চলারপথে ডেস্ক :
২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শেষ হবে ১২ মার্চ।
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার এক বিজ্ঞপ্তিতে সময়সূচি জানান।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন নিতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে।
প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে তিনদিন আগে সংগ্রহ করবে।
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমূহ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলী জমি-গাছপালা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ভাঙনকবলিতরা।
তাদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবো যেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তেমনি ভাঙনের শিকার মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত যমুনা নদীর পানি পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী বিস্তৃর্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর ইউনিয়ন, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম, চৌহালীর খাসপুকুরিয়া ইউপির ভুতের মোড়, বাঘুটিয়া, ওমারপুর, বেলকুচি এবং কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কে নদীর তীরবর্তী মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছে।
আর গত দেড়মাসে এসব অঞ্চলের প্রায় ৩ সহস্রাধিক বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে।
শাহজাদপুরের পাঁচিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, শরিফুল ইসলাম ও শুকুর ফকির জানান, দুদিন আগেও বসতভিটা ছিল। হঠাৎ প্রবল ঘুর্নাবর্তের কারণে বসতভিটাসহ আসবাবপত্র সব কিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোনরকম ছেলে-মেয়ে নিয়ে রক্ষা পেয়েছি। বর্তমানে যাবার কোনো জায়গা না থাকায় খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বসতঘর তোলার জায়গা না থাকায় ঘরগুলো ওয়াপদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রেখেছে। ঝড় বৃষ্টি ও রোদে পুড়ে খেয়ে না খেয়ে আমাদের জীবন পার করছি। এতো কস্টে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি।
চৌহালীর বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এক ইঞ্চি জায়গাও নেই। এখন একেবারে নিঃস্ব অবস্থায় পড়ে গেছি। ভবিষ্যতে কিভাবে চলবে সে চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। সরকার বা জনপ্রতি ও প্রশাসন কেউ আমাদের একটু সহযোগিতা করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার নদী তীর রক্ষায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ও চৌহালী রক্ষায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও পাউবো ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় তাদের গাফিলতির কারণে নদী ভাঙছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, যমুনা পানি বাড়ায় ভাঙ্গনও বাড়ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতো বড় এরিয়ায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সামর্থ্য পাউবোর নেই। এরপরেও যেখানে বেশি ভাঙছে সেখানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেল পথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেন ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সুলতানপুর, মাছিহাতা ও বাসুদেব ইউনিয়নের কয়েকশত গ্রামবাসী। আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা সহ ১৮টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণমানুষ অংশগ্রহণ করেন।
তিতাস কমিউটার যাত্রা বিরতি আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসানুজ্জামান ভূইয়া (তায়েফ) বলেন, ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানাই। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে গণসাক্ষর জমাদেবো। যদি আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে আমরা দ্বিতীয় ধাপে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধন চলাকালে জয়নাল আবেদীন ভূইয়া বলেন, “আখাউড়া থেকে ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় তিতাস কমিউটার ট্রেনটি। আবারো রাতে আখাউড়ার উদ্যোশে ফিরে আসে। যাত্রা পথে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন বক্তারা।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির আহম্মেদ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মহিউদ্দিন মুক্তা বলেন এটা আমাদের নাগরিক যুক্তি দাবি এই দাবি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
মো: আক্কাছ মীর সমন্বয় বলেন, এখানে আগে তিতাস ট্রেন দাঁড়াতো। কিন্তু এখন অজানা কারণে ট্রেন আর দাঁড়ায় না। এতে করে আমরা তিন ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তীতে আছি। আমরা চাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিতাস ট্রেন আমাদের স্টেশনে না দাড়ালে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর নিজামুল হক (৫৪) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে দাদা-নাতনি সম্পর্ক গড়ে তোলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক নারী। এরপরই নিজামুলকে ডলার দেওয়ার কথা বলে তার সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই রহস্যময়ী নারী। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নরসিংদীর মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে নিজামুল হকের মোবাইল ফোনে প্রায় তিন মাস আগে এক অজ্ঞাতনামা নারী ফোন করে দাদা-নাতনির সম্পর্ক সৃষ্টি করেন। এরপর ওই নারী নিজের দারিদ্রতার কথা বলে জানান – তার কাছে কিছু আমেরিকান ডলার আছে। তিনি এগুলো নিজামুল হককে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এরপর নিজামুল ১৩ জানুয়ারি ব্যবসার কাজে রংপুর এলে ওই নারীর অনুরোধে সাদুল্লাপুরে আসেন এবং তার বাড়িতে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে ওই নারী তার পিতা হিসেবে একজনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
একপর্যায়ে একটি ব্যাগে করে প্রায় এক হাজার পিস আমেরিকান ডলার তাকে দেখান এবং বলেন যে এখানে আট হাজার ডলার আছে। এই ডলারগুলো নিজামুলকে নিয়ে তাদেরকে সাত লাখ টাকা দিতে বলেন তিনি। তবে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির কাছে টাকা না থাকায় তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর থেকে ওই নারী বিভিন্ন সময় ফোন করে তাকে আমেরিকান ডলারগুলো ক্রয় করার জন্য অনুনয়-বিনয় করে বিরক্ত করতে থাকেন।
এ অবস্থায় ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা নিয়ে নিজামুল তার মেয়ের জামাইসহ নরসিংদী থেকে রংপুরে আসেন। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম করার পর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট বাজারের চতরাগামী পাকা রাস্তার পাশে পৌঁছালে ওই নারী নিজামুলকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যান। এরপর অনেকগুলো লোকের সামনে ডলারের বিনিময়ে তার থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। পরে নিজামুলকে ওই নারীর সহযোগীরা মোটরসাইকেলে উঠিয়ে ধাপেরহাট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি গাড়িযোগে নরসিংদীতে চলে যান। কিন্তু, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার। তখন তিনি সাদুল্লাপুর থানায় এজাহার দাখিল করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বাদীর লুণ্ঠিত পাঁচ লাখ টাকা, অপরাধ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, চার্জারভ্যান ও নকল ডলার উদ্ধার করেন। ওই সময় প্রতারক চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলাম গ্রেফতার হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার কক্সবাজারের ঝিলংজায় দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন ভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি প্রথমে কক্সবাজারের ঝিংলজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ার নির্মাণাধীন ঝিনুক আকৃতির আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন করেন। এরপর মন্ত্রী রামু রেলওয়ে স্টেশন ও চকরিয়ার ডুলহাজার রেল লাইন নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প রেলওয়েতে চলমান। এর মধ্যে একটি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং অন্যটি দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।
তিনি বলেন, আইকনিক রেলস্টেশনটি অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও দৃশ্য নন্দন, যার নিমার্ণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এটি কেবল কক্সবাজারে গর্ব না, এটি বাংলাদেশের গর্বও বটে।
তিনি আরো বলেন, ট্রেনে করে কক্সবাজার আসার জন্য সারা দেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। কাজের সুবিধার জন্য এই প্রকল্পটি দুটি ভাগে বিভক্ত। আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরে তা উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ট্রেন চলাচল শুরু হলে কালুরঘাট সেতু কোনো সমস্যা তৈরি করবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ট্রেন চালাতে কোনো সমস্যা হবে না।
দোজাহারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই রেলপথটি নির্মাণে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিদেশ থেকে যেসব উপকরণ আনতে হয়েছে, তাও মজুদ রয়েছে। এখন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।
ঢাকার সঙ্গে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে যুক্ত করতে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৯টি সেতু এবং ২৪২টি কালভার্ট করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্য হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে এই রেলপথ। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের রেলপথে ভ্রমণের সময় পর্যটকরা নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।