অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ২ জানুয়ারির মধ্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সারা দেশে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। সে প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত তারিখ প্রেরণ করে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার। মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে ইসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কিছু ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বার বার আমাদের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করেছে।
তিনি আজ ১২ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারে সদস্যদের সাথে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে সাম্প্রদায়িক হামলার খবরে আমাদের হৃদয় যেন ছিড়ে গিয়েছিল। আমরা পবিত্র মাসে শপথ নিতে চাই, আর কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন আমাদের স্মৃতি আমাদের গর্ব এবং অহংকারের জায়গাটিতে আর আঘাত করতে না পারে। আমরা ১৯৭২ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্যে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে জীবন দিয়েছেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা যেদিন বিনির্মান করতে পারবো সেই দিন এই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো।
ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ইফতার মাহফিলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চান।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া খরমপুর কেল্লা শহীদের মাজার জিয়ারতকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কিছু বলার থাকলে তারা ইলেকশন কমিশনকে বলুক। কমিশন সেটি বিবেচনা করবে।
মন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় আমরা তাদের সব সময় অভিনন্দন জানাই। ধ্বংসাত্মক কাজ ছেড়ে সাংবিধানিক পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা থাকবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, কসবা-আখাউড়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বাহার মালদার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। সে গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন অনেক রকম মত থাকতে পারে, সেসব মতের লোকেরা কথা বলতে পারে।
আমার মনে হয় না আমাদের সে অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত আছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের কাছে জনগণ যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব এবং দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব। সে বিষয়ে আমরা সচেতন থাকব।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মহিলা ডিগ্রি কলেজের হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।
তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা কসবা-আখাউড়ার উন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে।
এসময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বর্ধিত সভায় সভাপতি হিসেবে যোগ দেন আনিসুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি নির্বাচনে ভোট দেয় তাহলে কে নির্বাচনে এলো আর কে এলো না সেটা বড় কথা থাকে না। জনগণের যে উচ্ছ্বাস, যে আনন্দ, যে ইচ্ছা এবং প্রত্যাশা এই নির্বাচন নিয়ে, সে কারণে আমি মনে করি নির্বাচন সফল হবে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিএনপি নির্বাচনে না এলে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমি দশ বছর কসবা-আখাউড়ার জনগণের সেবা করেছি। আমার কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা আমি রাখতে পেরেছি। আমি আমার জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছি এবং তারা আমাকে দোয়া করেছে। তাদের দোয়া নিয়েই আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে তিনি কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে দোয়া নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ ও সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিকসহ দলীয় সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন বা পক্ষপাতদুষ্ট হয় এমন কোনো কাজ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে কমিশন।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এমন কাজ করবেন না, যার দ্বারা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তাদের মধ্যে যেন পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চত করতে আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
ভোটারের সংখ্যা বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ন না করতে পারে তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা আর ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।