দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

জাতীয়, 27 December 2023, 830 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় গেলে নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক, কল্যাণমুখী, সমন্বিত দক্ষ ‘স্মার্ট প্রশাসন’ গড়ার মাধ্যমে জনগণকে উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদান ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।

banner

আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের গড় আয়ু থেকে শুরু করে খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষকে ভ‚মিহীন ও গৃহহীন থেকে উত্তরণ ঘটাতে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে ভূমিহীন, গৃহহীন জেলা ৩২টি। ইন্টারনেট সেবায়ও আওয়ামী লীগ উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সিম কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। আইসিটি রফতানি আওয়ামী লীগ আমলে শুরু হয়েছে। হিজড়াদের পারিবারিক, সামাজিক ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলব। বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রাখা হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি একটি মাত্র টেলিভিশন, একটি মাত্র রেডিও ছিল। এখন ৩৩টি বেসরকারি টেলিভিশন। এখানে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। একইসঙ্গে মানুষের কথা বলার মাধ্যম তৈরি হয়েছে৷

স্মার্ট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক হিসেবে আমরা গড়ে তুলব। পাঠ্যক্রমে দুর্নীতির কুফল যুক্ত করা হবে৷

বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীজ, সার ও গাছের চারা…

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সরাইল Read more

ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়

আল্লামা মাহ্‌মূদুল হাসান : ইখলাস মানুষের দিলে সৃষ্টি হয়। আর Read more

প্রাথমিক তদন্তেই ভুয়া মামলার আসামিরা রেহাই…

অনলাইন ডেস্ক : উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন Read more

গাজীপুরে শফিক, তারিক, পাপনের ১০ তলা…

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুর সদরের চান্দনা Read more

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ…

অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা Read more

ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরো ৮১ ফিলিস্তিনি…

অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮১জন ফিলিস্তিনি Read more

কৃষি বীজ সংরক্ষণাগার ভেঙে দোকান নির্মাণের…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি Read more

মিথ্যা মামলা করলে কী কী শাস্তি?

অনলাইন ডেস্ক : দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিস্কার

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা Read more

আখাউড়ায় অবৈধ চায়না রিং জাল ধ্বংস

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা Read more

রেলপথে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন Read more

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

সেবা নিশ্চিত করুন, ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 4 April 2024, 679 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না । জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। মানুষের সেবা করলে জনপ্রতিনিধিদের কেউ হারাতে পারবে না। ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তাও থাকবে না।

banner

আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে, জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছে তখনই এদেশের মানুষ কমপক্ষে এইটুকু পেয়েছে যে, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন করাটা সম্ভব হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটা এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, গ্রাম বা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে আমরা সব উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে থাকি। দেশের উন্নতি করতে হলে গ্রামকে উন্নত করতে হবে। গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে হবে। আবার যদি শিল্পাঞ্চলের কথাও চিন্তা করি, তখন আমাদের ভাবতে হবে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের পণ্য উৎপাদন করা। যাতে আমাদের নিজস্ব বাজার তৈরি হয়। মানুষ যাতে সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়া, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য। গ্রামের মানুষ শহরের সব সুবিধা পাবে সেটাকে সামনে রেখে আমরা সব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে যার বয়স ১৫ বছর সে হয়তো ভাবতেও পারবে না যে, ১৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ এর আগে বাংলাদেশ কি অবস্থায় ছিল। আজকের বাংলাদেশ সেখান থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা দারিদ্র্যের হার আমরা নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, অনেক দেশ চাইবে খাদ্য আমদানির মাধ্যমে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকি। তবে কোনো বড় দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ।

প্রথম সচিব সভায় একগুচ্ছ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 5 February 2024, 722 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সরকার গঠনের পের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথম সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সভায় তিনি দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনাসহ একগুচ্ছ বার্তা দিয়েছেন।

banner

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনা মানুষের জীবনমান স্বাচ্ছন্দ্য ও সুন্দর করতে দ্রব্যমূল্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন। প্রথমে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দায়িত্ব পালনে আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান সমুন্নত রেখে যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করি।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আসন্ন রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে অবহিত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন ও সার ব্যবস্থাপনা; কর্মমুখী শিক্ষা, নতুন পাঠ্যক্রম ও কর্মসংস্থান; বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বইমেলা জেলার বাইরে উপজেলা পর্যায়ে নিতে বলেছেন। পর্যটন শিল্পের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

সংসদ কার্যক্রমে সহযোগিতা
সংসদ কার্যক্রমে আমরা যেন সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করি। বিশেষ করে প্রশ্নেত্তর পর্বে। প্রশ্নেত্তর লেখা বা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর যেন যথাযথভাবে উপস্থাপন করি। যেদিন যে মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর থাকবে সেদিন যেন ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কর্মকর্তাদের সংসদ কার্যাবিধি সম্পর্কে অবহিত হতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা
১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটার ধারাবাহিকতায় এবার ইশতেহার দিয়েছেন। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ করতে যাচ্ছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। তারই ধারাবাহিকতা রয়েছে। জনগণ রায় দিয়েছে, দল নির্বাচিত হয়েছে, সরকার গঠন করেছেন, তাই নির্বাচনী ইশতেহারটাই হবে ৫ বছরে সরকার পরিচালনার মূল নীতির দলিল। এই দলিল বাস্তবায়নের জন্য উনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

ইশতেহার বাস্তবায়ন সমন্বয়ের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করবে। নির্বাচনী ইশতেহারে ১১টি অগ্রাধিকার কার্যক্রম আছে, ৩০০টির বেশি অঙ্গীকার আছে, সেগুলো ম্যাপিং করা হবে। এরপর কোন মন্ত্রণালয়ের কি কাজ সেটি চিহ্নিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সেই কাজগুলো করবে। কাজগুলো যাতে ঠিকমত মনিটর করা হয় সেজন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, সিটিজেন চার্টার, রাইট টু ইনফরমেশন এবং সুশাসনের যেসব টুলস আছে সেখানে নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারগুলো ইন্ডিগেট করতে বলা হয়েছে, যাতে করে বাৎসরিকভিত্তিতে মনিটরিং করতে সুবিধা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘শক্ত ব্যবস্থা’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে উনি একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন যে, অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এটির ক্ষেত্রে উনি সংশ্লিষ্ট সকলেকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যেন এটি কোথাও না হয়।

আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোরগ্যাং বা এ রকম যে সব অপরাধ হচ্ছে সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করবেন- প্রকল্পে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কি না?
প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা ও বাছাইয়ের কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে প্রকল্পগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, জনগণ উপকার পাবে সেদিকে উনি মনোযোগ দিতে বলেছেন। উনি বলেছেন যে উনার মূল লক্ষ্য হলো জনমানুষের অবস্থার উন্নতি। এরকম নয় যে মানুষকে দেখানো। জনমানুষের কল্যাণ হচ্ছে কি না, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কি না- এটি উনি জিজ্ঞাসা করবেন প্রকল্প উপস্থাপনের সময়, জানতে চাইবেন যে কীভাবে এটি জনগণকে বেনিফিট দেবে। সেভাবে যেন প্রকল্পগুলো বাছাই করি। চলমান যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলো তিনি দ্রুত শেষ করার নির্দেশা দিয়েছেন।

মূদ্রাস্ফীতি নিয়ে নির্দেশনা
উনি মূদ্রাস্ফীতির কথা বলেছেন। মূদ্রাস্ফীতি আমাদের জিডিবি গ্রথের নিচে থাকতে হবে। সেটি করার জন্য উনি কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

আয়করের আওতা বাড়ানোর নির্দেশ
একটা বড় নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি বলেছেন যে এখনও বিরাট সংখ্যক ব্যক্তি যাদের আয়কর দেওয়ার কথা তারা আয়করের আওতায় আসেনি। তাদের যেন আয়করের আওতায় আনা হয় সেজন্য জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন।

বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হলে ‘ভালোভাবে নেবেন না’
বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অহেতুক যেন তারা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। বিনিয়োগ আসতে কোনো জটিলতা হলে তার নজরে যেন নেওয়া হয়। উনি ভালো চোখে দেখবেন না কোনো কারণে যদি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, উনি ভালোভাবে নেবেন না।

পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি হলে শক্ত ব্যবস্থা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে উনি একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন যে, অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এটির ক্ষেত্রে উনি সংশ্লিষ্ট সকলেকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যে এটি যেন কোথাও না হয়।

সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ
সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অহেতুক যেন আমরা ব্যয় না করি। প্রত্যেক অর্থের পিছনে যেন ভেলু পাই।

কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি সুবিধা
আমরা গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা পাই কৃষিজাত পণ্য, চামড়া এবং পাটজাত পণ্যে একই রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশনরা দিয়েছেন এবং কাজ করতে বলেছেন। গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে একটা বড় অংশ আমদানি করতে হয়। একটা বড় অংশ চলে যায় আমদানির ক্ষেত্রে। এই তিন পণ্যে আমাদের স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল আছে। সুতরাং এখানে ভেলু অ্যাড অনেক বেশি হবে।

নতুন বাজার
রপ্তানি বাজারের ক্ষেত্রে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় যেন বাজার খুঁজি, বিশেষ করে ওষুধ, পোশাক, খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য, পাটজাতপণ্যের। এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যেন সহায়তা দেওয়া হয়। খাদ্য উৎপাদনে নজর দিতে বলেছেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ব্যবহারের সাশ্রয়ী হতে হবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলেছেন। বিশেষ করে সেচ মৌসুমে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে বলেছেন। কোনোভাবে যেন সেচ মৌসুম বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। সেচের ক্ষেত্রে সোলার এনার্জি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্লু-ইকোনমির জন্য সামুদ্রিক যে ব্লক আছে সেখানে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বলেছেন।

কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব
কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোর যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়, কোয়ালিটি প্রশিক্ষণ হয়। সার্ভিস সেক্টরে প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। আমাদের যে পর্যটন আছে শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বেই প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। সেজন্য উনি বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

উন্নয়নের যেন ধারাবাহিকতা থাকে
ইতোমধ্যে উনি যে উন্নয়ন করেছেন সেটির যেন ধারাবাহিকতা থাকে। সাসটেইন থাকে। এটির দিকে খেয়াল রেখে নতুন প্রকল্প বা কার্যক্রম নিতে বলেছেন। ইতোমধ্যে যেগুলো করেছেন সেগুলো যেন হারিয়ে না যায়।

শূন্য পদ পূরণ ও পদোন্নতি
শূন্য পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছেন এবং সময়মতো পদোন্নতির জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা আছেন প্রয়োজনে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

তিন ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত রাখার জন্য বলেছেন। এখন যে ক্যাপাসিটি আছে তা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। খাদ্য সংরক্ষণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ক্ষেত্রেও সুবিধা দেওয়ার জন্য বলেছেন। তিন ফসলি জমি যেন কোনো অবস্থাতেই নষ্ট না হয়। সেখানে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যাবে না।

জলাধার ভরাট নয়
জলাধার ভরাট করা যাবে না। জলাধার অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো অস্থাতেই নদীর ধারাবাহিকতা বা প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সেচের ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন শুধু দুদকের দায়িত্ব নয়
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এও বলেছেন যে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব শুধু দুদকের নয়। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও সচিবদেরও দায়িত্ব আছে দুর্নীতি নিরসন, লাঘব করার জন্য যে সার্ভিস পয়েন্ট আছে সেখানে নজরদারির জন্য। যে প্রক্রিয়া নেওয়া যায় সে প্রক্রিয়া নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

নতুন শিক্ষাক্রমে ভুলভ্রান্তি থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা
নতুন পাঠ্যক্রমের বিষয়ে কিছু বলা হয়েছে কি না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম নেওয়া হয়েছে তা প্রচলিত শিক্ষাক্রম নয়। তা থেকে ভিন্ন একটা। এই বাস্তবতা আমাদেরকে মানতে হবে। আমরা যারা বিশেষজ্ঞ তারা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে শিক্ষা পেয়েছি। নতুন যে পাঠ্যক্রম রচনা করতে হবে সে ব্যাপারে প্রশিক্ষত লোক খুব বেশি আছে তা কিন্তু নয়। যারা আছেন, তাদের কাজ হচ্ছে- উনি বলেছেন, যদি কোনো ভুল ভ্রান্তি, যদি কোনো তথ্যগত বা কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে দ্রুত যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উনি বলেছেন, কোনো বিলম্ব হবে না। কোনো গ্যাপ তৈরি হলে যেন যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন।

১৬টি আইন অগ্রাধিকার
উনি নির্দেশনা দিয়েছেন, গত সংসদে যে আইন পাস হয়নি সেগুলো দ্রুত মন্ত্রিসভায় এনে যেন সংসদে পাঠাই। সামরিক আমলে ১৬৬টি আইনের বিকল্প আইন করার জন্য উচ্চ আদালত থেকে বলা হয়েছিল, সেখানে ১৬টি আইন বাকি আছে। এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়ে যেন কাজ করি সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

নির্বাচনে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: আইজিপি

জাতীয়, 18 May 2023, 1478 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

banner

আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত হওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশপ্রধান।

গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশপ্রধান, বিজিবি, র‌্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আইজিপি বলেন, বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি এসেছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবো। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দেবেন তার আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করবো।

তিনি জানান, বৈঠকে তফসিল ঘোষিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছে। সব সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। আমাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আমরা সহযোগিতা প্রদান ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রশ্নে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়োজন তা গ্রহণ করবো। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আমাদের স্থানীয় ইউনিট সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।

স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুলিশ পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করে এমন অভিযোগের বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, আমি সেটা মনে করি না। আইন অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করছি।

এর আগে সোমবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি বলেছিলেন, স্থানীয়ভাবে যে নির্বাচনগুলো হয়, সেখানে কিন্তু পুলিশকে পক্ষপাত করার জন্য প্রার্থীরাই চেষ্টা করে থাকেন। সেখানে কীভাবে পুলিশকে নিউট্রালাইজড করা যায়, সে জন্য জাতীয় পার্টি আমাদের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা চেষ্টা করবো ও সরকারের সদিচ্ছার ওপর আমরা বারবার জোর দেবো। সেটা সরকারকেও করতে হবে, আমরা জিনিসটা ভেবে-চিন্তে পরে দেখব।

পুলিশপ্রধান বলেন, ইসির সঙ্গে বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এখানে ছিলেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে সেই ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি। আমরা আশা করছি, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের দিনে শঙ্কা আমরা দেখছি না। তবে যেকোনো ধরনের উদ্ভূত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমরা সব ক্ষেত্রেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গিসহ সব বিষয় বিবেচনায় নেই ও সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

এদিকে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আসন্ন ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত হয়েছিলেন। জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। আজকের সভায় নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে সমন্বয় হবে, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, কমিশন সেই বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।

তিনি বলেন, ইসির পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। যে যার অবস্থান থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বাত্মক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।

সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন থেকে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো নাশকতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সম্ভাবনা এখনও নেই।

নির্বাচন তফসিল পুনর্নিধারণের সুযোগ নেই: ইসি সচিব

জাতীয়, 30 November 2023, 806 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। তফসিল পুনর্নিধারণের কোনো সুযোগ নেই।

banner

তবে কি বিএনপিকে ছাড়াই আরো একটি জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আপনারা বুঝে নেন।

আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আপনারা আগে থেকেই জানেন যে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়েছে। তাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন মনে করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের সময়সীমা বর্ধিতকরণের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আমরা ১ ডিসেম্বর শুক্রবার কয়টি দল কোন কোন আসনে মোট কতজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে তা বিস্তারিত জানাতে পারবো।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ে ইসির এ মুখপাত্র বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সাক্ষাৎ করেছিলেন। বিশেষত আইজিপি মহোদয় সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কমিশনের কোনো নির্দেশনা আছে কি না তা জেনে নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রার্থী কোনো কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ করায় আমাদের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাদের তলব করেছে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন। তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

বেশ কয়েকটি দল এখনো মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। এরই মধ্যে সময় শেষ হয়েছে। সেসব দলের আর কোনো সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে। সময় বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।

ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয় এবং প্রচারের জন্য সময় রয়েছে ১৯ দিন। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

রুমিন ফারহানার আসনে এমপি হচ্ছেন ইনুর স্ত্রী

আশুগঞ্জ, জাতীয়, 28 February 2023, 2401 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
পদত্যাগ করা বিএনপির সংরক্ষিত নারী এমপি রুমিন ফারহানার আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী ও দলের সহ-সভাপতি আফরোজা হক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনীত প্রার্থী তিনি। এই পদে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বাছাইয়ের পর তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

banner

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আফরোজা হক। এ সময় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের নেতৃত্বে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, আজই ছিল সংরক্ষি আসনের এ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ২ মার্চ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ মার্চ।

এর আগে বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগের পর শূন্য আসনের মধ্যে ছয়টির উপনির্বাচন গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ তিনটি, মতাসীন জোটের শরিক জাসদ একটি, জাতীয় পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি আসনে জয় লাভ করে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে প্রতি ছয়টি সাধারণ আসনের বিপরীতে একটি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে একাদশ সংসদে জাসদের তিনজন সংসদ সদস্য থাকলেও জাসদ একটি সংরতি আসন পেয়েছে।

বর্তমানে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত একটি আসনই ফাঁকা আছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শূন্য হওয়া সংরতি আসনটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাসদের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার সমঝোতা হয়েছে।

এদিকে আফরোজা হক নির্বাচিত হলে জাতীয় সংসদে দম্পতি সংসদ সদস্যের সংখ্যা হবে তিন। অন্য দুই দম্পতি হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও তাঁর স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও তাঁর স্ত্রী শরিফা কাদের।

একাদশ সংসদে আরেক দম্পতি ছিলেন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। তবে কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারান পাপুল। তবে তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এখনো সংসদ সদস্য রয়েছেন।