চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাবেন আমাকে ভালোবাসেন। আমি আপনাদের সন্তান, ছোটদের অভিভাবক।
১০ বছর আপনাদের সেবা করে উন্নয়ন করেছি। সন্তানের দাবীতে ভোট দাবি করছি। ভালোবাসার দাবীতে ভোট আপনাদের ভোট চাই। আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, গনতন্ত্রের য়ে প্রক্রিয়া গণতন্ত্র যেভাবে চলে, সঠিক ভাবে গণতন্ত্র চলছিল বলেই এবং বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে বলেই তারা এসব গণতন্ত্রান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না।
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে। তারা ট্রেনে আগুন দিয়ে ৩ বছরের শিশুকে মেরেছে।
আনিসুল হক আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নাই। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন প্রত্যেক ইউনিয়নে মিটিং করছি। এর কারণ হলো আমি আখাউড়া-কসবাবাসীকে ভালোবাসি। আমি এও জানি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। নির্বাচন মুখ্য নয়, এই ভালোবাসার টানেই আমরা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে যাই।
মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান নাজিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আজ ১ জুন রবিবার দলটির পক্ষে করা আপিল গ্রহণ করে রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। এর ফলে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।
এদিকে, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ১৪ মে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওইদিন আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত আপিল মামলাটি খারিজ করে দেন।
এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেছেন অর্থাৎ পুনরুজ্জীবন করেছেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।
এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।
তবে এ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে গত বছর জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পতনের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়। গত ২৮ আগস্ট সরকার আগের নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে। এরপর আপিল বিভাগে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করে জামায়াত।
ঢাকা।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করেছেন।কমিটিতে সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিদ আসিফ ইনান দায়িত্ব পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাতে গণভবন থেকে বের হয়ে সভাপতির পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দায়িত্ব পেয়েছেন। অপরদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি রাজীবুল ইসলাম ও সম্পাদক সজল কুণ্ডু দায়িত্ব পেয়েছেন।আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। এই সম্মেলন ঘিরে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিল ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আজই ঘোষণা করা হচ্ছে না। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে শেখ হাসিনা কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়। কিন্তু চাঁদাবাজিসহ আরও কয়েকটি অভিযোগের কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই দুই নেতাকে ভারমুক্ত করার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা সম্মতির ভিত্তিতে পূর্ণ দায়িত্বে পূর্ণ মেয়াদ পার করেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কেচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৫৮৪জন। আসনটির ১৯২ ভোট কেন্দ্রের ১৩৩৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১০ মে শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান বিক্ষোভের দু’দিনের মাথায় সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এলো। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। একইসাথে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য এবং সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণা আসার পর সারা দেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সবাইকে রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আমাদের মতামত আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব। সে পর্যন্ত অবস্থান ত্যাগ করবেন না।’ এর দুই ঘণ্টা আগে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘তিন দফার একটি দফাও বাস্তবায়ন না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
গত বুধবার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে রাজপথে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন এনসিপি নেতারা। ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), হেফাজতে ইসলাম, জুলাই মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিটি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে তিন দফা দাবি আদায়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতা। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত ৮টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, এক ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না এলে আবারও ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা না আসায় রাত ৯টার কিছু আগে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের বাধায় তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান নেন। তখনো উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলছিল। সাড়ে ৮টার মধ্যে সিদ্ধান্ত আসার কথা থাকলেও বৈঠক চলে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত। ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি জানান আইন উপদেষ্টা।
এদিকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি ভবন যমুনায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। শনিবার সাড়ে ৮টার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়তে দেখা যায়। প্রধান ফটকের ভিতরে সেনাবাহিনী ও তার সামনে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। পাশে ছিল র্যাব। গেটের বাইরেও ছিল কড়া প্রহরা। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সদস্য ঘুরতে দেখা যায়। এদিন দিনভর সচিবালয় এলাকায়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিতে সন্ত্রাস দমন আইনের প্রয়োগ হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা পাওয়া মাত্র দ্রুতগতিতে তা বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, জামায়াতকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে একই আইন প্রয়োগ করা হবে। সব প্রস্তুতি আছে, ওপরের গ্রিন সিগন্যাল পেলে প্রজ্ঞাপনের উদ্যোগ নেবে। তবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন বা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ব্যবহারের ইঙ্গিতও দেন কেউ কেউ।
এর আগে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে। কারণ হিসেবে দলটির গঠনতন্ত্র দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করে। একই বছর জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও নিষিদ্ধ হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রমাণের অভাবে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ যেমন-একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার আখাউড়া উপজেলা রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসূর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
বক্তব্য রাখেন রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।