ধে যারা দাড়াচ্ছেন কোন দল বেশি শক্তিশালী, কোন দল কম শক্তিশালী সেটা পরে বুজা যাবে। আমরা চাই নির্বাচনে সকলেই অংশগ্রহণ করুক। একটি উৎসব ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের আগামী দিনের সরকার পছন্দ করে নিবে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার দুপুরে চাঁদপুরস্থ কদমতলা রোডের শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। তাই সকলের মনোনয়ন চাইবার গনতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে সেটা মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত কিন্তু চাইবার অধিকার সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার খবরে আখাউড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে বিএনপির অফিসের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কওে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় উপজেলা ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউল হাসান খান (সানী), আখাউড়া উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন জীবন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পলাশ ও আবির হোসেন টিপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২-এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।