অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি (রোববার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি রবিবার সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন ওইদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে আমিনবাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই সেলফিতে বাজিমাত হয়ে গেছে। আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে। দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসানীতির পরোয়া করে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময়েই হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড পাবে। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।
বিএনপির কারণেই খালেদা জিয়ার মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।
ওবায়দুল কাদের দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে কুমিল্লা থেকে একজন এবং সিলেট থেকে ৭ জন চোর চক্রের সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। এসময় চুরি হওয়া ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়।
আজ ৩১ মে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান এসপি মিলন মাহমুদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার আনহার আলী (৩৫), সিলেট মহানগর মোঘলা বাজার থানার বিল্লাল আহম্মদ (৩৪), সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার বিল্লাল হোসেন (২৪), হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার মো. নজরুল খান (২৬), বাহুবল থানার সোহান মিয়া (২৪), সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার শিমুল আহম্মদ (২৪), গোলাপগঞ্জ থানার আবুল বাছিত (৪০) ও গোয়াইনঘাট থানার আলমগীর আহম্মদ (২৬)।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ দেবনাথ, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আজ ১২ মে সোমবার সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন এ উপদেষ্টা। পোস্টারের শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেফতার।
ভেতরে আরো লেখা হয়েছে, নেতাকর্মীরা গোপনে কোথাও বৈঠক, সমাবেশ কিংবা মিছিল করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারবে। বর্তমানে শুধু মিছিল-সমাবেশ নয়, ফেসবুক-ইউটিউবে কেউ আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেও তাকে গ্রেফতার করা যাবে। বিদেশ থেকে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেবেন, কমেন্ট করবেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
পোস্টারের ক্যাপশনে আসিফ মাহমুদে লিখেছেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে রেহাই নেই! গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) -সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ১০ মে শনিবার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১০ মে শনিবার রাত ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
তবে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের আগে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয় রাজধানীর শাহবাগ থেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনও প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়।’
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘একটা সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন আমাদের সমীহ করে চলে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা ছিল না বিদেশে গেছি, তখন বাংলাদেশের নামটা শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনও অংশ? জিজ্ঞেস করত, এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদের হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট, ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারব না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?
চলারপথে রিপোর্ট :
দলীয় কোন্দলের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরী আজ ৩ জুলাই বুধবার এ মামলার রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী এবং মোকারম আলী সোহেল। আর সদর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও ইদ্রিস আলী, সিজার, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ, শরীফ ও মিজানকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এ মামলায় অভিযুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে বাকি পাঁচজনকে রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের পিপি অশোক কুমার দাশ জানান। ইকবাল আজাদ ছিলেন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। তার স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনজনের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সরাইল থানা ভবনের কাছে খুন হন আজাদ। পরদিন তার ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে ২২ জনের নামে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বরউপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম, সহসভাপতি সাদেক মিয়াসহ ২৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে হালিম ও সাদেক পরে মারা যান।
২০১৩ সালের ৫ মার্চ আজাদ হত্যা মামলা চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। আদালতে ডাক্তারসহ মামলার ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য বাকি থাকতেই ১৩৫ কার্যদিবস শেষ হয়ে গেলে ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মামলাটি আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্যে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। হাই কোর্টের আদেশে ২০২৩ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।