চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকা, নন্দনপুর বাজার, বুধলসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবি.এম. মোমিনুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল প্রমুখ।
এ সময় এক সংক্ষিপ্ত এক সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রহসনের নামে ডামি নির্বাচন দেশের জণগন মানেনা মানবেও না। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া এদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবেনা। আমরা নির্বাচনের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আভ্যন্তরীন বিরোধ এখন চরমে। জেলা বিএনপিতে রয়েছে দুটি গ্রুপ। দুটি পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ থাকায় তারা ঠিকভাবে কর্মসূচিও পালন করতে পারছেন না। এছাড়াও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক শীর্ষ নেতাই বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছবিআকাঁ ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু ও ৯ম আর্ট ক্যাম্প, আমাদের গ্রাম বাংলা শীর্ষক আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীর ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া সুলতানা এ্যানি, উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্র ডাঃ রিয়াজ উদ্দিন মিতুল, ঢাবির সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিফাত আমিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক দিপ্ত মোদক।
প্রধান অতিথি বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস বলেছেন, শিশুদের মানবিক মানুষ করে গড়ে তুলতে হলে শিল্প সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় তাদের কে নিয়ে যেতে হবে। তিনি ছোট বেলার স্মৃতিচারণ করে বলেছেন খালে বিলে, পুকুরে নদীতে সাঁতার কেটে ও গ্রামের যে ফল গাছে উঠে ফল পেড়েছি আর এখন শিশুরা ইট-পাথরের দালান-কোঠায় বসবাস করে ফার্মের মুরগী বানিয়ে ফেলছি।
শিশু নাট্যম যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু এ ভাবনা নিয়ে গ্রামে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা শিশু মেধা বিকাশে ভালো একটি কাজ। তিনি আরো বলেন, গ্রাম বা প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, আর্টিকেল লিখেননি বা ছবিআকাঁ ও ছবি তুলেননি পৃথিবীতে এমন কবি বা শিল্পী নেই। এ পৃথিবীতে আমরা শিশুদের পুতুল বানিয়ে ফেলেছি, এ জায়গা থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথি পল্লী কবি জসীম উদ্দিন ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পূর্বে শিশু নাট্যমের ছবি আঁকা বিভাগের ছাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় দেবনাথ প্রান্ত ও আবদুল্লাহ আল জিহাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদযাত্রা করেছে জেলা বিএনপি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
পদযাত্রাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে কালিবাড়ি মোড় গিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও জেলা কমিটির সমন্বয়ে এক আলোচনা সভা আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিতোষ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল শ্রেনী পেশার মানুষ একযোগে কাজ করতে হবে। যানজট নিরসন সহ শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুর্গোৎসবে পুলিশের পাশাপাশি আনসারগণ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে বক্তারা জানান।
সভায় বিভিন্ন মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
১ মার্চ থেকে চালু হয়েছে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন পদ্ধতি। এই নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হয়। তবে, নতুন এই নিয়ম চালুর দুইদিন পর আসন বিহীন টিকিট ক্রয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে রেলওয়ে। এতোকিছুর পরও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বরং নতুন নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কালোবাজারিতেও এসেছে নতুনত্ব।
মূলত টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে এই নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতেও প্রতিরোধ করা যায়নি রেলওয়ের টিকিটের কালোবাজারির স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। কালোবাজারিরা বিভিন্ন জনের আইডি দিয়ে টিকিট কেটে চড়া দামে সেগুলো বিক্রি করছেন সাধারণ যাত্রীদের কাছে। পাশাপাশি যাত্রীদের একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট নিতে বলছেন, যেন চেকিংয়ের সময় সেটি দেখাতে পারেন।
১৪ মার্চ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই স্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিট কালোবাজারিরা। কয়েকজন উচ্চস্বরে ডাকছেন- ‘ঢাকা-ঢাকা, চট্টগ্রাম-চট্টগ্রাম’ বলে। তাদের কাছে টিকিট কিনতে আসছেন যাত্রীরাও। কিন্তু টিকিট বিক্রির সময় নতুন পদ্ধতিতে শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন কালোবাজারিরা। তাদের তৈরি নিয়মে আসনসহ টিকিটের সঙ্গে আসন বিহীন টিকিট নিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় ট্রেনের শোভন আসনের ভাড়া ১৪৫ টাকা এবং এসি ২৭০ টাকা। কালোবাজারিরা প্রতি শোভন আসনের টিকিট বিক্রয় করছেন ৪০০ টাকা। এছাড়া এসি আসনের টিকিট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রয় করছেন তারা।
সামিয়া আক্তার নামের ঢাকাগামী এক ট্রেনযাত্রী জানান, পারিবারিক একটি কাজে দ্রুত ঢাকা যেতে হচ্ছে। কাউন্টারে টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বাসে যেতেও অনেক সময় লাগে। রেলস্টেশনে দেখলাম ব্ল্যাকাররা (কালোবাজারি) টিকিট বিক্রি করছেন। সন্ধ্যার মহানগর ট্রেনের টিকিট নিয়েছি ৪০০ টাকায়। এর সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনতে বলেছেন তারা। ট্রেনে চেকিং করলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেখাতে বলেছেন।
মহিবুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, বাসে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই ঢাকায় যেতে হলে সবসময় ট্রেনেই যাতায়াত করি। নতুন নিয়মে আমিও রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট শেষ। বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকারের কাছ থেকে টিকিট নিয়েছি। শুধু একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটতে বলছে। মোবাইল কোর্টে ধরলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেখাতে বলেছে। আসনসহ টিকিট যেন না দেখাই, তাও বলে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিকিট কালোবাজারি জানান, নতুন পদ্ধতিতে সরাসরি আমরা টিকিট নিতে পারি না। আলাদা আলাদা পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। যার আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটে, তাকে প্রতি টিকিটে ১০০ টাকা করে দিতে হয়।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক হাতেম আলী ভূইয়ার কাছে দাবি করেন, নতুন নিয়মে কালোবাজারিরা টিকিট কিনতে পারেন না। এখন কালোবাজারি নেই স্টেশনে। কিন্তু স্টেশনে কালোবাজারি আছে- এমন প্রমাণ থাকার কথা জানালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।