অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতেই ভেসে গেল। কার্টেল ওভারে খেলা গড়ানোর সম্ভাবয়ান নেই জেনে প্রায় ৩০ মিনিট আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে বৃষ্টি থামেনি এখনো। আর থামলেও এ সময়ের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত হবে না।
১১ ওভারে ২ উইকেটে কিউইরা ৭২ তোলার পর নেমেছিল বৃষ্টি। রানরেট ছিল ৬.৫৪। ফলে বাংলাদেশের সামনে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ১০ ওভারে ৮৫ রান কিংবা নিদেনপক্ষে ৫ ওভার করা গেলেও ৪৬ তাড়া করার সুযোগ ছিল টাইগারদের।
কিন্তু অনেকটা সময় অপেক্ষার পরও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচটি আর মাঠে গড়ানো যায়নি। ফলে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের সুবাদে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে ৩১ ডিসেম্বর।
মাউন্ট মুঙ্গানুইতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শেখ মেহেদী হাসানের স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। প্রথম ওভারে মেহেদী দেন ৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই সাফল্য শরিফুল ইসলামের। এবারও বাংলাদেশকে শুরুতে ব্রেক থ্রæ এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিন অ্যালেন (২)।
তবে ওপেনিং সঙ্গী হারালেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে তটস্থ রাখছিলেন টিম শেইফার্ট। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঝোড়ো ফিফটির দিকে। তবে তার সে আশা পূরণ হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব।
টাইগার পেসারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন শেইফার্ট। অনেক ওপরে উঠা বল দৌড়ে এসে মিডঅফে দারুণভাবে তালুবন্দী করেন শান্ত। ২৩ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ রান আসে শেইফার্টের ব্যাট থেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
মৃত্যুর ২৫ বছর পর নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার একটি টপ। এটি সেই বিখ্যাত টপ যেটি ১৯৮১ সালে ডায়ানা তার বাগদানে পরেছিলেন। নিলামে এর দাম ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
গোলাপি ক্রেপ কাপড়ের একটি টপ (স্কার্টের উপরের ব্লাউজ সদৃশ), যার সামনের দিকে রফের মতো কলার এবং আলগা প্লিট রয়েছে। কলারের নিচে একটি সার্টিন ফিতা রয়েছে। এর ডিজাইন করেছিলেন এলিজাবেথ ও ডেভিড ইমানুয়েল, যারা ডায়ানার বিয়ের পোশাকের ডিজাইন করেন।
ডায়ানা লর্ড স্নোডনের তোলা একটি প্রতিকৃতির জন্য পোজ দেওয়ার সময় ব্লাউজটি পরেছিলেন যেটি তখনকার প্রিন্স চার্লসের (পরবর্তীতে রাজা চার্লস তৃতীয়) সঙ্গে তার বাগদানের ঘোষণার সময় ভোগসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা এবং সংবাদপত্র ব্যবহার করেছিল।
বেভারলি হিলসে অবস্থিত জুলিয়ানের নিলামঘর অনুসারে, এলিজাবেথ ইমানুয়েল তার বই ‘এ ড্রেস ফর ডায়ানা’তে লিখেছেন- ওই টপসের ফ্যাব্রিকস এমন একটি পোশাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যখন একজন ক্লায়েন্ট এটি পরার সময় স্কার্টে মাস্কারা ফেলে দিয়েছিলেন।
ইমানুয়েল স্মরণ করে বলেন, যখন (ডায়ানা) র্যাকে আমাদের টপটি দেখেছিলেন তখন তিনি এটির প্রেমে পড়েছিলেন, জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এটি কে তৈরি করেছে।
ডায়ানা ব্লাউজটি পরার পর, ডিজাইনার ২০১০ সালে এটি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত আর দোকানে রাখেননি। এটি রাজকুমারীর পোশাকের একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কেনসিংটন প্যালেসে প্রদর্শিত হয়েছিল।
একই সঙ্গে ডায়ানার আরেকটি পোশাক, যেটি পরে তিনি দুবার জনসমক্ষে এসেছিলেন, একই নিলামে সেটির দাম ২ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
১৯৮০ সালে ডায়ানা এই নীল স্কার্টটি পরে স্টাইল আইকন হয়ে ওঠেন। নিলামের অন্যান্য আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে হলিউডের সবচেয়ে বড় তারকাদের দ্বারা ব্যবহৃত বা পরিধান করা স্মৃতিচিহ্ন। ১৯৬৩ সালের ‘চ্যারাডে’ সিনেমায় অড্রে হেপবার্নের পরিধান করা একটি হলুদ উলের গিভেঞ্চি কোট ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে মেরিলিন মনরোর মালিকানাধীন একটি ঘড়ির দাম উঠতে পারে ৪ হাজার ডলার। বেভারলি হিলস এবং অনলাইনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জিনিসগুলো বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
বিনোদন ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গান শ্রোতারা বরাবরই পছন্দ করে। তাঁর ‘নিশিথে আইসো ফুলবনে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’ গানগুলো শ্রোতারা এখনো শোনে। একসময় নিয়মিত গান প্রকাশ করলেও গত কয়েক বছর ধরে কম গান করছেন আঁখি আলমগীর।
সর্বশেষ এ বছর ৩১ মার্চ শওকত আলী ইমনের সঙ্গে ‘কফির পেয়ালা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছিলেন আঁখি।
দুই জনই ভিডিও চিত্রে হাজির হয়েছিলেন। সমালোচকরা গানটির প্রশংসা করেছিলেন। অথচ এরপর আর কোনো গান প্রকাশ করেননি এই গায়িকা। অনেক অডিও প্রতিষ্ঠান নতুন গানের প্রস্তাব দিলেও সময় নিচ্ছেন তিনি।
কারণ হিসেবে বললেন, ‘গান তো প্রকাশ করলে যখন-তখন করা যায়। কয়েকটি গান তৈরিই আছে। প্রকাশ করছি না অনেক কারণে। একে তো এখন অস্থির সময় চলছে, শ্রোতারা ট্রেন্ডি গানে মজে আছে।
তারা আগে শান্ত হোক, তারপর নতুন গান।’
আঁখি আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা চাইলেও তো সস্তা কথার গান করতে পারব না। চলতি কথার গান এক ধরনের আর সস্তা কথার গান আরেক ধরনের। এমনিতে বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। একটা শ্রোতামহলও আছে আমার।
তাদের নিরাশ করতে চাই না।’
আঁখি আলমগীর এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কয়েকটি স্টেজ শোতে তিনি অংশ নেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামে- বুড্ডা মৃধা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আজ ৭ জুলাই রবিবার বিকেলে বুড্ডা মৃধাবাড়ি সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, এ এম টিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সময়ের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মনসুর আহমেদ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমজাদ মৃধা, মো: অলি আহাদ মৃধা মেম্বার, মো: সোহাগ মেম্বার, মো: মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী মো: বকুল মেম্বার, মো: আহাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: সাদেক মিয়া, মো: বিল্লাল মিয়া, মো: সাইকুল মিয়া, মো: আরমান মিয়া, মন্নাফ মৃধা প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, আনিছ মৃধা, ফরিদুল ইসলাম মৃধা, বিছু মিয়া, অলি মৃধা, আলী আজ্জম মৃধা, জাহার মৃধা, রুফন মৃধা, খালেক মৃধা, হামিদ মৃধা, শামিম মিয়া, স্বপন মৃধা, জাহার আলী মিয়া, লাল মিয়া, আলী রহমান, দ্বীন ইসলাম মৃধা, আল আমিন উল্লাহ প্রমুখ। পরিচালনায় ছিলেন জীবন মৃধা, রিপন মৃধা, জুম্মান মৃধা, রঙিণ চন্দ্র দাস, কানু চন্দ্র দাস, শহিদ মিয়া, আবু উল্লাহ, হারুনুর রশিদ মাষ্টার,তারা মিয়া, শিল্প চন্দ্র দাস, স্বপন চন্দ্র দাস, নান্টু চন্দ্র দাস, নারু চন্দ্র দাস, নুরু মিয়া প্রমুখ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো: হানিফ মিয়া।
ফুটবল খেলায় বুড্ডা একাদশ বনাম শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব অংশগ্রহন করে। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব জয়লাভ করেন। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে বিজয়ী দল ও অন্যান্য খেলোয়ারদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের যুবসমাজকে সুস্থ রাখতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যারা সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে আছি, আমাদের উচিৎ খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করা। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি অত্র এলাকায় শিক্ষা ও খেলাধুলার প্রসারে তাঁর সকল প্রকার সহযোগিতার কথা পূণর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার এসব খেলাধুলা আমাদেরকে নির্মল আনন্দ দেয়। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করতে খেলাধুলার পরিমাণ বাড়াতে হবে। বৃষ্টিস্নাত বিকেলে হাজার হাজার দর্শক এই ফুটবল খেলাটি উপভোগ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কাছে বিশেষ আবদার জানিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। যথারীতি কিছু দিনের মধ্যেই মিমির প্রিয় জিনিস পাঠানো হলো তার কাছে। কিন্তু কী এমন চেয়েছিলেন তিনি? এ নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক চর্চা চলছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন সূত্র জানায়, মিমি নিজের নাম লেখা কেকেআরের জার্সি চেয়েছিলেন। টুইট করেছিলেন তিনি। তবে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না তাকে।
নিজের নাম লেখা জার্সি হাতে পেতেই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। কলকাতার জার্সি বলে কথা। যথারীতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলেন সেই সুখবর।
কেকেআরের তরফে সেই ছবি পোস্ট করে তারা জানিয়েছেন। মিমি দারুণ লাগছে। আমাদের দলের হয়ে চিয়ার করছেন আপনি। ধন্যবাদ। হাসিমুখে জার্সি হাতে পোজ দিয়েছেন মিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই বলছেন, আপনার আবদার পূরণ করলেন কিং খান।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে মিমি রাজনীতির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। তবে সামনেই সিনেমার কাজে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণী সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শামীম মাদবরের।
সেখানে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে জাঁকজমকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রেমযুগলের।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশীয় তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানান তিনি। ভীনদেশি তরুণীকে বিয়ের বিষয়টি প্রথমে শামীমের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে অনলাইনে ওই তরুণীরর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিয়ের হয় শামীম-ইহফার।
শামীম মাদবরের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়েটা খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসেন। ’
এদিকে ইন্দোনেশীয় তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।
শামীমের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কয়েকদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।
ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।