চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বিদেশি সাংবাদিকদের প্রতি বিষোদগার করেছেন।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে তাদের কাছ থেকে বিদেশি সাংবাদিকরা টাকা নিয়ে চিঠি লিখছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘খাইয়া দাইয়া কোনো কাজ নাই। এখন খবর পাইলাম একজন সাংবাদিক সে চিঠি লিখতাছে কার আত্মীয়কে নির্যাতন করা হইছিলো। যখন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ধরে হত্যা করতে ছিলো এই সাহেবরা তখন কোথায় ছিলো। তখনতো তারা চিঠি লেখে নাই। আজকে পয়সার বিনিময়ে বিদেশি সাংবাদিক সাহেবরা এখন চিঠি লিখতেছে। যাতে নিজেরা দুই পয়সা আয় করতে পারে যারা লুট করে নিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় টানা নয়দিনের প্রচারণায় নেমেছেন আইনমন্ত্রী। তবে তার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। যে দু’জন প্রার্থী তার বিরুদ্ধে লড়ছেন তাদেরকে কিংবা তাদের দলকে সেভাবে চিনেওনা এলাকার মানুষ।
জনসভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আগে ছিলো মিসকিনের দেশ। আগে ছিলো তলাবিহীন ঝুড়ি। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে করেছেন সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। আপনাদের জন্য সম্মান এনে দিয়েছেন, মর্যাদা এনে দিয়েছেন। আজকের এই ধারাবাহিতকা বজায় রাখতে হবে বলেই ভোটের প্রয়োজন।’
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন,‘যখনই ভোট করতে যাই বিএনপি-জামাত বলে আমরা করবো না। তার কারণ হচ্ছে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন উন্নতি চায় না। বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক চায় না। তারা এসছে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য। সারাবিশ্বে তারা এখন টাকা ছড়াইতেছে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি আপনাদের সামনে পরিস্কার বলে দিতে চাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের ভুখন্ডে কেউ অপরাধ করলে বাংলাদেশের আইনেই তার বিচার করা হবে।
এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানি সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী দিনভর গণসংযোগের পাশাপাশি একাধিক নির্বাচনী সভায় যোগ দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। রেল সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে এর নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শুধু কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন কর্মকর্তা এবং সাতজন কর্মচারী।
আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জননিরাপত্তা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব মো. জাহিদুল ইসলাম এতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণের নামের পার্শ্বে বর্ণিত অনুবিভাগ/অধিশাখায় বদলি/পদায়ন করা হলো।
বদলি কর্মকর্তারা হলেন- এ মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-১ অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামানকে প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগে (অতিরিক্ত দায়িত্ব মেডিকেল অনুবিভাগ) বদলি করা হয়েছে এবং সীমান্ত অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফাকে রাজনৈতিক-১ অধিশাখা (অতিরিক্ত দায়িত্ব সীমান্ত অধিশাখা) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েকটি শহিদ পরিবারের সদস্যরা দেখা করেন।
বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন, আহত ও শহীদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা আজকের বৈঠকে শহিদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শুনেছেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
এসময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানে অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ ৪ আগস্ট রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আইনজীবীরা বলেছেন, পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবে। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।
এর আগে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি একটি রিট করেন। এই রিটে ‘আন্দোলনকারী বা বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় নামার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তাদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সেই সঙ্গে রিটে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজতে নেওয়াকে বেআইনি উল্লেখ করে তাদের মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
একপর্যায়ে সোমবার ও মঙ্গলবার এই রিটের আংশিক শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার শুনানিতে দুই বিচারপতির হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, সব মৃত্যুই আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা এমন কোনো কাজ করব না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়।
তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের অপর বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নেওয়ায় দ্বৈত বেঞ্চ বসেনি। শুধু বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের একক বেঞ্চ পরিচালনা করেন বলে জানান বেঞ্চ অফিসার রেজাউল করিম। এরই মধ্যে ছয়জন আন্দোলনকারীকে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি পুলিশ