অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধের বিচার সম্পন্ন করতে আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে মাঠে নেমেছেন ৬৫৩ বিচারিক হাকিম।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, বিচারিক হাকিমরা ভোটের আগে-পরে পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা, এসব অপরাধের তাৎক্ষণিকভাবে বিচার করতে পারবেন তারা। তিন থেকে সাত বছরের দণ্ড দিতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এরই মধ্যে নিজেদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণ করেছে।
এমন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমিও বলছি।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) ঘুরেফিরে তাদের পুরনো নাশকতা, সন্ত্রাসের ধারায় ফিরে এসেছে। কাজেই এখানে সন্ত্রাসের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। তারা প্রমাণ করেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কাজেই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন কোনো সংলাপ নয়।
তিনি বলেন, তাদের আন্দোলন তারাই পণ্ড করছেন। এটা পণ্ড করার জন্য দুইটা ঘটনাই যথেষ্ট। এক. বিচারপতির বাড়িতে হামলা। দুই. পুলিশকে জনসম্মুখে হত্যা করা। এ দুই ঘটনাই যথেষ্ট জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য। এরপর জনমত যা আছে, তা থাকার কথা নয়। তাদের আন্দোলন তারাই পণ্ড করেছে, আমাদের কিছু করার নেই। পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল তারা শুরু করেছে।
বিএনপি ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘুরেফিরে নাশকতা সন্ত্রাসের ধারায় তারা ফিরে আসছে। এমন সন্ত্রাসের সঙ্গে সংলাপ হতে পারেনা। তারা (বিএনপি) প্রমাণ করেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কাজেই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, আমিও বলেছি।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমরা সমাবেশ থেকে পল্টনে গিয়ে মিছিলে গিয়ে হামলা চালাইনি। তাদের সমাবেশ তারা পণ্ড করেছে। তারা দৌড়ে লাদেনের মতো কোনো গুহায় গেছে, তাদের বের করা যায়নি।
নির্বাচন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান যেভাবে বলছে, সেভাবেই আমাদের টার্ম শেষ হবে জানুয়ারির ২৪ তারিখে। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে। ইসি নির্বাচন সিডিউল ঘোষণা করবে। এটা সরকারের বিষয় না, এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এর বাইরে আমরা আগেও বলিনি, এখনো বলছি না।
তিনি বলেন, আমরা অন্য কোনো দেশের কথা শুনে পরামর্শ নেব? তারা (বিদেশিরা) কি নেয় আমাদের পরামর্শ? তারা যখন করে না তাহলে আমরা কেন? উই হ্যাভ কনস্টিটিউশন। এসব মেনে আমাদের সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়েছি কি না, তা নিয়ে বন্ধুদের আপত্তি থাকতে পারে, তারা বলতে পারেন। এটা একটি স্বাধীন নির্বাচন। ইসি ইলেকশন করবে। এ সময় সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে কেবল। সরকারের মন্ত্রীরা সরকারি গাড়ি ও পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না। আমরা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী এগিয়ে যাব।
সংলাপ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট ডেকেছেন তারা আসেননি। ইসি ডেকেছে আসেনি। গতবার ডেকেছি দুইবার, রেজাল্ট কী? ফখরুল সাহেব করলেন এক নাটক। ইলেকশন করলেন, জেনেশুনে নির্বাচিত হলেন, সংসদে গেলেন না। গণতন্ত্র কোথায় আছে?
রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রিজভী ‘প্যাথলোজিক্যাল লায়ার’। তিনি বসে বসে আবাসিক প্রতিনিধির মতো কথা বলেন। কোন গুহা থেকে বলছেন কে জানে!
জাতিসংঘের বিবৃতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। সুদান, গাজায় কী হচ্ছে? জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা নেই বাস্তবে। তাদের আসল দায়িত্ব তারা তো পালন করতে পারছে না।
তাহলে কি বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সেটা আমি জানি না, সেটা তাদের মর্জি। তারা করবে কি করবে না। তারা না এলে তো জোর করব না। এটুকু বলছি, শুধু সংবিধান পরিবর্তন হবে না।
বিএনপি নেতারা জেলে রয়েছেন, তাদের রেখেই নির্বাচন হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউকে জেলে রাখার বিষয় না, এটা আইনের বিষয়। কেউ আইন ভঙ্গ করে জেলে গেলে তাদের জন্য ইলেকশন বসে থাকবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জেলার শান্তি-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে জেলা বিএনপির দুইপক্ষের নেতারা এ আহবান জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহিরের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি অংশ।
এসময় তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রেসক্লাব সকলের। প্রেসক্লাবে হামলা কারো কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবারের জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল বাতিল করেছি। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। সাংবাদিকদের স্বধীনভাবে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বক্তারা সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যাতে সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে না পারে সেজন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর হামলা ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বুধবার। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন গঠিত। দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন।
উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার।
উপ-নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া-(কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী-(লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (আপেল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল-(গোলাপ ফুল), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ-(মোটর গাড়ী প্রতীক)।
তবে প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন।
এদিকে নিখোঁজ স্বামীর (আসিফ) সন্ধান পেতে ও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ করতে জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মেহরিন। মঙ্গলবার দুপুরে লোক মারফত তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই আবেদনপত্র পাঠান। আবেদনের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসির কাছে ও দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচরে রিটার্নিং অফিসার মোঃ মোঃ শাহগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
“উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে” বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা আজাদ ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় কলারছড়ির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দেন। প্রচার-প্রচারণায় সরকারি দলের নেতাদের সহযোগীতা পেয়ে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। নির্বাচনে তিনি চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন নির্বাচনী এলাকার লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার আশুগঞ্জ ও সরাইল এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা প্রার্থী হতে পারেন। ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা যাতে নির্বাচনী এলাকায় সুবিধা না করতে পারেন সেজন্য আওয়ামীলীগ বিএনপির পদত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে মাঠে নেমেছে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে ১হাজার ১শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি থাকবে ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কোন ধরনের বিশৃংখলা সহ্য করা হবেনা। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তরুণদের কাছে দলের বার্তা তথা দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি।
৩ জুলাই বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন’।
বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।
দলটির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের ক্রু স্টাফ মাহফুজ কবির মুক্তা বলেন, ‘টিকটকের প্রধান ভিউয়ার হচ্ছে দেশের টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে।’
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। ৩ জুলাই বুধবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিএনপির ‘bnpbd.org’ নামে একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়া দেশবাসী এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ফেসবুকে ভেরিফাইড পেজ রয়েছে বিএনপির। এর বাইরে ইউটিউবে চ্যানেল, টুইটার অ্যাকাউন্ট, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, গুগল প্লাস চ্যানেল এবং টেলিগ্রামে ভেরিফাইড চ্যানেল আছে দলটির।
এর আগে গত বছরের ২ জুন টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, পরাজিত ঘাপটি মারা পতিত শক্তি যেন নতুন করে স্যাবোটাজ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে রাতের বেলায় কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল দিত, আর দিনের বেলায় ওঝা হয়ে ঝাড়তো। আওয়ামী লীগ প্রতারণার মাধ্যমে রাজনীতি করতো। এখন আওয়ামী লীগ নাই।
তিনি আসন্ন দুর্গা পূজায় মুসলমানদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই না আর কোনো সংখ্যালঘুদের ওপর কেউ নির্যাতন করুক। এখন আলেম সমাজ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে জালিম ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বাংলার জমিনে এক ইঞ্চি মাটি আশ্রয়ের জন্য খুঁজে পায়নি। তিনি তার পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।
মামুনুল হক এসময় ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, গত ১৫ বছর আপনারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে এক চুল পরিমাণ চিন্তা করেননি। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এ দেশের বুকের ওপর দিয়ে বিনা মূল্যে ট্রানজিট গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর মুখে অভিন্ন বাঁধ তৈরি করেছেন। শুকনা মৌসুমে মরুভূমি আর বর্ষা মৌসুমের বানের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের কেনা গোলাম শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। এখন বলবো, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান। বাংলাদেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সমতার ভিত্তিতে সদাচরণ পাবেন। আবার যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেন সেই নাক আমরা কেটে দিব।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাদারীপুর শাখার সভাপতি হাবিব আহমাদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রিবর্দিও পীর মাওলানা আলী আহমাদ চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলা জালালুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।