অনলাইন ডেস্ক :
টোকিও বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুই প্লেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী একটি প্লেনের সঙ্গে কোস্টগার্ডের প্লেনের সংঘর্ষ হয়। এরপরই যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কোস্টগার্ডের প্লেনটিতে থাকা ছয় জনের মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে জাপান এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন লেগে গেলেও সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়, টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে কোস্টগার্ডের একটি প্লেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন ধরে যায়।
প্লেনটির কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ক্রুসহ ৩৭৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্লেনটি হোক্কাইডোর শিন-চিটোসে বিমানবন্দর থেকে ছেড়েছিল।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।
অনলাইন ডেস্ক :
দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর বোমা হামলা থেকে ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনও রক্ষা পাইনি নিরিহ ফিলিস্তিনিরা। তাদের লাগাতার বোমা হামলায় ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে হাজার হাজার যুবককে। আর আহত হয়ছেন অসংখ্য মানুষ। বাস্তহারা হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই ইসরায়েলি বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল ও আল জাজিরা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলে ২০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে হামাস।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবের দিকে ২০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত করা হয়। এ সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সতর্কসংকেত (সাইরেন) বাজানো হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে হামাসের ছোড়া একটি রকেটের টুকরো ইসরায়েলের স্থানীয় এক হাসপাতালে গিয়ে পড়লেও, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের সাবেক ধর্মমন্ত্রী ইউসুফ সালামা (৬৮) নিহত হয়েছেন।
এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রবিবার ইউসুফ সালামার বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায় বলে জানায় ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। এছাড়া হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিয়ষটি নিশ্চিত করেছে।
ওয়াফা বলছে, ইউসুফ সালামার বাড়ি গাজার মধ্যাঞ্চল আল-মাঘাজি শরণার্থী ক্যাম্পে। ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইউসুফ। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ইমামও ছিলেন ইউসুফ সালামা। তবে, ফিলিস্তিনের সাবেক এই মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করার লক্ষ্য ৩২ সদস্যের মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছেন। এরপর তারা ১৮০ পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌপথে আরকান রাজ্যের সাউ নাইং এর নেতৃত্বে ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের জেটিঘাটে এসে পৌঁছায়। পরে গাড়িযোগে টেকনাফ সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে নদী নিবাসে পৌঁছার পর সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্প থেকে ১৮০ পরিবারের সদস্যদেরকে সিআইসি অফিসের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। তারা টেকনাফ সড়ক ও জনপদের রেস্ট হাউসে নদী নিবাসে যায়।সেখানে তাদের সাথে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেয়।
কক্সবাজারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য ৩২ সদস্যের একটি মিয়ানমারে প্রতিনিধি দল সকালে টেকনাফে পৌঁছেন। এখনো তাদের সাথে মতবিনিময় চলছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রথম তালিকার ১৬৮ পরিবারের ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার শেষে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম ২২ মার্চ (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে নাফ নদ থেকে টেকনাফ চৌধুরী পাড়ার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকার যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল টিম ১৫ মার্চ সকালে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিঘাট হয়ে বাংলাদেশে আসে।
মিয়ানমারের কাছে পাঠানো প্রথম তালিকাটি থেকে গত সাতদিনে ১৬৮ পরিবারের ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া শেষ করেন। যাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে তাদের থেকে বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে জন্ম নেওয়া ওই পরিবারের শিশুদেরও নথিভুক্ত করেছে টেকনিক্যাল টিম।
অনলাইন ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ ৯জুন রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় শপথগ্রহণ করেন তিনি। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী।
রাষ্ট্রপতি মোদী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যান্য নেতাদেরকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মোদীর পরই শপথ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। পাশাপাশি তার মন্ত্রিপরিষদের আরও কয়েকজন সদস্যও শপথ গ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। কেবল বিদেশিই নয়, ভারতের রাজনৈতিক নেতাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি অনুষ্ঠানে যাননি। ওদিকে, চলচ্চিত্র তারকারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
শপথের আগে সকাল সকাল মোদীকে গিয়েছিলেন রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধের সামনে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সৌধ ‘সদৈব অটল’-এর কাছেও গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তিনি।
মোদীর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজ সাজ রব ছিল দিল্লিতে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় রাজধানী। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কারণে দিল্লির আকাশসীমাতেও রোববার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৯২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এনডিএ সরকার গড়লেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে তারা চাপে রয়েছে।
সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপি’কে শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এনডিএ শরিকরা মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি শপথ নিলেন। রোববারই সরকার গড়ার কথা রয়েছে এনডিএ’র।
শপথ নেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী বলেছিলেন, “সকালে এনডিএ জোটের সব শরিক আমাকে নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতিকে তা জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি এরপর আমাকে ডেকেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারপরই আমি সন্ধ্যায় শপথগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি।”
এনডিএ-কে জয়যুক্ত করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, “এনডিএ-কে তৃতীয়বারের মতো দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাইৃ আমি এও বলতে চাই, গত দুই মেয়াদে দেশ যে গতিতে উন্নতি করেছে এবারও আমরা একই গতিতে একই দিশায় কাজ করে যাব।”