অনলাইন ডেস্ক :
নিজেকে মুসলমানদের পাহারাদার বলে ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের মুসলমানদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিজেপির আসন বাড়লে আপনাদের ওপর অত্যাচার বাড়বে। বৃহস্পতিবার এক দলীয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মমতা বলেন, ‘দয়া করে ভোটটা সিপিএমকে, বিজেপিকে বা কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদকারীদের কথা শুনে দেবেন না। এরা বিজেপির টাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটার জন্য। একদল বসন্তের কোকিল এসেছে। তারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে ধর্মীয় সভা করার নাম করে তৃণমূলের ভোট কাটার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তা সব কিন্তু আমরা করেছি। আর যদি আপনারা যারা বিজেপির টাকা নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে তদের কথায় ভুলে যান, তাহলে মনে রাখবেন ধর্ম আলাদা, রাজনীতি আলাদা।
মমতা বলেন ‘সব ধর্মকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখবেন, পশ্চিমবঙ্গটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাখতে হবে। আর আমরা যদি আসন কম পাই, তাহলে কিন্তু বিজেপির অত্যাচার আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমরা যতদিন আছি, আপনাদের ওপরে কেউ কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম আছি ও থাকব।’
এদিকে, মমতাকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, মমতার রাজত্বে মুসলমানদের কী অবস্থা, তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। রাজ্যে ১০ জন তৃণমূল কর্মী খুন হলে আটজনই মুসলমান। আর অধিকাংশ জায়গায় মুসলমানদের নামই খুনের ঘটনায় জড়াচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি মুসলমানদের সঙ্গে মুসলমানদের লড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। রাজ্যে দিনমজুরির কাজও নেই, মুসলমান যুবকদের জন্য খাটতে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। মৃত্যুর পর অনেকের বাবা-মা সন্তানের মাটি পাচ্ছেন না। ওদিকে, মমতা দাবি করছেন তিনি মুসলমানদের পাহারাদার। এর থেকে হাস্যকর কী হতে পারে?
সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী। জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছা. বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো. সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলা মো. আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো. শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামিলপুর জেলার মো. নরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, একই জেলার মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী।
দেশে ফেরা এক মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ে ফিরে এসেছে এজন্য আমি খুশি। দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
ভারত ফেরত জামালপুরের এক নারী (আসমা বেগম) বলেন, আমাকে গার্মেন্টস্ কাজ দেওয়ার কথা বলে আমাকে নিয়ে যায়। বলেছিল ৪০ হাজার টাকা বেতন দিবে। আখাউড়া চেক পোষ্টের সীমান্ত রেখায় উপস্থিত স্বজনরা ভারত ফেরত বাংলাদেশীরদেরকে গ্রহণ করেন।
এসময় আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ত্রিপুরার সংবাদ পত্রে প্রায়ই দেখছি ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে নারী এবং শিশু পাচারের ঘটনা ঘটছে। যেহেতু ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় সীমান্ত রয়েছে। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। দুষ্কৃতিকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দুদেশই এ বিষয়ে আরও তৎপর হবেন।
তিনি আরো বলেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরে এলাহি মিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বীকৃতির জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-এর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ড. জৈন জনস্বাস্থ্য ও গবেষণার ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সম্ভাব্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ-ব্রাউন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বাংলাদেশে চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল গবেষণার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সার্ভিক্যাল ক্যানসারের পরীক্ষা করছে।
ড. জৈন আরো বলেন, তারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী রোগীদের রেকর্ড রাখার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিককে ইলেকট্রনিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট চালু করতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অংশীদারত্ব গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৩৯ অভিবাসীকে উদ্ধার করে ইতালির দক্ষিণের বন্দর ব্রিন্ডিসিতে নিয়ে এসেছে মানবিক সংস্থা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স (এমএফএস) পরিচালিত জাহাজ জিও ব্যারেন্টস। অভিবাসীরা সিরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, সোমালিয়া ও শ্রীলংকার নাগরিক বলে জানিয়েছেন এমএফএস। শুক্রবার সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার ভূমধ্যসাগরে ১১ ঘণ্টার অভিযান শেষে মোট ৪৪০ অভিবাসীকে উদ্ধার করে জাহাজটি। এই অভিবাসীরা ছোট ছোট নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইটালি পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জনকে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে নেয়। বাকিদের ব্রিন্ডিসিতে পৌঁছে দেয় জিও ব্যারেন্টস।
অভিবাসীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার বেনগাজি থেকে কাঠের নৌকায় করে তারা পহেলা এপ্রিল রওনা করেন। উদ্ধারের আগে চারদিন তারা সমুদ্রে ভেসেছেন। এর মধ্যে শেষ দু’দিন তাদের কাছে খাবার ছিল না।
ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, উপকূলে পৌঁছানোর আগে এক ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে মাল্টায় নেয়া হয়। তিনি পানিশূন্যতা জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও পুড়ে যাওয়া এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় প্রতিবছর বিপুল অভিবাসী বিপজ্জনক উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে চলতি বছর এই সংখ্যা ১৮ হাজারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চারগুণ বেশি। ইটালিতে আসা এই অভিবাসীরা মূলত লিবিয়া ও টিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ছোট নৌকায় রওনা দেন, যা উত্তাল সমুদ্রে যাতায়াতের উপযুক্ত নয়। যে কারণে প্রায়ই নৌকা ডুবে প্রাণহানি বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে। সূত্র : ডয়চে ভেল
অনলাইন ডেস্ক :
এবার আরো এক দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল ফিলিস্তিন। স্বীকৃতি প্রদানকারী নতুন দেশটি হলো আর্মেনিয়া। ২১ জুন শুক্রবার এই স্বীকৃতি দেয় দেশটি। যদিও এনে নাখোশ ইসরায়েল। প্রতিক্রিয়া সরূপ এরইমধ্যে আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটি। খবর এএফপি ও আলজাজিরার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দেশটি শুক্রবার ফিলিস্তিনকে আন্ষ্ঠুানিক স্বীকৃতি দিলে তারা ইসরায়েলে আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।
আর্মেনিয়ার ঘোষণার পরপরই এক বিবৃতিতে ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আর্মেনিয়ার স্বীকৃতিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর তিরস্কারের জন্য রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।
যদিও আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের সামরিকবাহিনীর আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সদস্যদের বন্দি বানানোর নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে এ বিষয়ে একমত।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ১৬ এপ্রিল বুধবার ভোর থেকে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। গাজার মেডিকেল গুলোর সূত্রে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। সাম্প্রতিক ঘণ্টাগুলোতে আরও ভয়াবহ হামলার খবর আসছে বিধ্বস্ত এই উপত্যকা থেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে আল জাজিরা জানায়, বুধবার ভোর থেকে গাজায় সামরিক তৎপরতায় আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি ঘটেছে। আকাশজুড়ে ড্রোনের গম্ভীর গর্জন যেন যুদ্ধের অমোঘ উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনুস শহরের অস্থায়ী তাঁবুগুলোর ওপর ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো বেসামরিক মানুষ। একই সঙ্গে দেইর আল-বালাহ এলাকায় সাধারণ মানুষের সমাবেশেও আঘাত হানা হয়েছে। গাজার উত্তরের দিক থেকেও আরও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে।
পূর্ব গাজায় রাতভর গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। উজ্জ্বল ফ্লেয়ার ছুড়ে আকাশ আলোকিত করে ইসরায়েলি স্থলবাহিনী নিজেদের অভিযান চালানোর জন্য স্পষ্ট দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘ জানায়, গত ১৮ মার্চ হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে গাজায় আরও প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত বা দ্বিতীয়বারের মতো উচ্ছেদ হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৫১,০২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১১৬,৪৩২ জন।
যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ জনেরও বেশি হতে পারে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষের আর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তাদের মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গাজায় এখনো বন্ধ রয়েছে ত্রাণ সরবরাহ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা তাদের ‘সুস্পষ্ট নীতির’ অংশ এবং এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা গাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে, তা এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান হামলা ও সব ধরনের সহায়তা আটকে দেওয়ার কারণে সেখানে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা ও জরুরি পণ্য প্রবেশ বন্ধ রাখার কারণে খাদ্য গ্রহণের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হয়ে পড়েছে, যা সাত সপ্তাহ ধরে চলছে। সংস্থাটি বলছে, মার্চ মাসে গাজায় ৩,৬৯৬ জন শিশু তীব্র অপুষ্টির কারণে চিকিৎসা নিয়েছে, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ২,০২৭ জন — অর্থাৎ মাত্র এক মাসে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়ে গেছে।