চলারপথে রিপোর্ট :
মানবিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর ৩ আসন গড়তে কাচি প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজয়নগরের চান্দুরায় পথ সভায়।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা খেলার মাঠে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করোন চান্দুরার নুরুল ইসলাম সর্দার।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
প্রবীর চৌধুরী রিপনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, ইছাপুরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আক্তার হোসেনসহ আরো অনেকে।
বক্তারা সাধারণ ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাচি প্রতীকের প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও সকল সুধীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সবসময় পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরোও বলেন,আমি আপনাদের সুখে দুখে থাকব সব সময়। আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারী কাচি মার্কায় ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার সুযোগ দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৯ হাজার ৮৯০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর সদস্যরা। আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কালিসীমা চুল্লাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার মিয়া (৪০)। শুক্রবার র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৯ হাজার ৮৯০ পিস ইয়াবাসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে জব্দকৃত আলামত বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব আরো জানান, মাদকের বিরুেেদ্ধ সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭২ কেজি গাঁজাসহ একাধিক মাদক মামলার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নেতৃত্বে এস আই মোঃ শরিফুল ইসলাম, এস আই জুয়েল রানা, এএসআই আব্দুলাহ আল মামুন, আমির, সেলিম, রুহুল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভোর ৪ ঘটিকার সময় উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর আসামী সজল মিয়ার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে সেলিম মিয়ার পশ্চিম ভিটির বসত ঘর হতে ৭২ কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট ১৩ মাদক মামলার আসামি সজল মিয়াসহ মাদক পাচারের লেবার, লাইনম্যান, ক্রেতা বিক্রেতাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
আসামীরা হলো বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (৩০), মজনু মিয়ার ছেলে ফটিক মিয়া (৩০), আব্দুর রহমানের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে মোঃ হাসান মিয়া (৪২), একই উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামের মোঃ মনু মিয়ার ছেলে আহাদ মিয়া (৩০), এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের হিরা মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (৪৫) কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এই মাদক চালানের নেতৃত্বদানকারী সজল মিয়ার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকের ১৩ টি মামলাসহ গ্রেফতারকৃত সকল আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল ভোর রাতে উপজেলার কাশিনগর গ্রামের এক লেবু বাগানের ভিতর থেকে ৭২ কেজি গাঁজাসহ একটি মাদকচক্রের ৬ জনকে একত্রে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত সবাই একাধিক মাদক মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজয়নগরে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় দুইজনকে জরিমানা
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে মোঃ মিজান মিয়া ও মোঃ জুয়েল মিয়া নামে দুইজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুই জনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের মো. মিজান মিয়া ও একই ইউনিয়নের বক্তারমোড়া গ্রামের জুয়েল মিয়া। তাদের প্রত্যেককেই ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায় ফসলি জমি ধ্বংস করে নিয়ম বর্হিভ‚তভাবে ভ্যাকু মেশিন ব্যবহার করে ফসলি জমি গভীরভাবে কেটে মাটি তোলা হচ্ছে। এতে করে পাশের জমিগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী দুইজনকে পৃথক দুটি মামলায় ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও মাটি পরিবহনের সাথে জড়িত ২টি ট্রাক্টরের মালিককে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ঝটিকা অভিযানে পরিচালনা করে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতের নাম সুভাষ মল্লিক (৪৮) পিতা:-মৃত- সুকুমার মল্লিক, গ্রাম- সাতবর্গ, ইউপি বুধন্তি, থানা:- বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া.
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২৯ মার্চ বিকাল প্রায় ৪ টায় উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ৯ নং সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব দিকে মনতলা – সাতবর্গ রাস্তায় মল্লিক সাউন্ড সিস্টেম দোকানে ইসলামপুর ফাঁড়ির এসআই আক্কাস সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে ৮৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নগদ ১৫৯৫ টাকা এবং ইয়াবা সেবনের এক রুল ফুয়েল পেপার উদ্ধার করে ও সুভাষকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে ।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, সুভাষ মল্লিকের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক মামলা রয়েছে সে একজন মাদক ব্যবসায়ী, এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাবিলা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে শ্বাশড়ি সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
নাবিলা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বুধল ইউনিয়ন বেতবাড়িয়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে৷
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৬ বছর আগে নাবিলাকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বড়পুকুর পাড় গ্রামের সৌদি প্রবাসী সুজন মিয়ার কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর নাবিলার বাবা বাবুল মিয়া নিজের টাকা দিয়ে সুজনকে সৌদি আরবে পাঠান। বিদেশ গিয়ে তার বড়ভাই উসমানের কাছ থেকে একটা জায়গা কিনেন সুজন। এরপর থেকে এ জায়গা নিয়ে শ্বাশুড়ি, দেবরদের সাথে ঝগড়া হতো নাবিলার। আজকে একরকম ঘটনা ঘটে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাবিলা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।