চলারপথে ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৪ দিন আগে ৭৯ পুলিশ পরিদর্শকের (ওসি) বদলির অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্রটি জানায়, পুলিশ অধিদপ্তরের ৩০ পরিদর্শক (সশস্ত্র), ৪৬ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এবং শহর ও যানবাহন শাখার ৩ পরিদর্শককে বদলি কিংবা পদায়নের সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দায়িত্ব পালনে নির্লিপ্ততা ও অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা এবং যশোরের হরিণাকুন্ড থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, যেকোনো ধরনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে আসবে। যেকোনো ভিডিও ক্লিপ বা প্রমাণ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও এসপির কাছে পাঠানো হবে। তারপর তাদের তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী ও ঝিনাইদহে প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বৈঠক করেছ্যা নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বলেন, দায়িত্ব পালনে নির্লিপ্ততার কারণে শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত প্রতিবেদনে ২ ওসির নির্লিপ্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে গাছচাপা পড়ে নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মোখার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে এই প্রবাল দ্বীপ। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এখনো চলছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোট দুজন মারা গেছেন। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আমার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এখনো চলছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। মানবজাতির শিরোমণি মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল ইসলামের শেষ নবী (সা.) আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী বা সিরাতুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়।
একটা সময় আরবজাহান ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মানুষ হয়ে পড়েছিল বেদিন। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা।
মারামারি আর হানাহানিতে লিপ্ত ছিল মানুষ। মূর্তিপূজা করত। এ যুগকে বলা হয় ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’। এ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে, তাদের আলোর পথ দেখাতে আল্লাহতায়ালা মুহাম্মদ (সা.)-কে এ পৃথিবীতে পাঠান।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না।’ এ কারণে এবং তৎকালীন আরবজাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি।
পবিত্র কুরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।
এ দিনটি উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের বোচাগঞ্জে ট্রাকের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী খালা ও ভাগিনা নিহত হয়েছেন। আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রধান ফটকের সামনে সেতাবগঞ্জ বাজার হতে বাড়ীতে যাওয়ার পথে খালা ও ভাগিনা এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, চম্পা রানী রায় (২২) বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন জালগাঁও গ্রামের স্বদেব চন্দ্র রায়ের মেয়ে এবং শিশু জয় (৫) তার বোনের ছেলে একই উপজেলার আনোড়া গ্রামের বিশ্বজিতের ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কে সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন উপজেলা সড়কে মাল বোঝাই ট্রাক দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী চম্পা রানী রায় ও তার বোনের ছেলে শিশু জয় (৫)কে সাথে নিয়ে সেতাবগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চলন্ত ট্রাকটি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে তারা দুইজনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এলাকাবাসীরা শিশু জয়কে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় ট্রাক, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে বোচাগঞ্জ পুলিশে সোপর্দ করে।
বোচাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলফার পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।
নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। এছাড়া মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা। আর মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এছাড়া শুকনো মরিচের সর্বোচ্চ দাম হবে ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সাগর কলার হালি খুচরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
অনলাইন ডেস্ক :
৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত হয়েছিল জেলা ।
মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় পিছু হাঁটা পাক হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর জেলা হানাদার মুক্ত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষে ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক। অন্যদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর গাংনী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিতমুক্তি বাহিনীর অ্যাকশন ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনীও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিতভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করেন। সীমান্তে পাকবাহিনীর স্থাপন করা অসংখ্য মাইন অপসারণের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর হানাদার মুক্ত হয় ৬ডিসেম্বর।
ওই দিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাস করেন। এর আগে, তৎকালিন সময়ে ছাত্র-জনতা, আনসার-মুজাহিদদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়।
মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ পাঠান জানান, ১৮ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অস্ত্র সজ্জিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সড়ক পথে মেহেরপুর প্রবেশ করার সময় সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে উপুর্যপুরি হামলা চালায়। এর এক সপ্তাহের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিউট ও কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাক বাহিনী তাঁদের শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তোলে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে দিশেহারা পাক সেনারা মেহেরপুর থেকে পালাবার সময় দিনদত্ত ব্রিজ, খলিশাকুন্ডি ও তেরাইল ব্রিজ এবং বৈদ্যুতিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে।
তিনি জানান, দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই পাক বাহিনী গোপনে মেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিবাহিনী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা তাদের সঙ্গে বিজয়ের উল্লাসে যোগ দেয়। এদিন লাল-সবুজের পতাক টাঙ্গিয়ে দেয় স্বাধীনতাকামি জনতা।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে জেলার ভাটপাড়া থেকে অনতিদূরে সাহারবাটি টেঁপুখালি, হিন্দা, লক্ষ্মী নারায়ণপুর, ধলা,গাড়াবাড়িয়া, জোড়পুকুরিয়া, ভোমরদহ, ধর্মচাকীর বহু মানুষ গনহত্যার শিকার হন। ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে লাল-সবুজ পতাকায় মুক্ত হয়ে ওঠে মেহেরপুর।