বিনোদন ডেস্ক :
হোটেল থেকে জিনিসপত্র চুরি করেন বিশ্বখ্যাত গায়িকা অ্যাডেল! গল্প নয়, সত্যিই! আর সেই চুরির কথা স্বীকারও করেছেন গায়িকা।
বিশ্বখ্যাত পপতারকা অ্যাডেল যার সম্পত্তির মোট মূল্য ২২০ মিলিয়ন, সম্প্রতি নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, তিনি যে হোটেলে ওঠেন সেখানকার কিছু জিনিস তিনি চুরি করেছেন। এই পপ সুপারস্টার বলেছেন, ‘যদি আমি খুব অভিজাত হোটেলে উঠি, তবে আমি সেখানকার সবকিছু নিয়ে যাই।’
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রিসমাসের আগে সিজারস প্যালেসে লাস ভেগাস রেসিডেন্সি শো চলাকালীন দর্শকদের সম্বোধন করে এসব কথা বলেন গায়িকা।
অ্যাডেলে বলেন, ‘পৃথকভাবে মোড়ানো টুথব্রাশ, শেভ ফোম, কখনও নাম শোনা যায় এমন সব ব্র্যান্ড এবং সমস্ত জীবাণুবিয়োজ্য প্যাকেজিংয়ের জিনিসগুলি- যখন আমরা কোনো হোটেলে যাই এগুলো আমাদের অনেক পছন্দ হয়। আমি এগুলো সঙ্গে করে নিয়ে আসি।’
স্পোর্টস এজেন্ট স্বামী রিচ পলের সঙ্গে বেভারলি হিলসের একটি ছয় বেডরুমের ৪৮ মিলিয়ন ম্যানশনে থাকা অ্যাডেলে অর্থের অভাব নয়, বরং মজা করেই এই চুরি করেন। তিনি দাবি করেন যে কোনোকিছু শেয়ার করাটাই যত্নের বিষয়।
তবে অ্যাডেলে জানিয়েছেন, তিনি কখনো কারো বাড়ি থেকে এসব নেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি অতিথি শিষ্টাচার জানি। আমি কখনই কারও বাড়ি থেকে কিছু নেব না, এমনকি যদি সেটি ব্যবহারের জন্যও দেওয়া হয়। আপনি যদি আপনার বন্ধুর বাড়িতে থাকতে যান, মনে রাখবেন আপনি সেখানে বিনামূল্যে থাকেন।
আপনার কোনও উপহারের আশা করা উচিত নয়।’
বিশ্বের ধনী পপতারকাদের মধ্যে অন্যতম একজন অ্যাডেল। একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাডেলের মোট সম্পদের পরিমাণ ২২০ মিলিয়ন ডলার। তিনি গানের রেকর্ড বিক্রয়, কনসার্ট পারফরম্যান্স এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে তাঁর সম্পদ গড়েছেন। অ্যাডেল বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়নেরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি করেছেন।
গায়িকার বিশাল সম্পত্তি রয়েছে যার মধ্যে বেভারলি হিলস সংলগ্ন তিনটি বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তিনি ৫০ মিলিয়নের প্রাইভেট হিডেন হিলস মেডিটেরিয়ান-স্টাইল এস্টেটে থাকেন, যা পূর্বে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের মালিকানাধীন ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিধ্বংসি দাবানলের মধ্যে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী জোলি সম্প্রতি জানান, তিনি এই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকা থেকে সরে যাওয়া বন্ধুদের জন্য তার বাড়িটিকে উন্মুক্ত করে রেখেছেন। সেইসাথে তিনি সবাইকে এই বিপর্যয়ে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
একটি সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে জানায়, অ্যাঞ্জেলিনা খুবই দুঃখিত হয়েছেন বাড়ি হারিয়েছেন যারা তাদের জন্য। অনেকে আছেন যারা নিঃস্ব হয়েছেন। দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন সবার পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
৭ জানুয়ারি প্যাসিফিক পালিসেডস থেকে শুরু হওয়া দাবানল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ হাজারেরও বেশি স্থাপনা, যার মধ্যে বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত- ধ্বংস হয়ে গেছে। এই দাবানল ৮০ হাজারেরও বেশি বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদের মধ্যে আছেন লেইটন মিস্টার, প্যারিস হিলটন, জেমস উডস, অ্যাডাম ব্রডি, ম্যান্ডি মুর, আন্না ফ্যারিস, রিকি লেকের মতো সেলিব্রিটি।
১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দাবানলের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এমন সময়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই মহানুভবতা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। এছাড়াও জানা গেছে, অনেক সেলিব্রিটিই ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সে তালিকায় আছেন হ্যালি বেরি, শ্যারন স্টোনরা। তারা আর্থিক সহায়তা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন। জেমি লি কার্টিস এবং তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দান করতে দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টারইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম তিনটি শট ঠেকিয়েছেন।
প্রথমার্ধে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না গোল করে সমতা আনেন। কোনো দল আর গোল করতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ এ। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হলো টাইব্রেকারে।
শুরু থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশ ছিল এলোমেলো। ভুল পাস ও সমন্বয়হীনতায় শুরুর দিকে ছন্নছাড়া ছিল সাইফুল বারী টিটুর দল। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত।
মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ঠিকঠাকমতো ডিফেন্স করতে পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বল বের করে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আনুসকা কুমারী। তিনি বাম দিকে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে।
বিরতির বাঁশির দুই মিনিট আগে বাংলাদেশ সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সাথীর কর্নার রুখে দেন ভারতের গোলরক্ষক মুন্নী । তবে ৭০ মিনিটে বদলি অনন্য মুরমু বিথীর কর্নার থেকে গোল করেন বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না।
ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা বিশ্বাস, শিউলি রায়, আরিফা আক্তার, সাথী মুনদো, আলপি আক্তার, ক্রানুচিং মারমা (অনন্যা মুরমু বিথি), ফাতেমা আক্তার (মমিতা) ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।
বিশেষ প্রতিনিধি:
অনলাইন ডেস্ক :
জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো । কিন্তু শেষ দিনে প্রথম সেশন পর্যন্তও টিকল না ভারত।
তাদের উড়িয়ে দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ‘গদা’ নিজের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারত চতুর্থ ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানেই। যার ফলে ২০৯ রানের দাপুটে জয় পায় অজিরা।
দ্য ওভালে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। বিরাট কোহলি ৪৪ ও অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করছিলেন ২০ রান নিয়ে। মূলত তাদের ব্যাটে টেস্ট বাঁচানোর আশা দেখেছিল ভারত। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতেই সাজঘরে যেতে হয় কোহলিকে। স্কট বোল্যান্ডের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে রোহিত শর্মার দল। জয় তো দূরের কথা ড্রয়ের আশাটাও তখন ফিকে হয়ে যায়। ন্যাথান লায়নের স্পিন তোপে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও সেরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাই ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। অজিদের হয়ে লায়ন চারটি, বোল্যান্ড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি ও প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।
মর্যাদার লড়াইয়ে এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। জবাব দিতে নেমে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। বড় লিড পেয়ে ভারতের জন্য লক্ষ্যটা পাহাড়সম করে তোলে অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে, যেখানে ভারতকে জিততে হলে ভাঙতে হবে বিশ্বরেকর্ড। ২০ বছর আগেও ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই ইতিহাস আর ভাঙা হয়নি ভারতের, পরপর দুইবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিরতে হলো খালি হাতে। একইসঙ্গে ঘুচাতে পারেনি ১০ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পূরণ করলো আইসিসি ট্রফি জয়ের চক্র। প্রথম দল হিসেবে আইসিসি স্বীকৃত সব শিরোপা জিতেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে চাপের মুখে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলায় ফাইনাল-সেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড।
ডেস্ক রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম ৭ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন কোনো বোলার। মাত্র চার ওভারে ৭ উইকেট শিকার করেন সাইয়াজরুল ইদ্রুস!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ইতিহাস গড়লেন মালয়েশিয়ার এই পেসার। ৭ উইকেটের কোনোটিতেই কারও সহায়তা লাগেনি তার। সব আউটই ছিল বোল্ড।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে চীনের মুখোমুখি হয় মালয়েশিয়া। ৮ রানে ৭ উইকেট নেন ইদ্রুস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম এক ম্যাচে ৭ উইকেট নিতে পারলেন কোনো বোলার।
কুয়ালালামপুরে এই ম্যাচে প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন ইদ্রুস। তার বোলিং ফিগার ৪-১-৮-৭।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের আগের রেকর্ড ছিল ৫ রানে ৬ উইকেট। ২০২১ সালে সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে রেকর্ডটি গড়েছিলেন নাইজেরিয়ার পিটার আহো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। রয়ে যাওয়া রাজধানীবাসীর অনেকেই আষাঢ়ের প্রথম দিন মেতে উঠেছিলেন বর্ষা বন্দনায়। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শপথে আজ ১৫ জুন শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ষা উৎসব। আয়োজনে ছিল বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদ। বাংলার পঞ্চকবির গান, কবিতার পাশাপাশি সম্মিলিত নৃত্যে সাজানো হয় এ উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় বকুলতলার মঞ্চে মো. হাসান আলীর বাঁশির লোকজ সুরে শুরু হয় উৎসব।
উৎসবে শিল্পী সাজেদ আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত ‘বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এলো’; সালমা আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি শোনান নজরুলগীতি ‘বরষা ওই এল বরষা’। অনিমা রায় শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘নীল অম্বর ঘন কুঞ্জ ছায়ায়’। নবনীতা জাইদ চৌধুরী শোনান আধুনিক গান ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’। এদিন একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আবিদা রহমান সেতু, শ্রাবণী গুহ রায়, স্নিগ্ধা অধিকারী, রত্না সরকার, ফেরদৌসী কাকলী।
দলীয় সংগীত পর্বে বৃষ্টি নামার গানের সঙ্গে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘গাঙ্গে যাইতাছে দেখো ভাই’। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে নজরুল সংগীত ‘রুমুঝুম রুমুঝুম কে বাজায়’। সুরবিহার পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘এসো শ্যামল সুন্দর’। এদিন পঞ্চভাস্বর, সীমান্ত খেলাঘর আসর, সুরনন্দনের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে বর্ষার গান শোনান।
আবৃত্তি পর্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’। ত্রপা মজুমদার পাঠ করেন ইন্দ্রানী সমাদ্দারের কবিতা ‘বৃষ্টি’। তিনি শোনান প্রদীপ বালার কবিতা ‘যে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে’। নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি শোনান জয় গোস্বামীর কবিতা ‘মেঘ বালিকা’। সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, স্পন্দন, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস, কথক নৃত্য সম্প্রদায়।
কথন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নগরে বসন্ত উৎসব, শরৎ উৎসব, নবান্ন উৎসব আর বর্ষা উৎসব পালন করি আমরা। আমাদের শস্য, গাছপালা আর ফলন যেটির কথা বলি না কেন, তার সবটাই বর্ষার ওপর নির্ভরশীল।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী নগরে বৃক্ষায়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাড়িঘর বানাতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন তারা আরও বেশি করে গাছ লাগান। আমরা প্রকৃতির বন্ধু হতে চাই।
পরে এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী শিশুদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন অতিথিরা।
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করা যাবে না-উদীচী : প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্প বা স্থাপনা গড়ে তোলা চলবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করতে হবে। শহরে-বন্দরে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গাছ কাটা, পশু-পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা চলবে না। অবিলম্বে দেশের বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বর্ষা উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান বক্তারা। বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানাতে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ ‘প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বিশ্ব বিবেক’ এ স্লোগানে আয়োজন করে বর্ষা উৎসবের। সকাল ৭টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর উদীচীর সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে বর্ষা কথনপর্বে আলোচক ছিলেন কৃষি ও কৃষকবন্ধু রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা।
আলোচক ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও বর্ষা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কবি রহমান মুফিজ।
সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।