চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-১-(নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার স্বশরীরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেছেন।
বেলা সাড়ে ১২টার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি জজ ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হক এর কাছে এসে তিনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে তার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে একটি লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি মোঃ শাহজাহান মিয়া বাবু সোমবার বিকেলে এম.পি’র জবাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন আদালতের ওই কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফরহাদ হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যের খন্ডিত অংশের বিকৃত করে মিডিয়া কুচক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে।
লিখিত জবাবে তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন। পত্রিকার রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিধায় কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি চান তিনি।
লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডের কারণে তার নাম জনগণের হৃদয় থেকে মুছে যাবে বুঝিয়েছেন। তিনি কাউকে কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করেননি। পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া নির্বাচনী তদন্ত কমিটির পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার।
এর আগে গতকাল রবিবার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘চেয়ারম্যানের নাম মুছে দিতে চান এম.পি, হাত ভাঙার হুমকি আওয়ামীলীগ নেতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে সেটির সূত্র ধরে তাকে তলব করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান নেয় তারা।
১৭ জুলাই বুধবার সকালে নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এই বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় পুলিশ বাধাঁ দিলে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে পুলিশ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরকে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে নাসিরনগর-সরাইল সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে চলে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ হত্যার বিচার করতে হবে আমরা বিচার চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে পাঁচ টাকায় ইফতার দিয়েছে অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ মাঠে পাঁচ টাকার বিনিময়ে এই ইফতার দেওয়া হয়। এ ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ছোলা বুট, মুড়ি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, বুরিন্দা, লেবু ও শসা।
অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উম্মে খাদিজা তালুকদার জানান, প্রতি বছরই আমি আমার এলাকায় রোজার মাসে গরীব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য কিছু করতাম। এই পরিধিটা একটু বড় পরিসরে ইউনিয়নে করার জন্য আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই সংগঠনটা গঠন করি। আজ মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৭০ জন গরীব মানুষের মাঝে ইফতার দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদের পাঁচ টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
তিনি আরো জানান, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াই। এছাড়া বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট করে অর্থ সংগ্রহ করি।
তিনি বলেন, তার এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকে। গতকাল ২২ মার্চ শুক্রবার সংগঠনের মাধ্যমে একটি এতিমখানায় ১০০ জনের ইফতার (বিরিয়ানি) দেওয়া হবে। সমাজের বিত্তবানরা যদি যার যার অবস্থান থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ অক্টোবর মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উম্মে খাদিজা তালুকদারসহ চারজন বন্ধু মিলে ফাউন্ডেশনটির কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এ ফাউন্ডেশনে প্রায় তিনশ’র অধিক সদস্য রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ভাষা শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু নক-আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার গোকর্ন ইউনিয়নের সূচীউড়া স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে চৈয়ারকুড়ি আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বেলায়েত ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা দিলীপ বন্ধু বিশ্বাস, বিপ্লব দেব, গোর্কণ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক জহির খান প্রমুখ।
উদ্বোধনী ম্যাচে গোর্কণ সিক্সার্স ক্লাব বনাম চৈয়ারকুড়ি কাকলী স্পোটিং ক্লাব অংশ গ্রহণ করে। খেলায় চৈয়ারকুড়ি কাকলী স্পোটিং ক্লাব নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭৫ রান করে অল আউট হয়।
জবাবে গোর্কণ সিক্সার্স ক্লাব ১৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৭৬ রান করতে সক্ষম হয়। আম্পায়ার ছিলেন মাহিদ চৌধুরী, জলিল মিয়া। স্কোরার ছিলেন শেখ আনিসুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু নক-আউট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের মোট ৩২টি দল অংশ গ্রহন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ৪০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্তসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১০টির মত খুঁটি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ট্রান্সমিটার। অনেক গাছ ভেঙে সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৬৫ হাজর গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
৫ মে রবিবার রাত থেকে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া, কুলিকুন্ডা ও মন্নরপুর এলাকার উপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়েছে। এছাড়া বেশকিছু দোকানপাট ও হাঁস, মুরগির খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি, ধনকুড়া ৪টি মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ১০টির মত খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে খুঁটি ও মিটারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা অফিসে যোগাযোগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুঁটি মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবারহের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।