চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বারিউড়া গ্রামবাসীর লোকজন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে বিষয়টির তদন্তে গিয়ে সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি ধরা পড়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তার নজরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বিগত কয়েক বছর ধরে তার পুলিশ অফিসার ছেলে ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বারিউড়া মৌজায় এস এ দাগ নাম্বার ১৭২এর বেশ কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছে। এছাড়া অনেকের কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে। তার এই অবৈধ জায়গা দখলের কারণে ওই মহাসড়কের মধ্য দিয়ে বারিউড়া গ্রামে চলাচলকারী ভোক্তা, ক্রেতা ও জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি বাসস্ট্যান্ডের জায়গা দখল করায় লোকাল বাস ও দূরপাল্লার বাস নির্দিষ্ট স্থানে না থেমে বাজারের মাঝখানে থামতে হচ্ছে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ।
এ অবস্থায় জনস্বার্থে মহাসড়ক ও এর আশেপাশের জায়গা দখলমুক্ত করতে মনসুর চেয়ারম্যানের দখল করা মার্কেট ও দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান, ছোটবেলায় আমরা দেখেছি এখনে একটা ব্রিজ ছিল। ব্রিজের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ব্রিজের নিচের অংশ বন্ধ হয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান এই সরকারি জায়গা দখল করে এখানে মার্কেট নির্মাণ করেন। দখল করা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের পজিশন বিক্রি করেছেন তার কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আমি কোনো সরকারি জায়গা দখল করি নাই। গ্রামের কিছু লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে হেও করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।
ছেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সে ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছেলে এ বিষয়ে কোনো জায়গায় কোনো ফোন করেনি। তার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা। সে তার কর্মস্থলে চাকরি করছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে দখল করা জায়গা পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. একরাম হোসেন। এ সময় তিনি সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের যে অভিযোগটি উঠেছে আমরা সে বিষয়টি তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কাজ চলমান। জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রশাসন ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাগলে চারাগাছ খাওয়ায় জীবন দিতে হলো অটোরিক্সা চালক লিয়াকত মিয়াকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে প্রতিবেশী রেজেক মিয়ার কিল-ঘুসিতে লিয়াকত মিয়া (৪৫) নামে এক অটোরিক্সা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
থানা-পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, ওই গ্রামের ছান্দু মিয়ার ছেলে লিয়াকত মিয়ার ছাগল প্রতিবেশী রেজেক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে চারাগাছ খেয়ে ফেলে। এতে রেজেক মিয়া ছাগলটি আটকে রাখে। শুক্রবার সন্ধ্যায় লিয়াকত মিয়া প্রতিবেশী রেজেক মিয়ার বাড়িতে ছাগল আনতে গেলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেজেক মিয়া কিল ও ঘুসি দিয়ে দুহাত দিয়ে গলায় টিপে ধরলে লিয়াকত মিয়া অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় স্বজনেরা তাকে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, পাকশিমুল এলাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লিয়াকত মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ সরাইল থানায় আছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো মামলা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ৫ নভেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল গেজেট স্থগিত করে নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের গঠন করা দুটি তদন্ত কমিটির উপর অনাস্থা দিয়েছেন নির্বাচনে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড: জিয়াউল হক মৃধা।
গতকাল বুধবার তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত কমিটির উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। অ্যাড: জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের বিচার বিভাগীয় কিংবা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বাদ দিয়ে তদন্ত করার দাবি জানান।
এদিকে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে অনিয়ম নিয়ে উঠা অভিযোগের তদন্ত দ্বিতীয় দিনের মতো আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। গত দুইদিনে তদন্ত কমিটি কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট দুইশত জনের সাথে কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসনের তদন্তকারি কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন আর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোঃ জয়নাল আবেদীন। গতকাল বুধবার তদন্ত কমিটি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সংশ্লিষ্টদেরকে ডেকে কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি অভিযোগ উঠা কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। তদন্ত কমিটির লোকজন ওইসব জায়গায় যাওয়ার আগেই ওইসব কেন্দ্রের সামনে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত হন। এ সময় কাউকেই অনিয়মের কথা বলতে শুনা যায়নি।
এদিকে, আশুগঞ্জের একটি ভোট কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে দুই মিনিট ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় একাধিক সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার (নারী) ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করে তুলে দিচ্ছেন তাদের সামনে জটলা বেঁধে থাকা যুবকদের হাতে। যুবকরাও ওই কর্মকর্তার সামনেই সিল মারছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম বিষয়ে বুধবার বিকেলে একজন সাংবাদিকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, পত্রিকায় প্রকাশিত ভেতরের ক্লোজ ছবিতে কারা রয়েছেন তা স্পষ্ট না হওয়ায় এবং অন্য তিনটি কেন্দ্রের অনিয়মের কোনো ছবি না থাকায় পত্রিকার বক্তব্য পড়ে নির্বাচনের অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সম্পর্কে ধারণা করা যাচ্ছেনা। চিঠিতে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর হাফেজিয়া নূরানীয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের সম্পূর্ণ চিত্র ও অন্য তিনটি কেন্দ্রের কোনো ডকুমেন্টরি ভিডিওচিত্র অথবা স্থিরচিত্র থাকলে তা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান। চিঠির প্রেক্ষিতে ওই গণমাধ্যমকর্মী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিক ভিডিও ও স্থিরচিত্র সরবরাহ করেন।
গত ৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক এম.পি জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। তবে আশুগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
তবে, কমিশনের তদন্তে নিজের আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন জিয়াউল হক মৃধা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেওয়া অভিযোগ ও সাংবাদিকদের কাছে তিনি উল্লেখ করেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট ছাপা হয়েছে। আশুগঞ্জের শরীফপুর কেন্দ্রের ভোট ছাপার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে নানা অনিয়ম বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করলে কোনো লাভ হবেনা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনে তিনি উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হবেন বলে সংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন মুখ খুলতে রাজি নন। তবে তিনি জানান, তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আওয়মী লীগের বিশেষ কর্মীসভা আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ( সরাইল-আশুগঞ্জ) শূন্য আসনে উপনির্বাচন-২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান আলম সাজু এর সমর্থনে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ এ কর্মীসভা হয়।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩১২ আসনের এমপি ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো: হেলাল উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উক্ত বিশেষ কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার গতকাল রবিবার সরাইল উপজেলার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার সহ শিক্ষক মন্ডলী তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট সহ শিক্ষকদের স্টাফ বাথরুম নির্মাণের অপরিহার্যতা ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপন সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তাঁকে অবহিত করেন যে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭শত শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ থাকা সত্তেও, মাত্র ৭জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়টির এই দূর্দশা শুনে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘‘শিক্ষা খাতকে’’ সর্বাধিক গুরুত্ব ও বাজেট বরাদ্দ দিয়ে আসছেন। তাই উপজেলা সদরের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠের এই সঙ্কট থাকার কথা নয়। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণ সহ অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্টাফদের বাথরুম নির্মাণ ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপনে শীঘ্রই জেলাপরিষদ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আশ^্যস্থ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১২টার দিকে ধীতপুর গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের আক্কেল আলীর শিশু পুত্র ইনসাফ আলী (০৪) ও তার আপন ছোট ভাই আশরাফ আলীর শিশু পুত্র সাড়ে তিন বছরের আদিল নামক এই দুই শিশু বাড়ির পাশে খেলা করছিল। খেলার কোন এসময় পরিবারের সদস্যদের অজান্তে শিশুরা বাড়ির নিকট পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে আশ পাশ ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে তাদের মৃত দেহ ভেসে উঠে।
শাহবাজপুর ১০ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।