চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে রাস্তা পারাপারের সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সামসু মিয়া (৫৭) নামে এক পথচারি নিহত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামসু বাড়িউড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুপুরে সামসু মিয়া সড়ক পারাপারের সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল বিশ্বরোডে মোড়ে নিত্যদিনের যানযট মুক্ত করতে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ ইট দিয়ে ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করেছে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। এতে নিত্যদিনের অল্প সময়ের জন্য যানযটও অনেকাংশে নিরসন হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অংশে বড় বড় গর্তে ইটের ভাঙ্গা সুরকি ও ইট দিয়ে ভরাট কাজ শুরু করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারগুব তৌহিদ, এস আই মোঃ সারোয়োর হোসেন, সার্জেন্ট সুজা ইসলাম, এএসআই মো: শাহিন মিয়া, এটিএসআই মৃণাল কান্তি দেব প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ের ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন যাতায়াত করে। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর জেলায় নির্মাণাধীন ফোরলেন মহাসড়কের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সড়কে খানাখন্দে ভরপুরে কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ। এতে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারগুব তৌহিদ বলেন, নির্মাণাধীন ফোরলেন মহাসড়কের প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টি পানি জমে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে বিশ্বরোড মোড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানযট। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় যোগাযোগ করে সংস্কারের জন্য বলেছি। রাস্তার সংস্কার কাজ দেরি হচ্ছে বলে হাইওয়ে থানা পুলিশ যানজট নিরসনসহ দুর্ঘটনা রোধে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত মহাসড়কে থাকা বিভিন্ন খানাখন্দ ও গর্তগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নিয়ে যাত্রাপথকে আরও নিরাপদ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ (অনূর্ধ্ব-১৭) ফুটবল প্রতিযোগিতার (অনূর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো.সায়েদ মিয়া, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির,সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন,উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্মকর্তা মো.মাহবুবুল হক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় সরাইল সদর ইউপি একাদশ বনাম কালিকচ্ছ ইউনিয়ন একাদশ।
খেলায় কালিকচ্ছ ইউনিয়ন একাদশ সরাইল সদর ইউনিয়ন একাদশ দলকে ট্রাইবেকারে ৩-২গোলে পরাজিত করে।
খেলার রেফারি ছিলেন, মো. শফিক মিয়া, সহকারী ছিলেন, আব্দুলাহ মতিন ও খন্দকার মাসুম বিল্লাহ। খেলার সার্বিক পরিচালনা করেন, সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ।
চলারপথে রিপোর্ট:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষে থেকে শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্লাস রুমে ঈদ সামগ্রী হিসেবে চাল, আলু, পেয়াজ, সেমাই, চিনি বিতরণ করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, উপজেলা ঠিকাদার সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম খন্দকার (সেলু), উপজেলা জাতীয় জাতীয় পার্টির সভাপতি হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ আলী, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রভাত প্রতিনিধি আবেদুর আর শাহীন, আমাদের সময় প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর মিয়া, এশিয়ান টেলিভিশন প্রতিনিধি আল মামুন খান, কালেবেলা প্রতিনিধি নারায়ণ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি মোঃ রিমন খান, ভোরের দর্পন প্রতিনিধি মাহবুব খন্দকার, অগ্রসর প্রতিনিধি ফাইজুল কবির, যায়যায় কাল প্রতিনিধি পারভেজ, দেশের কন্ঠ প্রতিনিধি শরীফ বক্সসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারুণ্যের যে রোড মার্চ শুরু হয়েছে তা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, “দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারকে আর কোন অশুভ শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না। এই আন্দোলন ডু অর ডাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলার জেলার ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে তারুণ্যের রোড মার্চের যাত্রাপথে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে উপস্থিত বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা হয়ে সিলেট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই রোড মার্চের নেতৃত্ব দেন।
এদিকে রোড মার্চকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেরর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল বিশ্বরোড ও কুট্টাপাড়া এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়। বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
বিশ্বরোড মোড়ে গাড়ি থেকেই নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এদিকে রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌছলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এস.এন তরুন দে সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রোড মার্চকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীর পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ ৩১ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটিতে ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। আর অটোরিকশাটিতে ছিলেন চালকসহ ছয়জন।
এ ঘটনায় মাহমুদা বেগম নামের অটোরিকশার এক নারী যাত্রীর ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদার শাশুড়ি আরজুদা বেগম (৩০), ভাশুর জজ মিয়া (৪২), অটোরিকশার অপর দুই যাত্রী আশেদা বেগম (৫০) ও সামিউল হক (১৮) এবং অটোরিকশার চালক (তাঁর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি)। তাঁদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সান্যাল ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।