অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির আইনজীবীদের আদালত বর্জনকে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বলে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এর কোন মর্মার্থ নাই। কারণ হচ্ছে, আদালত আদালতের কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বিচার কার্যে মনোনিবেশ করছেন। আদালতকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে টেনে আনা আমার মনে হয় বিএনপির ভুল বা অন্যায়। আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন তামাশার নির্বাচন, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ নির্বাচনকে তামাশা বলছেন, তাদের বক্তব্যটাই তামাশা। কারণ হচ্ছে, জনগণ এ নির্বাচনকে মেনে নিয়েছেন এবং নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জনগণের এখনের কার্যকলাপে বুঝা যাচ্ছে। উনারা (বিএনপি) কথা বলে যেতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সঠিকভাবে তাদের অধিকার ব্যক্ত করবে।
এর আগে তিনি আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছে। এসময় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাঁকে স্বাগত জানায়। পরে তিনি সড়ক পথে কসবা উপজেলায় নিজ বাড়িতে যান।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
লাইসেন্স দেখাতে না পারায় ৮ স্বর্ণ ব্যবসায়িকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফয়সল উদ্দিন।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকার স্বর্ণের দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় ডিলিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ি রঞ্জিত বনিক, অসিম কুমার বিশ্বাস, রঞ্জিত পাল, আসিম পাল, কাজল চন্দ্র দাস, সুমিত বনিক, প্রদীপ সাহা, নান্টু বনিক নামে ৮ জন ব্যবসায়িকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফয়সল উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ব্যবসায় অনিয়ম ধরা পড়লে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের খড়মপুরে কেন্দ্র কমিটির অফিসে দোয়া ও মিলাদ পড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেকাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, কেন্দ্র কমিটির আহবায়ক আবুল হাসেম খান খাদেম, সদস্য সচিব মাজার কমিটির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম খাদেম, আওয়ামীলীগ নেতা মোবাশ্বের খাদেম শিরু, নওশের খাদেম, ছগির আহমেদ প্রমুখ।
দোয়া পাঠ করেন খড়মপুর মাজার জামে মসজিদের খতীয় হাফেজ মাওঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এসময় আনিসুল হকের সুস্থতা কামনা এবং তাঁর বিজয়ের জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এনপিপি’র শাহীন খান ও তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে হওয়া আমীর খা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার উপজেলার চানপুর গ্রামের আমীর খার স্ত্রী লাকী বেগম বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য দু’জন আসামী হলেন আখাউড়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার ও এস. আই আব্দুল হালিম। আদালত এক আদেশে এ সংক্রান্ত কোনো মামলা থানায় আছে কিনা এর নথি তলব করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তাকজিল খলিফা কাজল চানপুর এলাকার তার মালিকাধীন একটি বাড়িতে প্রায়ই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতেন। এ ঘটনায় বাঁধা দেন আমীর খা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ২০১৮ সালের ২১ মে আনিসুল হক ও তাকজিল খলিফার নির্দেশে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসে আমীর খানকে নিয়ে যান। ২৫ মে উপজেলার বনগজ এলাকায় আমীর খার লাশ পাওয়া যায়। দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করে এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে উপজেলার আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য মো. আনিছ মিয়াসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ছমিউদ্দিন। এর আগে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আল আমিন (৪৫), মো. ইয়াছিন(২৪), মো. জাকির হোসেন, হেলাল ভূইয়া, দুলাল ভূইয়া ও জালাল ভূইয়া।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে ডেভিল হান্টের অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘গুজবকাণ্ডের’ এক সপ্তাহ পর ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের বাস আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। বাসে দুই দেশের মিলিয়ে ২৪ জন যাত্রী ছিল।
৩০ নভেম্বর শ্যামলী পরিবহনের ওই বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ভারতের কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটিতে হামলা হয়েছে। ভারতীয় যাত্রীদেরকে গালমন্দ করা হয়। তবে একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাসের চালক মো. আসাদুল হক ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কারও কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে থাক কথাও হয়নি বলে তিনি জানান। অটোরিকশা চাপার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এসময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসের সঙ্গে চাপা খেয়ে সড়ক বিভাজকে আটকা পড়ে। এতে সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বলেন, ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর বাস নিয়ে আগরতলা থেকে এসেছেন। যাত্রাপথে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। বাসে ২৪ জন যাত্রী রয়েছে।