চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নামধারি শ্রমিক নেতা আরব আলী (৩৬)কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার খাটিহাতা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আরব আলী সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে আরব আলী মোটর সাইকেলে করে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার মোটর সাইকেল তল্লাশী করে মোটর সাইকেলের সিটের নিচে লুকানো থাকা একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আফজাল হোসেন আরো বলেন, আরব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে প্রথম জীবনে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে পলিথিন বিক্রি করতো। পরবর্তীতে সে টেম্পু চালাতো। এক সময় সে ডাকাত চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তার বিভিন্ন থানায় বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকের প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, আরব আলী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সহ প্রচার সম্পাদক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ তাকে তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছিলো জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই মামলায় সে বেশ কিছু দিন হাজতবাস করেন ও পরে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার সরাইলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম।
আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল তাদের ছেলে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। অবশেষে বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন সৌদি আরব প্রবাসী একমাত্র ছেলে মো. হাসান আলী।
হাসান আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মো. তৈয়ব আলী ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে।
হাসান আলী একা নন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর ঢাকা থেকে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে সরাইলের ইসলামাবাদ গ্রামে ফেরেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর ছোট বোনের স্বামী সাইদুলের নেতৃত্বে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এলাকাবাসী।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের বালুর মাঠে অবতরণ করে। এমন দৃশ্য দেখে খুশি তাদের স্বজন ও গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, জীবিকার তাগিদে ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেন হাসান আলী। তার আয়ে সচ্ছল এখন পুরো পরিবার। শুধু তাই নয়, তার সহায়তায় উপকৃত হয়েছেন নিকটাত্মীয়স্বজনসহ এলাকার মানুষও।
তার বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল একমাত্র ছেলে হাসান আলী হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়ি ফিরবেন। অবশেষে ছেলে পূরণ করলেন তাদের সেই আশা। হেলিকপ্টারে বাবা-মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। তার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরার খবরে সহস্রাধিক মানুষ ইসলামাবাদ বালুর মাঠে ভিড় জমান।
এ বিষয়ে হাসান আলী জানান, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন এটাই তার কাছে বড় পাওয়া। গ্রামের মানুষ হেলিকপ্টার দেখেছেন। তাতেই ভালো লাগছে। সঙ্গে বাবা-মা খুশি, এলাকার মানুষ খুশি এবং তিনিও খুশি।