নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

রাজনীতি, 4 January 2024, 281 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ফটিকছড়ি আসনের ফুলেরমালা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

৪ জানুয়ারী নিজ বাসভবনে আয়োজীত এক বিশেষ প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যে এ ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন, ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় মূল্যবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ)’র পক্ষ হতে আমি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি সহ সর্বমোট ৪২ জন প্রার্থী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছি।

সংবিধান রক্ষার এই নির্বাচনে আমিসহ বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ)’র অন্যান্য প্রার্থীগণ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও গনসংযোগ পথসভা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আমেজে আমরা আমাদের কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে চালিয়ে আসছি।

আপনারা জানেন যে, আমার নির্বাচনী এলাকা ২৭৯, চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়িতে বিগত ১৮ জানুয়ারী হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমাদের দলীয় প্রতীক “ফুলের মালা” মার্কার সমর্থনে ব্যাপক গনসংযোগ ও পথসভা হয়েছে। ফটিকছড়িবাসীর অকুন্ঠ ভালবাসায় বাগানবাজার হতে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ১৮টি ইউনিয়ন ও ০২ টি পৌরসভার জনসাধারণের ভালবাসা ও সমর্থনে আমি আবেগে আপ্লুত হয়েছি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪ দলীয় জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানিয়ে ও ফটিকছড়ির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে আমি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সরকারের কোন অসুবিধা হতে পারে এমন কিছু করতে চাইনা।নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফটিকছড়ি আসন থেকে সরে দাড়ালাম, দেশের অন্য আসনগুলোতে আমাদের প্রার্থী থাকবে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সবাই আমাকে ভালবাসে, ফটিকছড়িবাসীও আমাকে ভালবাসে।

আমি ফটিকছড়িবাসীর সাথে সবসময় সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম, আছি ও থাকবো।

এতে উপস্থিত ছিলেন, তরিকত ফেডারেশনের নেতা সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মোহাম্মদ শাহজালাল, আলমগীর আলম, মওলানা কাজী নিজাম মোরশেদ প্রমুখ।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী Read more

একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি…

চলারপথে রিপোর্ট : ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, Read more

সন্ধ্যা রাতে নেশাসক্তদের আড্ডা, দেয়াল ভেঙ্গে…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি চর্চার প্রধান অঙ্গন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ Read more
ফাইল ছবি

চিকিৎসা শেষে শেষে কাজে ফিরেছেন ড.…

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Read more

কবির কলম এর ১৫ বছর পূর্তিতে…

চলারপথে রিপোর্ট : সাহিত্য সংগঠন কবির কলম এর ১৫ বছর Read more

সাংবাদিক আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্মরণে দোয়া…

চলারপথে রিপোর্ট : জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী Read more

বিজয়নগরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে পুরস্কার…

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কলেজ) নির্বাচিত Read more

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ৯ ঘণ্টা পর…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দীর্ঘ Read more

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আযহায়…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা Read more

৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য Read more
ফাইল ছবি

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পরিবর্তন

আশুগঞ্জ, জাতীয়, রাজনীতি, সরাইল, 3 January 2023, 2844 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ আসনে নির্বাচন করার জন্য তিনিসহ আরও দুজন আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর এ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঞার নাম ঘোষণা করেছিল জাতীয় পার্টি। ঘোষণা করা নতুন প্রার্থী আবদুল হামিদ সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব। তবে এ আসনে জাতীয় পার্টি–সমর্থিত আরেক প্রার্থী রেজাউল ইসলামের শ্বশুর পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক উপদেষ্টা জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম, জাকের পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টিসহ ১২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মঙ্গলবার নতুন করে আরও দুজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টি থেকে নতুন করে মনোনয়ন পাওয়া আবদুল হামিদ ভাসানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম।
গতকাল মঙ্গলবার নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির উপনির্বাচনের বোর্ডের সিদ্ধান্তে সংসদ উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আবদুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘দল এ আসনের সংসদীয় উপনির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। কেন পরিবর্তন করেছে, সেটি দলই ভালোই বলতে পারবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করব কীভাবে। তবে দল যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা তাঁর পক্ষেই নির্বাচন করব।’
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী বলেন, ‘আমি ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলাম। আমি দলীয় প্রতীক পেয়েছি। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করব। জিয়াউল হক মৃধা ও রেজাউল ইসলাম আমাকে নির্বাচনে সহায়তা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।’
তবে এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির আরেক নেতা জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় কোনো প্রার্থী নেই। রওশন এরশাদ আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিতে চাইছেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পেতে আইনগত জটিলতা রয়েছে। তাই এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ আসনের সাধারণ মানুষ আমাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছে। তাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। দল যাঁকেই মনোনয়ন দিয়ে থাকুক না কেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। আমি জাতীয় পার্টির নতুন প্রার্থীর সঙ্গে কোনো কথা বলিনি।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী ছিল না। মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন রেজাউল ইসলাম ভূঞা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মঈনউদ্দিন মঈন ও জিয়াউল হক মৃধা। তবে মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞাও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। নির্বাচনের দুই দিন আগে তিনি তাঁর শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধার সম্মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলীয় পদত্যাগপত্র জমা দেন এই আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন পাঁচবারের সংসদ সদস্য প্রবীণ এই নেতা। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে। দলীয় কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করে আসনটি উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ।

বর্তমান অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই

জাতীয়, রাজনীতি, 25 September 2023, 797 Views,
ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনের কোনো পরিবর্তন আনতে হলে, আগে শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। তাকে বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে বর্তমানে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নাই।

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন তিনি।

এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষ র‍্যাপোটিয়ার আইরিন খান।

আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) এর ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আগে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটাকে বাতিল করতে হবে। তার পরে অন্য বিবেচনা করা যাবে।

তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, উনাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে যাওয়ার আবেদনটা প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপরই নির্ভর করে এই ব্যাপারটা। কারণ হচ্ছে এটা আইনের ব্যাপার।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আইনের যে অবস্থান এখন, সেই অবস্থানে ইট ইজ অ্যা পাস্ট ট্রানজেকশন। আমার মনে হয়, আইনের সেই অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমাদের (স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের) মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কারভাবে আবারও বলছি, যদি কোনো আবেদন আসে; সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি। খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, ৪০১ ধারায় উনাকে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশে দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়। যা তিনি মেনেছেন।

সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা সেভাবে হবে : আইনমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 2 May 2023, 1542 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি উদ্ভট উদ্ভট কথা বলে। যে আইন আমাদের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করে দিয়েছে। যে আইন সংসদে পাশ করে উল্টাইয়া গেছে ওই টেক ব্যাক থিউরি থেকে এখন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আখাউড়ায় উপজেলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না। তারা নকল করায় ওস্তাদ। তারা আমেরিকা থেকে টেক ব্যাক থিউরি এনেছে। তারা বলছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তার মানে হচ্ছে বিএনপি আমাদেরকে যে আস্তাকুড়ে রেখেছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে সব মুছে দিয়ে আমাদের সেই গর্তে ভরতে হবে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা সেভাবে আগামী নির্বাচন হবে। তার এক ইঞ্চি তারতম্য হবে না।

বিএনপির টেক ব্যাক বাংলাদেশের সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশের মেহনতী মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এখন টেক ব্যাক বাংলাদেশ হলে তাহলে তো পদ্মা সেতুন ভাঙতে হবে। ওই নদীতে সেতু থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এগুলো অন্ধকার করে দিতে হিবে। যে রাস্তাঘাট হয়েছে, সবগুলো সড়কে ড্রেন কাটতে হবে। কারণ টেক ব্যাক বাংলাদেশ।

রেলওয়ে স্টেশন সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইবনে মাসুদ খলিফা লাকসু।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির খান, ধরখার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি হাবিবুল্লা বাহার সাচ্ছু, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল, উপজেলা ভ্যান শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমজি হাক্কানি, এম এ আজিজ, মনির হোসেন বাবুল, মো. সেলিম ভূইয়া, সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 23 June 2024, 319 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ জন প্রবীণতম নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

আজ ২৩ জুন রবিবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জমকালো ও বর্ণাঢ্য এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সম্মাননাপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার।

সম্মাননাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, মুসলিম মিয়া, আবুল কালাম ভূঞা, অ্যাড. হামিদুর রহমান, গোলাম ইসহাক, হেবজুল বারী, নিয়াজ মুহাম্মদ খান, আলী আকবর, আবদুল মতিন দারু, কাজী হারিছুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন, আবদুল হাই মাস্টার, কার্তিক চন্দ্র দাস, ফুল মিয়া ভূঞা, মিসেস মিনারা আলম, মিসেস মমতাজ বাশার, মিসেস রেহেনা বেগম রানী, অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার, ডা. রাফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. আজিজুর রহমান, অসীম কুমার পাল, নজির শাহ, মফিজ উদ্দিন, মো. আবদুর রহিম খান, হাজি মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সত্তরোর্ধ নেতাদের ফুলের তোড়া, মেডেল, ক্রেস্ট ও শাল উপহার প্রদান করা হয়।

সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হাজি মুজিবুর রহমান বলেন, ৭৫ এর পর আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। আজ আজীবন সম্মাননা পেয়ে মনে হচ্ছে তখনকার বাড়ি পোড়ানো আজ সম্মান আর মর্যাদা এনে দিয়েছে।

নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ডা. রাফি উদ্দিন বলেন, জীবনভর আওয়ামী লীগ করে বয়সের শেষ সময়ে এসে যে সম্মান জেলা আওয়ামী লীগ দেখালো তা আমৃত্যু প্রেরণা যোগাবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ ২৫ জন নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তারা বুঝতে পারবে দলের প্রতি সবসময় অনুগত থাকলে, অবিচল আস্থা রেখে দলের কাজ করলে একসময় না একসময় সম্মান আসে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ো অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই-সংগ্রাম আর এগিয়ে চলার ইতিহাস। আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় স্ফীংসের মতো আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অগ্রসর চিন্তার আরেক নাম। তাই যতোদিন বৈষম্যহীন সমাজ, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততোদিন আওয়ামী লীগের সংগ্রামশীলতা চলবে। তিনি আরো বলেন, প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই তেমনি আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।

জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আজীবন সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে সকাল ৬ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা

আশুগঞ্জ, রাজনীতি, সরাইল, 3 January 2023, 2096 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর জাতীয় সংসদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার ও এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় ও গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে তাকে সরাইল ও আশুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। এর আগে গত রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিস থেকে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাদ মোহাম্মদ রশিদ নামের তাঁর এক আত্মীয়। জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া উপ-নির্বাচনে অংশ নিবেন।
এদিকে সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলা বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে সরাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। একই সময়ে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও সংবাদ সম্মেলন করে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে আশুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এই আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির অন্যান্য এমপিদের সাথে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ১৮দিন পর তিনি গত বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা -১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া দলের মনোনয়ন পাননি। ওই আসন থেকে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে টেকনোক্রেট কোটায় প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে সরাইল উপজেলায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকেই সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আশুগঞ্জ উপজেলায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে দল থেকে বহিস্কারের বিষয়টি কেন্দ্র থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের কারনেই দল থেকে তাকে বহিস্কার হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি উকিল সাত্তার ভূইয়ার জন্য দল কম করেনি। তিনি বিএনপি থেকে ৫ বার এমপি ও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমান সময়ে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া বিএনপির সাথে বেঈমানি করেছেন। তার কোন আদর্শ নেই। তিনি নষ্ট হয়ে গেছেন।