চলারপথে রিপোর্ট :
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাগজিখোলা এলাকায় কুল চাষে স্বাবলম্বী ওরা ১০ বেকার যুবক। ১ হাজার ৫ শত কুলগাছ রোপণ করে মৌসুমে আয় করছেন প্রায় লাখ লাখ টাকা।
এক সময়ের বেকার ১০ যুবকদের এমন সাফল্য সাড়া ফেলেছে এলাকায়। তাদের এ সাফল্য দেখে অন্যরাও ঝুঁকছেন কুল চাষে।
বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে ইউটিউব দেখে কৃষি ক্ষেত্রে কিছু করা যায় কিনা ভাবতে থাকেন সাজোয়ার, কামাল,নেজাম উদ্দিন, আবদুস শুক্কুর,শাহ আলম,সাদেক ও ওমর ফারুকসহ বেকার ১০ যুবক।
তৎকালীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করেন এবং তার পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমে পড়েন কুল চাষে। নিজেদের পর্যাপ্ত জমি না থাকায় ২০২০ সালে ৫ একর জমি ইজারা নিয়ে কাশ্মীরি কুল,ভারতী সুন্দরী কুল ও বল সুন্দরী কুল চারা নিয়ে শুরু করেন কুল চাষ। ২০২০ সালের শুরুতে রামু ঈদগড় এলাকার এক বাগান থেকে সংগ্রহ করেন ৩ প্রজাতির কুল গাছ।
গত ২ বছর তেমন লাভবান না হলেও গত বছরের চেয়ে এবছর ফল ধরেছে সব গাছে। গাছে গাছে দুলছে থোকায় থোকায় কুল। আকার, স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেশ। প্রথমে ১২০ টাকা কেজি করে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। এখন বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার কুল বিক্রি হচ্ছে।
সাজোয়ার, কামাল জানান বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩ মাস( কুল) বড়ই বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন সরকারী ভাবে যদি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা থেকে সহযোগিতা বা পরামর্শ পাওয়া যেত তাহলে বছরের ৫০ লাখ টাকার উপরে কুল বিক্রি করা সম্ভব হত। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের কোন সহযোগিতা পরামর্শ তারা পাচ্ছেন না বলে জানালেন।
নেজাম উদ্দিন বলেন,৫ একর জমি বার্ষিক ১ লাখ টাকা ইজারা নিয়ে এই কুলবাগান গড়ে তুলেছি। এখানে ৩ ধরনের কাশ্মীরি কুল, বনসুন্দরী কুল ও ভারতী সুন্দরী কুল আছে। ফলন দেখে তিনি অনেক খুশি।
তিনি আরও জানান, প্রথমে মাছ চাষ করতে গিয়ে লোকসান হলেও এখন কুল চাষ করে তা পুষিয়ে নেওয়া গেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই কুল কিনে নিয়ে যান এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকেরা প্রতিদিন বাগান থেকে কুল নিয়ে যায়। এই বাগানের বাউকুল খুবই মিষ্টি। তাই চাহিদাও বেশি। জেলার চাহিদা পূরণ করে এই বাগানের কাশ্মীরি কুল সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। লাভবান হওয়ায় গ্রামের অনেকে বিষাক্ত তামাক চাষ ছেড়ে বাউ কুল চাষে এগিয়ে আসছেন।
এসব দেখে এলাকার কয়েকজন বেকার যুবকদের নিয়ে শুরু করেছেন নতুন করে কুল চাষ। তাদের বাগানে আগামী বছর থেকে কুল উৎপাদন শুরু হবে বলে জানালেন।
বর্তমানে নেজামসহ ৩ শ্রমিক নিয়ে পুরো বাগানের পরিচর্যা করেন। কুল চাষীরা জানান, আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবছর বাগানে পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে বেশী আয়করা সম্বভ। পাশাপাশি উক্ত জায়গার কুল গুলু রসালু ও সুস্বাধু। তাই এফলের চাহিদা ও বেশী।
এবিষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, বিষয়টি তাদের নয়। তাই কুল চাষীদের কে আমাদের পক্ষ থেকে কি করে সহযোগীতা করব। তার পরেও সরজমিনে পরিদর্শন করে কৃষককদের সাথে পরামর্শ করে আরো যাতে ভালো করা যায় সেটির বিষয়ে খেয়াল করবো।
কুল চাষীদের দাবী সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা না পেলে ও কৃষি অফিসারদের সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে আমরা আরো এগিয়ে যেতাম।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার। মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনে এক হাজার ৭৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি।
এর মধ্যে সরাসরি ১০৬০ জন, আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি জানান, এতে দলটির আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে ২১৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৮টি, সিলেট বিভাগ ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৬৯টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। ওই স্কুল ছাত্রীকে তার প্রেমিক বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতে বসেই আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৫) তার বাড়ির পাশের দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। এ সময় ইব্রাহিম মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে।
সম্প্রতি ইব্রাহিম মোল্লার পরিবার তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাত্রী দেখে। এ খবর পাওয়ার পর ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রী ইব্রাহিম মোল্লার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ওই স্কুল ছাত্রী বলেন, গত ৩ বছর ধরে ইব্রাহিমের সাথে প্রেম করছি। এ সময় সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইব্রাহিম আমাকে বিয়ে না করলে এই বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।
ইব্রাহিম মোল্লার চাচি রাজিয়া বেগম বলেন, মেয়েটি ২ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে এই ২ দিনে সে কিছুই খায়নি। আমরা তাকে খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছি। এভাবে সে না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমরা মেয়ের বাবাকে বলেছি, তিনি যেন তার মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।
ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, ইব্রাহিম মোল্লা যে কাজ করেছে তাতে সমাজে আমার মুখ দেখাবার অবস্থা নেই। আমি চাই ইব্রাহিম মোল্লাই আমার মেয়েকে বিয়ে করুক। আর সে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
ইব্রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকছেদ আলী শেখ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে সামাজিক ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আজ দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৪ জানুয়ারি সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর বনানী করবস্থানে কোরআন তিলাওয়াত ও আরাফাত রহমান কোকোর করব জিয়ারত করবেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। এদিকে বাদ আসর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল হবে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (ভার্চুয়ালি) ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৯ সালে জিয়াউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় চলে এলে কিছুদিন জয়দেবপুরে থাকার পর বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বাস করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন কোকো।
এ ছাড়া ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্যাংককে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শর্মিলা রহমান তাবাসুম, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুকুরে পানিতে ডুবে চাচাত ভাই-বোন দুই শিশু মারা গেছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের মবফারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশু হলো ওই এলাকার ওবায়দুল হকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে রহিমা বেগম এবং আবু তালেবের দুই বছর বয়সী ছেলে সাইদ মিয়া। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির বাইরে ওই দুই শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে পুকুর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতনের শিকার সেই শিশুটি মারা গেছে। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির বৃহস্পতিবার সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।