আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 4 January 2024, 784 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

banner

৩ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার দেশের পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন। বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে এসব জনসভায় যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুরের গাইবান্ধা, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা জেলা ও উত্তর-দক্ষিণ মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

আখাউড়ায় রেললাইনে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা

আখাউড়া, জাতীয়, 18 January 2024, 1391 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কোনো রকমে ঠেলা ধাক্কায় ওপরে ওঠা। এরপর শুরু একের পর ঝাঁকি। মোট ৩৬টা। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘ইস’ আর ‘উফ’ আওয়াজ।

banner

বেশি বেকায়দায় পড়লে শোনা যায় হায় হায় শব্দ। পড়ে গেলাম পড়ে গেলাম বলে চিৎকার। দৌড়ে এসে রক্ষার চেষ্টা। রেললাইন ১২টা, ডুয়াল গেজের।

একেকটায় তিনটি করে রেলপাত। সেই হিসাবে মোট ৩৬টি পাত পার হওয়ার সময় প্রতিবারই বেশ ঝাঁকি লাগে। এতে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রেল ওভারপাসটি ওঠার সময়ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার লাল বাজারের একটি লেভেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ লেভেলক্রসিং পার হয়েই যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লেভেলক্রসিংয়ের পরেই রয়েছে বড় বাজার নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ ছাড়া জেলা সদর ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ লেভেলক্রসিং পার হয়ে এলাকায় যান।

সরজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালবাজার নামে এলাকার শেষ হতেই লেভেলক্রসিং শুরু।

এক থেকে দেড় শ গজ পার হয়ে ওপারে বড় বাজার। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়াল গেজ প্রকল্প নির্মাণের আগে তিনটি রেললাইন পার হয়ে এপার-ওপার যাওয়া যেত। আর এখন মোট ১২টি রেললাইন বসানোয় এটি পার হতে বেগ পেতে হয়। প্রতিটি রেললাইনের পরের জায়গা বেশ উঁচু-নিচু। এ ছাড়া নতুন রেললাইন অনেক উঁচুতে নির্মাণ হওয়ার সেটি সড়ক থেকে বেশ উঁচুতে। যে কারণে ঠেলা-ধাক্কায় যানবাহন ওঠাতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। কখনো মালবাহী অনেক যান এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশতের বেশি ট্রেন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে একটু পর পর বেরিয়ার ফেলে রাখা হয় এ লেভেলক্রসিংয়ে। এতে হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে যাওয়া রোগীরা অনেক সময় আটকা পড়ে যান। লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে বেশ ঝাঁকি লাগে বলে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন চালকরা এ পথ দিয়ে যেতেও চান না।

দুর্ভোগের বিষয়টি এ প্রতিবেদক একাধিবার নিজেই দেখেন। যানবাহন চড়তে দুর্ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদক একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে। রাধানগর চৌরাস্তা মোড় থেকে ওই লেভেলক্রসিংয়ে হয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে ঠিকই দুর্ভোগে পড়তে হয়। লেভেরক্রসিংয়ে ওঠার সময় এ প্রতিবেদকের অটোরিকশা আটকে যায়। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি পেছন দিকে নামতে থাকলে অস্থায়ী বেরিয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক যুবক টেনে ধরেন।

লেভেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল, একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং জেলা সদর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সড়ক থেকে রেললাইন অনেক উঁচু হওয়া ও অনেকগুলো রেললাইন পার হতে হয় বলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগের শিকার এলাকার মানুষ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস করার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেবেন।’

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ করেন। নতুন রেলপথ নির্মাণ হওয়ার পর থেকে চলতে গিয়ে তাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে হাড়ভাঙা রোগী, গর্ভবতী নারীদের বেলায় সমস্যা হচ্ছে বেশি। এ পথ ছাড়া হাসপাতালে আসার কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই। জনগণের সমস্যার কথা চিন্তা করে এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের জন্য এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’

এ বিষয়ে লাকসাম-আখাউড়া ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রেললাইন পার হতে গিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি এলাকাবাসী বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। তবে যত দূর জানি পরবর্তীতে আখাউড়া-সিলেট ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ কিংবা অন্য প্রকল্পে চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাস কিংবা একটি আন্ডারপাসের পরিকল্পনা থাকতে পারে।’

১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ১১৭তম ড্র অনুষ্ঠিত

জাতীয়, 31 October 2024, 340 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
একশ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৭তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর ০৮০৬৯৬৪। আর তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা বিজয়ী দ্বিতীয় নম্বরটি হলো ০১৪৪৩৭০ নম্বর।

banner

আজ ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলনকক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাইজবন্ডের তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী এক লাখ টাকা করে দুটি নম্বর যথাক্রমে ০৩০৭৯৭৩ ও ০৯২২৪৩২। আর ৫০ হাজার টাকার চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী নম্বর দুটি যথাক্রমে ০৫৭৮৩৬৬ এবং ০৯৮৯৬৭৬।

এবার প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের মোট ৮১টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হন। একক সাধারণ পদ্ধতিতে এই ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো- কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল,গশ গষ, গপ, গস, গহ , ঘক, ঘখ এবং ঘগ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।

এবারের ড্র’য়ে পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন ৪০ জন বিজয়ী। তাদের নম্বরগুলোর মধ্যে রয়েছে- ০০৩১১১৫, ০১৯১ ১৯০৮৫, ০৩৩৪২৮২, ০৫৪৪১১৫, ০৭৯০৪৩১, ০০৪১৬৯২, ০২১২১৭৬, ০৩৩৫৩৪৯, ০৫৫৯৭১৩, ০৭৯৬০৯০, ০০৪২৮৩৬, ০২২১৯৪৭৬, ০৩৫৪২৭৭, ০৫৮০৩৫০, ০৮৫১২৪২, ০১৫১৩৮৫, ০১৫২১৫০, ০২৩৯০৪৩, ০৩৫৫৯২২, ০৩৭২৯০৫, ০৫৮১৬৩৪, ০৮১৮৭৬৯৪৬, ০৬১৩১৪৯, ০৮৮৫৬২৮, ০১৫৪৮৭৩, ০২৭৯৫৩২, ০৩৭৬৭৯৪, ০৬৮৮৮৩৮, ০৮৯৭৭৯৩, ০১৫৬৮৩২, ০২৯৬৭০৪, ০৪৬৩৬৩৪, ০৭৩৮৩৪১, ০৯৮৭১১৯, ০১৮৪৪৯৯, ০৩০৫০৮২, ০৪৮৫৫৯৫, ০৭৪৯৯৩৬ এবং ০৯৯৭২০৬ নম্বর।

হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন

জাতীয়, 7 May 2024, 557 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি প্রাইভেটকারে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পরই চালকসহ গাড়িতে থাকা দুই জন দ্রুত বেরিয়ে আসায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

banner

আজ ৭ মে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্মরত সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান জানান, হঠাৎ একটি প্রাইভেটকারে আগুন জ্বলতে দেখি। এ সময় পথচারীদের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুন লাগার পর চালকসহ দুইজন দ্রুত নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আগুন নেভানোর পর গাড়িটিকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান আশিকুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন’ হস্তান্তর করলেন গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয়, 1 July 2024, 494 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। গত ২৮ মে নাগাসাকির পিস পার্কে পিস মনুমেন্ট, ‘ওরে বিহঙ্গ মোর’ উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। এ উপলক্ষে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি শিরো ‘সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন’ প্রদান করেন। আজ ১ জুলাই সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে ওই সার্টিফিকেটটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।

banner

আজ শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস

জাতীয়, 27 November 2024, 303 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২৭ নভেম্বর বুধবার শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস। শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্তবাহিনীর গুলিতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নির্মমভাবে নিহত হন। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

banner

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডা. মিলন। সংগ্রামী মানুষের পথিকৃৎ মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব এবং স্বৈরাচার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি আন্দোলনের মধ্যমণি। তার শাহাদতকে কেন্দ্র করে চলমান গণআন্দোলন দুর্বার গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

বাণীতে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ডা. মিলন যেদিন শহীদ হন সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু আবার গত দেড় দশকে দেশে নতুন এক স্বৈরাচার জেঁকে বসে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে।