চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা রেলওয়ে স্টেশনে সিগন্যাল যন্ত্রে শর্ট সার্কিট হওয়ায় পাঁচদিন ধরে অচল হয়ে আছে সিগন্যাল ব্যবস্থা। গত ২০ ডিসেম্বর রাত থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন ঢুকতে না পারায় যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রী সাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আগামী দু’দিনের মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সিগন্যাল যন্ত্রের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনের দু’পাশে থাকা সকল সিগন্যাল বাতি। সিগন্যাল কাজ না করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় সরাসরি লাইনে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করে ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখা হয়। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন আসতে না পারায় যাত্রীদের ওঠানামায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুর রহমান জানান, সিগন্যাল লাইন হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। ঘটনার পরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে টেকনিশিয়ান টিম এসে ত্রুটি খুঁজে বের করে। বর্তমানে মেরামত কাজ চলছে। আগামী দু’দিনের মধ্যেই সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার টি-আলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাচ্চু মিয়া কসবা উপজেলার কালতাসার গ্রামের নাজির আলীর ছেলে ও জাহাঙ্গীর আলম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কুড়িপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে উপজেলা সদরের টি-আলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় এক গৃহবধূর গোসল করার ভিডিও ধারণ করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়ার ঘটনায় মোল্লা দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ (২৯) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলার আড়াইবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোল্লা দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ উপজেলার আকসিনা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, দেলোয়ার হোসেন উপজেলার আড়াইবাড়ি এলাকার এক গৃহবধূর গোসল করার ভিডিও গোপনে মোবাইল ফোনের ধারণ করে। পরে ওই গৃহবধূর কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিওটি ফেসবুক, ইউটিউসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ও তার মোবাইল ফোনে থাকা সেই ভিডিওটি পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আগে অস্ত্র, মাদক ও চুরিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কসবা থানায় একটি মাদক, একটি অস্ত্র আইনে ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় একটি চুরির মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও বিভিন্ন অফিসে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে এক ঘণ্টার ‘কলম বিরতি’ পালন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। কলম বিরতি পালনকালে কর্মকর্তাগণ বলেন, উপসচিব পুল কোনো বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়।
সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অপকৌশল ও অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ রহিত করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এরূপ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে গভীর ষড়যন্ত্র ও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামান্তর।
এসময় কর্মকর্তাগণ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে যা মৌলিক অধিকার ও জুলাই-বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। যেহেতু প্রশাসন ক্যাডার নাগরিকদের কোনো অনগ্রসর অংশ নয়, সেহেতু উক্ত ক্যাডারের জন্য উপসচিব পুলে কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেরও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিষদ কলম বিরতি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার দায়ে ইব্রাহিম মিয়া (২২) নামে এক যুবককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৩০ আগস্ট শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের আতকাপাড়া এলাকায় এ সাজা ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মিয়া, কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে কুটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী কোচিং শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ইজিবাইক চালক ইব্রাহিম মেয়েটির সঙ্গে অশালীন কথা বলতে থাকে এবং শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তার জামা ছিঁড়ে যায়। শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ইব্রাহিমকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ইব্রাহিম দোষ স্বীকার করলে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, এক অটোরিকশা চালককে ইভটিজিংয়ের অপরাধে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি নৌকাও জব্দ করা হয়।
গতকাল রবিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ময়দাগঞ্জ বাজারের তিতাস নদীর ঘাট থেকে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলার আহমোদাবাদ গ্রামের জহর লাল চন্দ্র দাস (৫৬), বিজয়নগর উপজেলার কাশীনগর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৫৫), একই গ্রামের মোঃ শহীদ মিয়া (৫০) ও একই উপজেলার উথারিয়াপাড়ার তুষার (১৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১ টার দিকে উপজেলার ময়দাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে তিতাস নদীর ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়।
পরে ওই নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।