চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রাম আমতলী বাজার এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে এক ব্যক্তির গলিত (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
আখাউড়া থানার এএসআই হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন ডোবাতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির পরনে শার্ট ও লুঙ্গি রয়েছে। তবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার। এবছর আখাউড়া উপজেলায় এসএসসি’র গড় পাশের হার ৫৬.০২%। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। দাখিল পরীক্ষায় শতকরা পাসের হার ৭২.৮৭। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৩ জন। এছাড়া একটি ভোকেশনাল টেক্সটাইল স্কুলের পাসের হার ৮৭.৫০%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। এবার আখাউড়া উপজেলায় ব্যাপক ফল বিপর্যয় ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য করোনা মহামারির প্রভাব এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনকে কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষা প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৭১৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৬৭জন। শতকরা গড় পাসের হার ৫৬.৩২। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ জন। ১০টি জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় শীর্ষে রয়েছে ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ। তাদের পাসের হার ৫৪.৭৮। এরপরে রয়েছে আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৬৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১২৩ জন। শতকরা গড় ৭৫.০০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯জন। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া সত্বেও ৬টি জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থানে রয়েছে তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের শতকরা গড় পাসের হর ৬০.২৮।
এছাড়া আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২২ জন। শতকরা গড় পাসের হার ৭৪. ০০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হয়েও ফলাফলে হতাশ করেছে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। গড় পাসের হার ৫৪.৫৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন।
এছাড়া হীরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৫৬.৮২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গড় পাসের হার ৪১.৯৪, আমোদাবাদ শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ৫৪.২৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় ৬১.১১%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন, কর্মমঠ উচ্চ বিদ্যালয় ৫১.৬৯%, জিপিএ-ফাইভ ১জন, মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ২৭.২৭%, ছয়গড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ১৯.৫০%, নুরপুর রুটি উচ্চ বিদ্যালয় ৪০.০০% গোলখার উচ্চ বিদ্যালয় ৫৩.৭৬% এবং ভাটামাথা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতকরা গড় পাসের হার ২৮।
এদিকে উপজেলার ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮৮জন। শতকরা গড়ে ৭২.৮৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেবগ্রামের একজন অভিভাবক বলেন, দেবগ্রাম স্কুলে ঠিকমতো ক্লাশ হয় না। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার খোঁজ খবর নেয় না। শিক্ষকদের মধ্যে গ্রæপিং আছে। আন্তরিকভাবে পাঠদান করায় না। যার খেসারত দিচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন, এবছর প্রথম বারের মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। পরীক্ষার্থীরা ক্যামেরায় অভ্যস্থ না হওয়ায় কিছুটা নার্ভাস হয়ে যায়। ফল খারাপের জন্য আমরা শিক্ষকরাও দায় স্বীকার করি। তবে ভবিষ্যতে যাতে ফল বিপর্যয় না ঘটে সেজন্য ইউএনও স্যার এবং শিক্ষা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, করোনা মহামারির জন্য ছেলে মেয়েরা ২ বছর স্কুলে ক্লাশ করতে পারেনি। ফলাফলে এর একটা প্রভাব রয়েছে। তারপরও আমরা শিক্ষকদের নিয়ে বসে ফলাফল পর্যালোচনা করে কিভাবে আরও ভালো করা যায় সে ব্যপারে চেষ্টা করবো।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষকরা খাতা কেটেছেন। ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন ভালো ফলাফল করে শিক্ষকরা যাতে অধিকতর দায়িত্ব পালন করে সে বিষয়ে নির্দেশ দিব।
স্টাফ রিপোর্টার:
অন্যের কাছে হাত পেতে চলেন মো. আলাউদ্দিন। সাত সকালে কম্বল পেয়ে বেজায় খুশি। বললেন, ‘এই শীতে এটা বড় উপকার হলো।’ বিজিবির কাছ থেকে কম্বল পেয়ে আলাউদ্দিন এ কথা বলে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে বেশ খুশি ভুলনা বালা বললেন, ‘আমি গরীব মানুষ। ডাকতার দেহাইয়া অসুদঅ মাগনা পাইছি। আমার খুব উপকার হলো।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬০ ব্যাটালিয়নের কম্বল বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে কথা হয় ওই সুবিধাভোগীদের সঙ্গে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগরে বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন উপজেলার গঙ্গাসাগর ও খারকুটে ৫০০ শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা।
গঙ্গাসাগরে অসহায়দের মাঝে কম্বল তুলে দেন বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ। খারকুটে কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। মনিয়ন্দে চিকিৎসা দেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম রিফাত।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘আমরা সব সময়ই সাধারন মানুষ নিয়ে কাজ করি। আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।’
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ বলেন, ‘নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জকের এই বিশেষ দিনে আমরা কিছু কর্মসূচি নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে কম্বল বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।’
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার কারিমা রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে আখাউড়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল’র সভাপতিত্বে ও ছাত্র নেতা মনির হোসেন’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র সভাপতি ড. দেবব্রত দেবরায়, সাধারণ সম্পাদক ড. মুজাহিদ রহমান, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আবদুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু।
বিশেষ করে, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি দিয়ে দুই দেশে সু-সম্পর্ক হবে বলে বক্তরা মনে করেন।
ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বই সহ উপহার সামগ্রী আদান-প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র বিশিষ্ট শিল্পী ও সহ সম্পাদক স্বর্ণিমা রায়, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী ও কোষাধ্যক্ষ নির্মল দেব, কবি গীতিকার ও কার্যকরী সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, সমাজসেবী কবি ও সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী কুশল দেব, বিশিষ্ট ব্যাচিক শিল্পী শ্বেতা দেবরায়, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ইন্সা আক্তার, কবি গীতিকার ও সহ-সম্পাদক শ্যামল কান্তি দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মনিদীপা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী শ্যামলীমা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সাগরীমা দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অমর ঘোষ, আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন সফিক আলিয়া, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার ভূঁইয়া, সাবেক দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তজিবুর রহমান, আখাউড়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ মাস্টার, সেলিম মিয়া, ক্রিড়াবিদ মো: সাগর হোসেন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমিত হাসান অপু, কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন রিফাত প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯ হাজার ২৩৬ জন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্ততি গ্রহন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ ২০ মে সোমবার দুপুরে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়।
তবে ২১ মে মঙ্গলবার ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌছে দেয়া হবে। দুই উপজেলার ১২৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৬ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে কসবা উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি এবং আখাউড়া উপজেলার ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অফিসারসহ দুই উপজেলায় ১০২৯জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও কসবা উপজেলায় মোবাইল টীম ৩৩টি, স্ট্রাইকিং টীম ২টি, স্ট্যান্ডবাইটীম ১টি স্পেশাল মোবাইল টীম ১৫টি থাকবে।
আখাউড়া উপজেলায় মোবাইল টীম ২০টি, স্ট্রাইকিং টীম ২টি, স্ট্যান্ডবাইটীম ১টি স্পেশাল মোবাইল টীম ১২টি থাকবে। এছাড়াও র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান (স্বপন) এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তিনি কসবা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (আনারস প্রতীক) মোঃ মুরাদ হোসেন ভ‚ইয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) আখাউড়া উপজেলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান।
ভোট গননা শেষে জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।