চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে রাস্তা পারাপারের সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সামসু মিয়া (৫৭) নামে এক পথচারি নিহত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামসু বাড়িউড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুপুরে সামসু মিয়া সড়ক পারাপারের সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সৈয়দ শফিকুল ইসলাম (৭৫) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় খাজা গরীবে নেওয়াজ পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা (শরিফপুর) এলাকার সৈয়দ মুরতাজ মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় জেলা শহর থেকে বিশ্বরোড মোড়ে তার ছেলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে বিশ্বরোড মোড় খাজা গরীবে নেওয়াজ পাম্পের সামনে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাটিখাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ঘাতক মাইক্রোবাসটিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পানিতে ডুবে তায়িফ-(০৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত তায়িফ কালিকচ্ছ গ্রামের মোঃ ছাদেক মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কালিকচ্ছ গ্রামে তায়িফ ও তার ছোট ভাই বাড়ির পাশে ফুটবল খেলছিলো। খেলার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে বলটি পড়ে যায়। পরে তায়িফ বলটি আনতে পুকুরে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তারিফের ছোট ভাই বাড়িতে এসে সবাইকে জানালে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে সজীব মিয়া (২৯) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের তার নিজ বাড়ির ঘরের তীরের সাথে দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।মৃত সজীব উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় তার নিজ ঘরের দরজা ভিতর দিক থেকে বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে সজীবকে ঝুলন্ত অবস্থান দেখতে পান।
সজীব দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে পারিবারিক ভাবে জানা যায়। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এক বিবৃতিতে, জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারের বিজয়কে ‘ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবে’’ উল্লেখ করে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় তিনি সরাইল ও আশুগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার ভোটার এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি উপ-নির্বাচনে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, উপ-নির্বাচনটিতে রাজনৈতিক দল ভিত্তিক প্রার্থী বা প্রতিযোগীতা এবং শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নির্বাচনে উত্তাপ ছিলনা। সে কারণে ভোটারদের আগ্রহ ও কাক্সিক্ষত উপস্থিতি ছিলনা।
তবে, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে ‘বিএনপি’র নির্বাচন বর্জন বা প্রতিহতের ঘোষণা’ জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে বিএনপি একটি জনসমর্থন বিহীন ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাহফিল করার নামে আয়োজন করা গান-বাজনা বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বৈশামুড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশ জানায়, ফিরোজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি মাহফিলের কথা বলে গান-বাজনার আয়োজন করেন। এ আয়োজন কবরস্থানের পাশে হওয়ায় এলাকার লোকজন আপত্তি তুলেন। বিষয়টি ইউএনও এবং ওসিকে অবহিত করেন তারা। ফিরোজ মিয়াকে এ আয়োজন বন্ধ করতে ফোনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে কাজ না হলে এক পর্যায়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। লোক সমাগম বেশি হওয়ায় পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। এরই মধ্যে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন সেখানে অভিযান চালিয়ে গান বাজনা বন্ধ করে দেন। এ সময় ফিরোজ মিয়া পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় গান-বাজনার কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিস জব্দ করে নিয়ে আসে পুলিশ।