চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি পরিকল্পিত নগরায়ন (দৃষ্টি নন্দন ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও আইন-শৃংখলা ও সুশাসনের (নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপর জোর দেন। আগামী নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তিনি ৮.৭% থেকে প্রায় শুন্য শতাংশে নামিয়ে আনার আশ্বাস দেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ একটি বিএসসি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কৃষি কলেজ স্থাপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস ও যাতায়তের জন্য বাসের ব্যবস্থা, বিজয়নগরে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপন, একটি ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা ও একটি আইটি পার্ক স্থাপন, ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং সিটিস্ক্যান, এমআরআইসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধকরণ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি অর্থোপেডিকস ও ট্রমা হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির একটি কিডনী হাসপাতাল নির্মাণ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আন্তঃ বিভাগ স্থাপন, বক্ষব্যাধি ও/যক্ষ্মা হাসপাতাল আধুনিকায়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অত্যাধুনিক মাতৃসদন স্থাপন, তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে পরিকল্পিত উপশহর গড়ে তোলা, সদর উপজেলার নন্দনপুরের বিসিক শিল্পনগরীকে একটি পূর্নাঙ্গ “ শিল্প পার্কে” রূপান্তর, মফস্বল ও প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন, ট্রেন এবং ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, শহরের ভাদুঘর পৌর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন, একটি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ইজিবাইক ও রিকসার জন্য আলাদা আধুনিক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিনত করা।
তিতাস গ্যাসের প্রাপ্ত আয়ের ২% ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রবাসীদের জন্য একটি হাউজিং এস্টেট তৈরীর পরিকল্পনা, সাংবাদিকদের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প, সদর ও বিজয়নগরে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর-স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মান, শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিকায়ন, একটি বহুমুখী ক্রীড়া একাডেমী প্রতিষ্ঠা।
ইশতেহারে স্বাস্থ্যকর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), গতিশীল ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (যোগাযোগ ও অবকাঠামো), খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া( কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন), শিক্ষিত ও দক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন), দারিদ্রমুক্ত, কর্মচঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দারিদ্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়ন), স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (প্রবাসী কল্যাণ), চৌকস ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খেলাধূলা, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও পর্যটন) ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ( ধর্মীয় সহনশীলতা) কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে গত দু’দিন আগে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় দেড় দশকের অর্জনকে ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে যদি তারুণ্যকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি ।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রীর ৬ষ্ঠ সম্মেলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসিরের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের পরিচালনায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি আরো বলেন, অতীতে আমরা উন্নত অর্থনীতির কথা, নানা স্বপ্নের কথা বলেছি। কিন্তু আজ দুঃস্বপ্ন হচেছ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, মূল্যস্ফীতি, নানা অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার নানা আক্রমণের দাপটে। আজ বেকারত্বে যুব সমাজ হতাশা ও নিরাশায় নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছি। কিন্তু বেকারত্বের ফলে আমাদের যুব সমাজ মাদকসহ ডিজিটাল ব্যবস্থায় আসক্তিতে ভুগছে।
তিনি বলেন, বাজেটে একশ কোটি টাকা তারুণ্যের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনীর জন্য। বলা হয়েছে ২লাখ বিরাশি হাজার কর্মসংস্থানের কথা। কিন্তু বাজেটে এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই । যুব সমাজকে স্বউদ্যোগী হতে বলা হয়েছে । কিন্তু স্বউদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতাও প্রয়োজন। কারণ আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগই হচ্ছে যুব সমাজ। তারাই দেশকে এগিয়ে নিযে যাবে। তাদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না গেলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো না । তাই মাদকমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট যুবশক্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি আহবান জানান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা যুবজোটের সভাপতি জাফর আহমেদ আকসির, বাচিক শিল্পী মনির হোসনে, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির। সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকরি মেডিকেল কলেজ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সম্মেলনের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনকে সভাপতি, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট বাছির মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য জেলা যুব মৈত্রীরকমিটি ঘোষণা করা হয় ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ শামিমা সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের কোন নাগরিক পিছিয়ে থাকবে না। যে চাকরিতে পেনশনের সুযোগ নেই, সে চাকরির প্রত্যেককে পেনশনের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম।
তিনি আরো বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানের শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদা দাতা স্কিমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতেপ্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন।
তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।
প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ঐক্যবদ্ধ কাজ করি, কুষ্ঠ মুক্ত দেশ গড়ি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ^ কুষ্ঠ দিবস আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার পালিত হয়েছে।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, এমওসিএস ডাঃ মাহামুদ হাসান, এমওসিএস ডাঃ এ.এফ. এম আশরাফুর রহমান, ডিএইচএমও ডাঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ, প্রেগ্রাম অর্গানাইজার মাহমুদা আক্তার, লেপ্রসী মিশনের পক্ষে টিএসও জুয়েল খেয়াং, আরিফুর রহমান সমরেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ। পরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ১০ কুষ্ঠ রোগীর মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠ রোগের স্টল দেওয়া হয়।
এটি উদ্বোধন করেন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ও জেলা ড্যাব কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আক্তার হোসেন।
এসময় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারাতে একাডেমির পক্ষ থেকে ২১জন শিক্ষার্থীর মাঝে বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের ক্যারাতে একাডেমির হলরুমে এসব বেল্ট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, অভিভাবক সদস্য মোঃ জাবেদ সহ ক্যারাতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগন।
বেল্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে ক্যারাতে একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের গ্রেড উন্নতি হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে। মোট ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২জনকে কালো বেল্ট, ৭জনকে নীল বেল্ট এবং ১৪ জনকে হলুদ বেল্ট দেয়া হয়। যারা বেল্ট পেয়েছে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেল্ট পেয়েছেন।
কালো বেল্ট পাওয়া তানিয়া আক্তার শেফা বলেন, কালো ব্যাল্ট পেয়ে আমি খুব খুশি। কারণ আমি আগে ব্লাউন্ড বেল্ট ছিলাম। পরীক্ষায় পাশ করে কালো বেল্ট অর্জন করেছি।
নীল বেল্ট পাওয়া পুষ্পা আক্তার বলেন, আজকে আমি নীল বেল্ট পেয়েছি। আমাকে নীল বেল্ট প্রদান করায় জেলা ক্যারাতে একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। আমার ইচ্ছা আমিও একদিন কালো বেল্ট অর্জন করব।
অনলাইন ডেস্ক :
জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন বা পক্ষপাতদুষ্ট হয় এমন কোনো কাজ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে কমিশন।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এমন কাজ করবেন না, যার দ্বারা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তাদের মধ্যে যেন পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চত করতে আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
ভোটারের সংখ্যা বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ন না করতে পারে তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা আর ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।