চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিখোঁজের একদিন পর আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার হেলাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হেলাল মিয়া নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। হেলালের মা পিয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার বউ প্রতিনিয়ত মারধর করতো। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কিভাবে মারা গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ছেলের মৃত্যুর সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে। হেলালের বোন পারভীন বেগম বলেন, আমার ভাই নবীনগরে ভাড়া বাসায় থেকে ঝাল মুড়ি ফেরি করে বিক্রি করতো। আবার মাঝে মাঝে রিকশা চালাতো। বউয়ের নির্যাতন ও পারিবারিক অশান্তির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে কৃষি জমিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করেছে। তিনি আরো বলেন, লাশের দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঠান্ডার কারণে তার শরীর শক্ত হয়ে গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিরসন ও শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক কাজ করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে যান তিনি।
নবীনগরের দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে কাজ করেন ইউএনও মো. একরামুল সিদ্দিক। যোগদানের পর থেকে তিনি এসব সমস্যার সমাধানে নানামুখী তৎপরতা চালান। কিভাবে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন সরকারি এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে, নেন তার পরামর্শ। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন ইউএনও।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক শুধু যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোতেই মনোযোগ দিয়েছেন তা নয়। উপজেলার শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে নিজে ক্লাস নেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাদের পড়াশোনার মান সম্পর্কে ধারণা নেন এবং তিনি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করেন। সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিকতাবোধ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন।
নবীনগর উপজেলা বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; তাই তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। করোনা মহামারি মতো ভয়াল রাতেও নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে সমস্ত সেক্টরে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র। সবার সহযোগিতা পেলে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ এর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ ২ জুন রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের রনাইয়া পাড়ায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ সাইফ (২০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে আহমদপুর গ্রামের সালাউদ্দিন এর ছেলে।
জানা যায়, আগামী পাঁচ জুন নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ তার কর্মীসমর্থকদের সাথে নিয়ে আহাম্মদপুর রনাইয়া পাড়ার মসজিদ সংলগ্ন একটি দোকানে গণসংযোগ করছিলেন।
এমন সময় ওই গ্রামের আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন ঐ দোকানের একটি টেবিলে বসা থাকা অবস্থায় ফারুক আহামেদ এর এক সমর্থককে টেবিলে বসা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ের হাতাহাতির হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আহামেদ এর গায়ে হাত তুলাসহ তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ব্যাপারে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তবে শুনেছি প্রার্থী ফারুক ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও নেক্কারজনক।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ বলেন, বাদল ভাইয়ের চাচাতো ভাই আজাদ ভাইকে বসার ব্যবস্থা করতে গিয়েই ঘটনাটা ঘটেছে। এরপর বিস্তারিত পরে কল দিয়ে বলবেন বলে তিনি কলটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ওসি মাহাবুব আলমের সরকারি নাম্বারে একাধীকবার কল দিলেও তিনি রিসিপ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে লামিয়া নামের দেড় বছরের এক শিশু।
আজ ১৮ জুন রবিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লামিয়া কুড়িঘর গ্রামের মধ্য উত্তরপাড়া এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে।
শিশু লামিয়ার দাদি আমেনা বেগম বলেন, দুপুরে লামিয়া বাড়ির উঠানে রাজহাঁসের সঙ্গে খেলা করছিল। এসময় বাড়ির পাশের পাটক্ষেত থেকে একটি শিয়াল উঠানে এসে লামিয়ার মাথায় ও মুখে কামড় দেয়। এসময় শিশুটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়। পরে লামিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তারা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন।
আমেনা বেগম আরো বলেন, এ এলাকায় শিয়ালের উৎপাত বেশি। শিয়ালগুলো বাড়ির হাঁস-মুরগি খেয়ে ফেলে। মানুষসহ কেউ শিয়াল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু বিশেষজ্ঞ তৌকতুল ইসলাম চয়ন বলেন, শিয়ালের কামড়ে একটি শিশু আহত হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় নৌকা ডুবে রিয়াদ নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মা বিউটি বেগম গুরতর আহত হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর পরই নৌকার মাঝি আতিক মিয়া পলাতক রয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রিয়াদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উরখুলিয়া গ্রামের আতিক মাঝির নৌকা সদরের চাল বাজার থেকে উরখুলিয়া প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে। দুপুরে নবীনগর নৌকা ঘাট থেকে ২ শতাধিক বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে একটি মালবাহী নৌকা উরখুলিয়া যাবার জন্য রওয়ানা হয়। নৌকাটি ঘাট থেকে ছাড়ার সময় হঠাৎ ডুবে যায়। নৌকার ডুবির কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেতরের মধ্যেই নৌকার ভেতরে মহিলাকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পর শিশু বাচ্চাটি নদীতে ভেসে ওঠে। নৌকায় বেশি যাত্রী ছিল না। নৌকায় সিমেন্ট ও রড অতিরিক্ত বোঝাই হওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবেছে বলে জানান স্থানীয়রা। নিহত শিশুটির নানা মোঃ হেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে নবীনগরে বাজার করতে আসছিলাম। বাজার শেষ করে দুপুরে নৌকা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। নৌকা ঘাট থেকে ছাড়ার সময় নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় আমার নাতি রিয়াদ মারা যায়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাফিছা বলেন, আজকে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই জন রোগীকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। একজন হচ্ছে মা, পরে এসেছেন তিন বছরের একটি বাচ্চা। মা জীবিত আছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন সুস্থ্য আছেন। শিশু বাচ্চাটি আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন।
ফায়ার ফাইটার আব্দুল জব্বার বলেন, ৯৯৯ একজন নারী আমাদের ফোন করে অবগত করলে আমার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এই ঘটনার একটি শিশু মারা গেছে। অতিরিক্ত মালমাল থাকায় কারণে নৌকাটি ঘাটেই তলিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।