চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের সর্বশেষ জনসভায় জনতার বাঁধভাঙ্গা স্রোত।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশিষ্ট শিল্পপতি (সিআইপি) সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, লন্ডন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হক, সির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম (গরীবুল্লাহ সেলিম), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সকল ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হলে আজীবন আপনাদের কল্যানে কাজ করব। তিনি বলেন আমি বিজয়ী অনুকরণীয় নাসিরনগর প্রতিষ্ঠা করবো। হয়রানিমূলক মামলা নিরসনসহ নাসিরনগরের বিশ্বমানের হাসপাতাল নিমার্ণ ও শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক যুবতীকে চাকরির ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন এবারের নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার সারা বিশে^র কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ^ দরবারে নির্বাচন নিয়ে হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিলের ইজারা নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামনে আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসন আমাদের লিজের ৮২৮ একর জলাশয় বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় ছোয়াব মিয়া ও তার লোকজন বিলে আমাদের মাছ ধরতে দেয়না। বিলে থাকা আমাদের ঘর ও মাছ ধরার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চন্দ্র দাসের অভিযোগ, এই বিলে মাছ ধরতে না পারি তাহলে আমাদের কয়েক হাজার পরিবার না খেয়ে থাকতে হবে। আমাদের বাপ-দাদার পেশা মাছ ধরা। সেই পেশা যদি না থাকে তাহলে এদেশে কেমনে থাকুম। অভিযুক্ত ছোয়াব মিয়া জানান, আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে মাছ শিকার করছে তারা। বাধা দিলে উল্টো আমাদের ফাঁসানোর হুমকি দেয়। নিজেদের ঘর ও কিছু পুরনো জাল পুড়িয়ে আমাদের উপর দায় চাপাতে এই নাটক সাজিয়েছে।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউল সারোয়ার বলেন, জেলা প্রশাসন প্রায় ৮২৮ একর জলমহাল তিন বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু জায়গা ব্যক্তিমালিকানা আছে। তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বসেছি। কিন্তু কোন পক্ষই ছাড় না দেওয়ায় তার সমাধান হয়নি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের বলেন, জেলেরা আদালতে একটি মামলা করেছে। তদন্ত করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা যেন বিনষ্ট না হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হরিপুর ও পূর্বভাগ ইউনিয়নে ২৮ একরের বিল হুরল ফিসারী জলমহালের ইজারা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে নাসিরনগর জেলে পল্লীতে। এ নিয়ে স্থানীয় জেলে পল্লীর লোকজন ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। জেলে পল্লীর বাসিন্দাদের দাবি, সরকার থেকে ন্যায্য মূল্যে ইজারা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। চলতি ১৪৩১ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে ১৪৩৬ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত প্রতি বছর ছয় লাখ ৪৮ হাজার একশত ১৫ টাকা মূল পরিশোধ করার শর্তে তিন বছরের জন্য ইজারা নেয় ‘জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’।
স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ছোয়াব মিয়ার নেতৃত্বে কিছু লোক রাতের আধাঁরে বিলে থাকা জেলেদের ঘর ও মাছ ধরার জাল পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ২৭ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চন্দ্র দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নিখোঁজ হওয়ার ২০ঘণ্টা পর শিশু সুমাইয়া আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। আজ ৬ মে শনিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুমাইয়া ওই এলাকার মৃত আছমত আলীর মেয়ে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লা সরকার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুমাইয়া। আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের বাড়ি-ঘরে খোঁজাখুঁজির পর সুমাইয়াকে না পেয়ে গ্রামের মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তার নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়।
আজ শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত দোকানের ছাদে আম পাড়তে যায় স্থানীয় অন্য এক শিশু। তখন সুমাইয়ার মরদেহ ছাদের ওপর পড়ে থাকতে দেখে সে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মালেক মিয়া বলেন, সুমাইয়ার বাবা নেই। তার মা হোসনা বেগম নিজ বাড়িতে দোকান ঘর দিয়ে ব্যবসা করে পরিবার চালান। মায়ের দোকান ঘরের ছাদ থেকে আম পাড়তে যায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। আজ শনিবার সকালে তার লাশ দোকানের ছাদ থেকে নামানো হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, জানতে পেরেছি নিজ বাড়ির ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমাইয়া নামে এক শিশু মারা গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ৪০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্তসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১০টির মত খুঁটি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ট্রান্সমিটার। অনেক গাছ ভেঙে সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৬৫ হাজর গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
৫ মে রবিবার রাত থেকে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া, কুলিকুন্ডা ও মন্নরপুর এলাকার উপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়েছে। এছাড়া বেশকিছু দোকানপাট ও হাঁস, মুরগির খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি, ধনকুড়া ৪টি মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ১০টির মত খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে খুঁটি ও মিটারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা অফিসে যোগাযোগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুঁটি মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবারহের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে আজ ৭ জুন বুধবার সকালে নবীনগর পৌরসভা, ভোলাচং নতুন বাজার ও বাঙ্গোরা বাজারের মাংসের দোকান গুলোতে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ অনুযায়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ এর উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনা (ভূমি) মাহমুদা জাহান।
অভিযানকালীন ২ টি মাংসের দোকানে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার প্রন্যয়ন ছাড়া গরু জবাই করায়, নোংরা পরিবেশ থাকায় ও মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করায় মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া সব দোকানে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ, স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় রাখা ও ডাক্তারের প্রত্যয়ন নিয়ে গরু জবাই করার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।