চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনেরর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন তাদের মনের শান্তির জন্য, জনগণ তাদের সমর্থন করে না।
পূর্ব পাকিস্তানের সময় বঙ্গবন্ধু দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভোট ও সমর্থন নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
এখন বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে সেই ঐতিহ্যবাহী অসহযোগ আন্দোলনকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। জনগণ তাদের সমর্থন করে না, যোগ করেন মন্ত্রী।
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনার গাঁও মাদরাসা মাঠে এক পথসভায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি সন্ত্রাস শুরু করে। ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস ও ২০১৮ সালে মনোনয়ন সন্ত্রাস করেছে। আর এখন রেললাইন কাটা ও মানুষ মারার সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ভোটের জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে লুট করা টাকা নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করে।
এসময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চকবস্তা গ্রামের জাজিয়ারা-রেললাইন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে চকবস্তা গ্রামের জাজিয়ারা-রেললাইন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী আলম মিয়া, রবিন ও রায়হান মিয়া পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চান্দাইসার গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়ার সঙ্গে একই ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়ার একটি নারী সংক্রান্ত ঘটনায় বিরোধ হয়। ওই বিরোধ মেটাতে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃস্থানীয়রা দুই গ্রামবাসীর উদ্যোগে চান্দাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সালিশ বৈঠকে বসেন। সাবেক ইউপি সদস্য মো. মতিন মিয়ার সভাপতিত্বে এবং বিল্লাল হোসেনের সঞ্চালনায় বৈঠকে ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেলসহ এলাকার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক চলাকালীন দুই গ্রামের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুই গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে গুরুতর আহতরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
অপরদিকে অন্যান্য আহতদের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মজলিশপুর গ্রামের ফারুক হোসেন বাদী হয়ে চান্দাইসার গ্রামের ৯ জনের বিরুদ্ধে এবং চান্দাইসার গ্রামের সুজন মিয়া বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিনাউটি ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, একটি নারীসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সবুজ ও শরীফ মিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই বিরোধ মেটাতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’পক্ষই তাদের গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ জড়ায়।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জাকিয়া সুলতানা বলেন, নয়জনকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহমেদ বলেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দু’পক্ষ দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দুটি প্রাথমিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মামুনুর রহমান, ইন্সট্রাক্টর কসবা উপজেলা রিসোর্স সেন্টার এএসএম ইকবাল, কসবা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তুহিন কান্তি দাস ও কসবা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন। বর্তমান সময়ের জন্য মোবাইল ফোনকে অপরিহার্য আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, মোবাইল যেমন আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন তথাপি তার অধিক মাত্রা ব্যবহার মস্তিকের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ। বিশেষ করে যেসব শিশু অধিক পরিমান সময় মোবাইল ব্যবহার করে তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ দুটোই ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, বহু প্রতিকুলতার শর্তে ও আমাদের দেশে শতকারা ৯৭% শিশু প্রতি বছর শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন তিনি আরো বলেন শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না তারা যাতে যথার্থ বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে দেশের কাজে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটনকরতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। নারী সমাবেশে বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় তিন শতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবির ঘর এলাকায় মো. আকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তি অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করায় এতে পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়ে। আজ ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় জনস্বার্থে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মো. আকতার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, এ ধরনের অপরিকল্পিত মাটি উত্তোলনের ফলে কৃষি জমি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কৃষি জমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অগ্নিকান্ডে একটি মাকের্টের চারটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার বিকেলে কসবা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। খবর পেয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বিকেল বিকেল ৪টার দিকে সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন টিনশেডের ওই মার্কেটে আগুন লাগে। আগুনে দু’টি রড সিমেন্টের দোকান, একটি ফুলের দোকান ও একটি এসএস পাইপের দোকান পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কসবা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবদুল আল খালিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসএস পাইপের দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করা হয় বলে সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে। তিনি বলেন, তদন্ত না করে আনুমানিক ক্ষতির কথা বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন জুয়েল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।