চলারপথে রিপোর্ট :
অবসরের বিষণ্নতা কাটিয়ে ৪০ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন আখাউড়া থানার পুলিশ সদস্য মো. মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই সংবর্ধনা দিলেন আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম।
৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে থানা চত্বরে পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়ার জন্য এই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার প্রদান করা হয়।
এ সময় আখাউড়া থানার ওসির গাড়িটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে কর্মস্থল থেকে তার নিজ বাস ভবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তালতলা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর আগে সহকর্মীরা ভালোবাসার সঙ্গে বিদায় দেন এই পুলিশ সদস্যকে। এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ওসির এমন আয়োজনে খুশিতে আÍহারা পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। এ আয়োজনে কর্মজীবনের শেষে এক সুখস্মৃতি দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বিদায়ি অশ্রুসিক্ত পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া জানান, চাকরি জীবনে আমি কখনো দায়িত্বে অবহেলা করিনি। এতোদিন দেখে আসছি বড় বড় পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদায় দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ পুলিশ সদস্যকে এভাবে বিদায় জানাবে কল্পনাও করিনি। আমি ধন্য, আমি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক জেলা প্রশাসকের সামনে জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে গাইতে না পারার ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো নতুন করে আলোচনায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার পরীক্ষার হলে বসে এক শিক্ষার্থী টিকটক করে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ে; যা ইতোমধ্যে ভাইরালও হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়।
যদিও ঘটনার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত এসএসসি পরীক্ষার্থী সাব্বির হোসেন ও তার অভিভাবককে ডেকে সতর্ক করেছেন মাত্র।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শশাংক রায় চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরীক্ষার হলে মোবাইল এলাও না। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের অভিভাবককে ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি আজ ৯ এপ্রিল রবিবার গণিত পরীক্ষার দিন হল থেকে অন্তত ১৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বসে তাদের ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আগত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষা চলছে। গত বৃহস্পতিবার ছিল ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা। ওই দিন শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন পরীক্ষা চলাকালীন হলে বসে টিকটক ভিডিও তৈরি করে তার ফেসবুকে আইডিতে আপলোড করে। পরীক্ষার হলে টিকটক ভিডিওর পনেরো সেকেন্ডের একটি ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়।
পরীক্ষার হলে ধারণকৃত টিকটক ভিডিওটিতে দেখা যায়, যেখানে পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ কেন্দ্রের ভেতরে বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের মাধ্যমে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে কোনো বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবার পরীক্ষার হলে বসে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও ধারণের প্রশ্নই উঠে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সম্প্রতি উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বিভিন্ন খোঁজখবর নেন। এ সময় শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক রাগান্বিত হয়ে ওই বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনের বেতন স্থগিত এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। মাঠে মাঠে ধানের সোনালি শীষে ভরে উঠেছে কৃষকের ক্ষেত। বাতাসে ঢেউ তুলছে সোনালি ধানের শীষ। এদিকে আগাম ধান কাটা-মাড়াই কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে আগাম আমন ধান কাটা শুরু হলেও আগামী ৮-১০ দিন পর পুরো দমে শুরু হবে ধান কাটা। একাধিক কৃষক জানান, এ মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তারা হাল ছড়েনি। পুনরায় জমি আবাদ করে ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণির চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন আবাদে প্রায় ৪ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমন ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়। রোপনকৃত জমিতে ব্রি-৭৫, ৮৫, ৮৭, ৯৩, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ১০৩ জিআর ২২সহ নানা জাতের উন্নতফলনশীল ধান আবাদ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ক্ষেতে সবুজে সমারোহ হয়ে আছে। ইতিমধ্যে জমিতে ধানের শীষ বের হয়ে পাকতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন জমিতে আগাম ধান শুরু হয়েছে। ধানকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা নানা রকমের স্বপ্ন বুনছেন। সকাল বিকাল তারা যেন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে জমিতে ফলন ভালো করতে নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তারা তদারকি করেন। সেইসাথে তারা রোগ বালাইয়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে উৎসাহিত করেন। এ মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ আরও জানায়, আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি ও সরিষা চাষ করতে পারবে কৃষকরা। বাড়তি ফসল করলে এতে তারা লাভবান হবেন। কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এ মৌসুমে তিনি ৫ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ দিয়ে আমন ধান রোপন করা হয়। সব জমিতে ধানের শীষ এসেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। এরমধ্যে আগাম জাতের ১ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। এতে বিঘায় ২০ মন ধানের ফলন পেয়েছি। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বাকি জমির ধান কাটা হবে। বাজারে যদি ধানের দর ভালো থাকে তাহলে বিক্রিতে লাভবান হবো। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেন, আমন ধান আবাদে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষষদেরকে পাঁচ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। আমন ফলন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। উপজেলার সর্বত্রই আমনের ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পুষ্প স্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান, পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬ জন দুঃস্থ ও অসহায় মহিলাকে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেসিন বিতরণ করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নুরুল্লাহ, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শিপ্রা নাথ, সমবায় কর্মকর্তা দুবরাজ রবি দাস, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুৎফুর রহমান।
উল্লেখ্য, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেনু। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহলদল আব্দুল্লাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
আটক ভারতীয়রা হলেন, পান্না রানী দেব (৫৪) ও তার ছেলে অভি দাশ (১৮)। বিজিবি জানায়, তারা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী ও সন্তান।
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা ৭ দিন আগে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানবপাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকে পান্না রানী দেব কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানবপাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস এর কাছ দিয়ে তারা ভারতে ফেরত যাচ্ছিলেন বলে জানায় বিজিবি। আটক ভারতীয় ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।